#কলকাতা: আধার নিয়ে কেন্দ্রের কাজে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। আধার না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত বড়িশার বাসিন্দা সনৎ মৈত্র। সেই মামলায় ১৩ -ই নভেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রের জবাবদিহি তলব করেছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। আধার বাধ্যতামূলক করা সত্ত্বেও কেন আদালতকে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে ? প্রশ্ন বিচারপতির।
আধারকার্ড করতে না পেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত বড়িশা কৈলাশ ঘোষ স্ট্রিটের বাসিন্দা সনৎ মৈত্রের পরিবার। ছোট থেকেই সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত সাতাশ বছরের সনৎ। সোজা হয়ে হাঁটতে বা বসতে পারেন না। হাতও সোজা রাখতে অসুবিধা হয়। ৮৩ শতাংশ শারীরিকভাবে অক্ষম সনৎ ।
পরিবারের অভিযোগ, বিভিন্ন ক্যাম্পে আধার কার্ড তৈরি করতে গিয়ে বার বারই বাতিল হয়ে যায় অ্যাপ্লিকেশন। নিয়মমত, এই ধরণের রোগীর ক্ষেত্রে বাড়ি গিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য জোগাড় করার কথা আধিকারিকদের। কিন্তু সনতের ক্ষেত্রে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা সত্ত্বেও কেউ আসেননি বাড়িতে। রাজ্যের প্রতিবন্ধী কমিশনে জানিয়েও লাভ হয়নি। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সনতের পরিবার। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি দেবাংশু বসাক।
বিচারপতির প্রশ্ন,
শারীরিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য আধার তৈরিতে সফটওয়্যার আছে। শুনেছেন তাঁরা। কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে না কেন? প্রশ্ন তুলেছেন সনতের পরিবারের।
কেন্দ্রের তরফে আইনজীবী জানান, সফটওয়্যার আপডেট করতে সময় লাগছে।
এই ঘটনায় আদালতের পর্যবেক্ষণ,
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে খুশি সনতের বাবা। তিনি জানান, এর ফলে উপকার হবে রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এরকম অনেক সনতদের। ১৩-ই নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: AADHAAR, Aadhar Card, Aadhar For Disabled, Cerebral Palsy, High Court