ঘুপচি ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার রেখে কাজ, ভয়ঙ্কর বিপদেও হুঁশ নেই বউবাজারের!

Last Updated:

বেশ কয়েক হাজার স্বর্ণকার তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন বউবাজারের ঘিঞ্জি ঘরগুলিতে।

ঘুপচি ঘরে দিনের পর দিন এভাবেই কাজ।
ঘুপচি ঘরে দিনের পর দিন এভাবেই কাজ।
#কলকাতা: 'এবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। অনেক বড় কিছু হতে পারে যে কোনও দিন। দমকল এবং পুলিশ সময়ে না পৌঁছলে ভয়ঙ্কর বিপদ হতে থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না'। বলছিলেন কলকাতা কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। কেন? কারণ, এভাবেই ঘুপচি ঘরে দিনের পর দিন গ্যাস সিলিন্ডার রেখে স্বর্ণশিল্পের কাজ চলে বউবাজারে।
বউবাজার এলাকার নবীন চাঁদ বড়াল লেনের ১৪ই সেপ্টেম্বর একটি বাড়ির তিন তলায় সোনার গয়নার কারখানায় আগুন লাগার পর আশঙ্কা প্রকাশ করেন কাউন্সিলর।  বিশ্বরূপ বাবু বলেন, 'বউবাজার এলাকার বেশিরভাগ বাড়িতে আগুনের সহযোগে সোনা গলানো হয় ও সোনার গয়নার কাজ হয়। এই স্বর্ণশিল্প আজ নয়, বহু বছর ধরে চলে আসছে। সেই থেকেই বউবাজার এলাকার প্রায় বাড়ির একই অবস্থা। যে কোনও দিন এই আগুনের শিখায় ভয়ঙ্কর বিপদ হতে পারে এলাকায়।'
advertisement
. .
advertisement
আরও পড়ুন: 'ডিসেম্বর থেকে সরকার চালাতে দেব না', তৃণমূলকে বড় চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর
মানস কর্মকার নামের এক স্বর্ণশিল্পী জানান, তাঁদের আলাদা করে দমকলের ছাড়পত্র লাগে না। তবে কোনও কারখানায় কোনও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দেখা যায়নি। সবাই গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কাজ করছেন। মানস কর্মকারের দাবি, 'খুব একটা বিপদ হয় না।' আধুনিক যান্ত্রিক ব্যবস্থা আসার পরও তাঁদের শিল্প সেই একই আছে। যন্ত্রের মাধ্যমে গয়না তৈরির কোনও উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি বলেও দুঃখপ্রকাশ করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ ছাত্রীর স্নানের দৃশ্য ভিডিও করে সহপাঠী ছাত্রী, পোস্ট করে পুরুষ বন্ধু!
স্বর্ণশিল্পীদের দাবি, হাতে তৈরি গয়নার চাহিদা কমে গিয়েছে। বেশির ভাগ ক্রেতা পূর্ব প্রস্তুত গয়না কেনেন। অন্যদিকে, সোনার দাম অনেকটা বেড়ে যাওয়ার জন্য সোনার গয়না কেনার চাহিদা কমে গিয়েছে। সারাদিন ধরে এক জায়গায় বসে সোনার গয়না বানাতে গিয়ে শিল্পীরা স্নায়ু রোগে ভুগছেন। সপ্তাহে প্রতিদিন তাঁরা কাজে আসতে পারছেন না। তাঁদের কোমর, শিরদাঁড়া, হাঁটুর সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তার উপর সোনা গলাতে গিয়ে আগুনের শিখা ব্যবহার করে ফুসফুসের অসুখে ভুগছেন অনেকে। যদিও মোমের আগুন ব্যবহার না হওয়ায় সেই সম্ভাবনা অনেক কমেছে। এছাড়া নাইট্রিক অ্যাসিডের ব্যবহার হচ্ছে ভয়ঙ্কর ভাবে, সেই অ্যাসিডের ঝাঁঝ গন্ধ ক্ষতি করছে কারিগরদের স্বাস্থ্যের। তাঁদের দাবি, যদি স্বর্ণশিল্পীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা ও তাঁদের শিল্পের আধুনিকীকরণ না করা হয়, তাহলে চরম বিপদের সম্মুখীন হতে পারে বউবাজারের স্বর্ণশিল্পী ও ব্যবসায়ীরা।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
ঘুপচি ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার রেখে কাজ, ভয়ঙ্কর বিপদেও হুঁশ নেই বউবাজারের!
Next Article
advertisement
Maharashtra Doctor Death Update: কী চলত সরকারি হাসপাতালে, কেন নিজেকে শেষ করে দিলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? বিরাট কেলেঙ্কারি ফাঁস
কী চলত সরকারি হাসপাতালে,কেন নিজেকে শেষ করলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? কেলেঙ্কারি ফাঁস
  • মহারাষ্ট্রে তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল নির্যাতিতার পরিবার৷ মৃতার এক সম্পর্কিত ভাইয়ের অভিযোগ, ওই চিকিৎসককে ময়নাতদন্তের ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করতে বাধ্য করা হত৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement