Calcutta High Court on Khejuri Case: ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে কার কথা? খেজুরির বিজেপি কর্মী মৃত্যু মামলায় হাইকোর্টে বিরাট মোড়
- Published by:Debamoy Ghosh
- news18 bangla
- Reported by:ARNAB HAZRA
Last Updated:
গত ১১ জুলাই খেজুরি থানার ভাঙনমারি গ্রামে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের একজনের নাম সুধীর পাইক, অন্যজন সুজিত দাস।
খেজুরির বিজেপি কর্মীর মৃত্যু মামলায় নয়া মোড়৷ কল ডিটেলস রেকর্ডে উঠে এল নতুন তথ্য৷ ময়নাতদন্তের আগে ও পরে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সঙ্গে কথা হয়েছিল তদন্তকারী আধিকারিকের৷ ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সঙ্গে কেন তদন্তকারী অফিসারের ফোনে কী কারণে কথা বলতে হল, তা নিয়ে এ দিন প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ৷ প্রথম ময়নাতদন্তেই খেজুরির দুই বিজেপি কর্মীর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছিল৷
তমলুক হাসপাতালের যে চিকিৎসক খেজুরির দুই বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্ত করেছিলেন, ময়নাতদন্তের আগে এবং পরে তাঁর সঙ্গে খেজুরি থানার তদন্তকারী অফিসারের ফোনে কথা হয় বলে কল ডিটেলস রেকর্ডে উঠে এসেছে৷ প্রথম ময়নাতদন্তের আগে ও পরে চিকিৎসক এবং তদন্তকারী অফিসারের মধ্যে ৫-৬ বার ফোনে কথা হয়েছে।
এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, ময়নাতদন্তের পরে চিকিৎসকের সঙ্গে কেন তদন্তকারী অফিসারের তিনবার ফোনে কথা বলতে হল? কেন পুলিশ প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের বয়ান নেয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে ডিভিশন বেঞ্চ৷
advertisement
advertisement
হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত দাবি করেন, তদন্তের ক্ষেত্রে কল ডিটেলস রেকর্ড খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়৷
প্রথম ময়নাতদন্তের আগে এবং পরে কেন তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে চিকিৎসকের কী কথা হয়েছিল, সেই সংক্রান্ত তদন্তের যাবতীয় অগ্রগতি রিপোর্ট সাত দিনের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার জন্য সিআইডি-কে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ৷
advertisement
গত ৩ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে প্রথম তদন্তকারী অফিসার, প্রথম ময়নাতদন্তের চিকিৎসক এবং খেজুরি থানার ওসি’র সমস্ত মোবাইল ফোনের কল ডিটেইলস রেকর্ড(CDR), পেশ করতেও নির্দেশ দেয় আদালত। ৮ সেপ্টেম্বর সিডিআর রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয় বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ৷
গত ১১ জুলাই খেজুরি থানার ভাঙনমারি গ্রামে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের একজনের নাম সুধীর পাইক, অন্যজন সুজিত দাস। পরিবারের অভিযোগ ছিল, দু’জনের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। যদিও প্রাথমিক ভাবে বলা হয়েছিল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের। একই দাবি করেছিল শাসকদল তৃণমূল। তবে বিজেপির অভিযোগ, খুন করা হয় দুই বিজেপি কর্মীকে৷ এসএসকেএম হাসপাতালে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মৃতদেহে আঘাতের চিহ্নের কথা বলা হয়৷ যদিও রাজ্যের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, মৃতদেহ সংরক্ষণে গাফিলতি থাকলে মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন আসতে পারে৷
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
September 08, 2025 3:17 PM IST