মা কোলে নিয়ে ঘুরছেন এখান থেকে ওখান, ব্রেন টিউমারের যন্ত্রণায় কাতর শিশু কন্যা, নিউজ ১৮ বাংলার বড় ভূমিকা

Last Updated:

অসুস্থ শিশু হাসপাতালের বেড পেয়েও ভর্তি হতে পারছিল না।সুপারের উদ্যোগে অবশেষে ভর্তি হল।

Child with brain tumour admitted to Calcutta medical college
Child with brain tumour admitted to Calcutta medical college
#কলকাতা: আবার হাসপাতালের অমানবিক রূপ। শিশুর মাথায় টিউমার। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে কাঁদছে৷ হাসপাতালে বেড পেলেও ভর্তি নেয়নি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। অসহায় মা, কলকাতার মেডিক্যাল কলেজের সামনে বসে। শিশু বিভাগে বারবার হন্যে হয়ে ঘুরলেও, কোনও লাভ হয়নি।
মেয়ের মাথার যন্ত্রণা বাড়ছে এই শীতে খোলা আকাশের নিচে ভর্তির অপেক্ষায় বসে তাঁরা৷   ইরসান হোসেন ও সেলিমা বিবি তাঁদের একমাত্র মেয়ে মিরাতুন খাতুনের (৮) মাথায় টিউমার নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে এসে দেখান। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার বড়গাছিয়া এলাকাতে। কয়েকবার দেখানোর পর ডাক্তার পরামর্শ দেন ওই টিউমার অপারেশন করতে হবে। তত দিনে শিশুটির রীতিমত মাথার যন্ত্রণা শুরু হয়ে গেছে। ১২ জানুয়ারি ডাক্তার তাঁর প্রেসক্রিপশনে শিশু অস্ত্রোপচার বিভাগের ২৫১ নম্বর বেড লিখে দিয়ে ভর্তি করার পরামর্শ দেন।
advertisement
আরও দেখুন
advertisement
বেড পেয়ে গেছেন, সেই স্বস্তিতে হাসপাতালের অ্যাডমিশন কাউন্টারে যান সেলিমা। সেখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, হাসপাতালের বেড খালি নেই।ওই বেড খালি হলে হাসপাতাল থেকে ফোন করে ডেকে নেবে। মেয়ের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে ২৬ জানুয়ারি সকাল থেকে ওই ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে সমস্ত জায়গাতে ঘুরতে থাকেন। যেহেতু ছুটির দিন, সেহেতু হাসপাতালের কোনও আধিকারিককে পাননি তাঁরা। তবুও ওয়ার্ড মাস্টার থেকে আরম্ভ করে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার বাবুরা কোনওভাবে সাহায্য করেননি।
advertisement
অবশেষে নিউজ ১৮ বাংলার উদ্যোগে শুরু হয়ে অসুস্থ শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তির কাজ৷  মেডিক্যাল সুপার অঞ্জন অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, অঞ্জন বাবু বিস্তারিত শোনার পর আশ্বাস দেন শিশুটিকে ভর্তি নিয়ে নেওয়ার। তখন শিশুটি যন্ত্রণায় কান্নাকাটি শুরু করেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মা সেলিমা বিবির কাছে হাসপাতাল সুপারের ফোন আসে। তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগে যেতে বলেন, সেখানে যাওয়ার পরেই শিশুটিকে হাসপাতালের তরফ থেকে ভর্তি নিয়ে নেওয়া হয়। শুরু হয় চিকিৎসা ।
advertisement
মেডিক্যাল কলেজের সুপার  অঞ্জন বাবু এই রকম বিষয় জানতে পারলে যে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেন, সেটা হাসপাতালের অন্যান্য রোগীর পরিজনেরা বলছিলেন।  তবে ওয়ার্ডে বেশ কয়েকটি বেড খালি থাকা সত্বেও বাচ্চা মেয়েটিকে বারবার কেন এতদিন ঘোরানো হচ্ছিল কেন, সেটাই এখনও বড় চিন্তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
SHANKU SANTRA
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
মা কোলে নিয়ে ঘুরছেন এখান থেকে ওখান, ব্রেন টিউমারের যন্ত্রণায় কাতর শিশু কন্যা, নিউজ ১৮ বাংলার বড় ভূমিকা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement