#কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ নেই, এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী কপিল মরেশ্বর পাটিল। রাজ্যকে একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করা নিয়ে মন্ত্রীর সাফাই,বন্ধ নয়, আপাতত স্থগিত আছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলেই, আবার চালু হবে। রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। বকেয়া ৬ মাসের টাকাও পাওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী থেকে রাজ্যের শাসক দল যখন বিজেপিকে নিশানা করছে তখন বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের পাহড় প্রমান দুর্নীতি আর কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা খরচের হিসেব না দেওয়া রাজ্য সরকার অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিল।
কেন্দ্র কারো টাকা বন্ধ করতে চায় না। কিন্তু, টাকা দিলে তার হিসাব চাইবে কেন্দ্র। আসলে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা সাইফন করে দলীয় কাজে লাগাচ্ছে। আমরা চাই সেটা বন্ধ হোক। কেন্দ্র সেটাই করেছে।বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, একদিকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে। একশো দিনের কাজের টাকা ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে আত্মস্যাৎ করেছে রাজ্য। জব কার্ড নিয়ে রাজ্যের শাসক দল চূড়ান্ত দলবাজি করছে। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পরেই টাকা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এর সঙ্গে কোন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নেই।
পঞ্চায়েত দুর্নীতি ও একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ নিয়ে কেন্দ্র - রাজ্যের এই চাপান উতোরের মধ্যে রাজ্যে এসে রাজ্য সরকারকে কার্যত ' ক্লিন চিট' দিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী পাটিল। দক্ষিণ কলকাতা দলের তিন দিনের কর্মসূচিতে অংশ নিতে কলকাতায় এসেছেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কপিল মরেশ্বর পাতিল। পঞ্চায়েত দূর্নীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রীর সাফ জবাব, ''আমার দফতরের কাছে দুর্নীতি নিয়ে লিখিত কোন অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখব। " একই সঙ্গে পাটিল আরও বলেন, "একশো দিনের কাজ নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে অভিযোগ এসেছে। আমার রাজ্য মহারাষ্ট্র থেকেও অভিযোগ এসেছে। এখানে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলের অভিযোগ পেয়েছি। নিয়ম মাফিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই আবার চালু হবে। আমরা টাকা বন্ধ করিনি। আপাতত, স্থগিত আছে।''
আরও পড়ুন: ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, বাংলার আবহাওয়ায় বিপুল বদল! বৃষ্টি নিয়ে বড় বার্তা হাওয়া অফিসের
অন্যদিকে পঞ্চায়েতের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধনও প্রধানমন্ত্রীর হাতেই করতে চাইছে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। এ বিষয়ে মন্ত্রীর সাফাই, "কেন্দ্রীয় বরাদ্দে গ্রামে প্রকল্প হলেও কেন্দ্রীয় সরকারই যে তা করছে, সেটা বুঝছেন না গ্রামবাসী। তাই কেন্দ্রীয়ভাবে সব উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর হাতে ভার্চুয়ালি করা যায় কিনা, তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে মন্ত্রক।" যদিও, পাটিলের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। কেন্দ্রের এই ভাবনার মধ্যে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা দেখছে বিরোধীরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।