#কলকাতা: ফের ভোটের ভেরি রাজ্যে। বিধানসভা নির্বাচন এবং দু-দফায় উপ নির্বাচনের পর এবার রাজ্যে পুরভোট (Municipal Election)। ইভিএমে পুরভোটের লড়াইয়ের আগেই পুরো লড়াইয়ের দামামা বাজিয়ে দিলে বিজেপি। তবে এই লড়াই এজলাসের, কাঠগড়ার। আইনি লড়াই। মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় একই সময়ে সব পুরভোট চেয়ে জনস্বার্থ মামলার অনুমতি চান রাজ্যের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছ থেকে। আবেদন শোনার পর, বিজেপিকে জনস্বার্থ মামলা করার অনুমতিও দেন প্রধান বিচারপতি। বিজেপির জনস্বার্থ মামলার আবেদনে চাওয়া হয়েছে, সারা রাজ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ সমস্ত পুরসভার একযোগে পুরভোট।
কলকাতা এবং হাওড়ার পুরভোট আগে করে কার্যত বাকি রাজ্যের পুরসভার নাগরিকদের পুরোপরিষেবা দান থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, মামলায় নালিশ বিজেপি নেতার। জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী ব্রজেশ ঝা জানান, 'বিধানসভা সাধারণ নির্বাচন, দু'দফায় উপনির্বাচনে কোভিড পরিস্থিতি কোন সমস্যা তৈরী না করলে বাকি সব পুরসভার একযোগে নির্বাচন করতে সমস্যা কোথায়। আমরা আমরা আদালতে এই যুক্তি তুলে ধরবো।'সারা রাজ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ সব পুরসভা একযোগে ভোট চেয়ে এর আগেও একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি কবে, কতটা প্রস্তুত বিরোধী শিবির, যে তথ্য উঠে আসছে
বৃহস্পতিবার পুরভোট সংক্রান্ত জোড়া জনস্বার্থ মামলার শুনানির সম্ভাবনা প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে টানটান আইনি লড়াই হয় হাইকোর্টে। সাম্প্রতিক সময়ে নজিরবিহীন নির্দেশ ও সেবার দায় কলকাতা হাইকোর্ট।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টের নির্দেশে চাপে নির্ঘণ্ট বদলাতে বাধ্য হয়। সেবারও গেরুয়া শিবিরের আইনি লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটে বহু জায়গায় প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল সন্ত্রাসের। বিজেপি রাজ্য সভাপতি আগেভাগেই দাবি তুলে রেখেছেন পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়ে পুর ভোটের। মামলার কাজে মঙ্গলবার হাইকোর্টে এসে বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,জানুয়ারি মাসে নতুন ভোটারদের তালিকা বের হবে। তাদেরও ভোটের সুযোগ করে দিতে ফেব্রুয়ারি মাসে সারা রাজ্যে একসঙ্গে পুরভোট করা হোক।
ফেব্রুয়ারি মাসেই পুরভোট চাইছে কেন বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিধানসভা নির্বাচনের পর উপনির্বাচনেও ভরাডুবিতে বিজেপি নিচুতলার সংগঠনের মনোবল তলানিতে। নতুন ভোটার ভোট দিতে পারবে না এই তত্ব সামনে আনা আদতে আরও ৩ মাস সময় নেওয়া। সংগঠনের রক্তক্ষরণ আটকাতে ভোট পিছোনোর কৌশল এটা। একদিকে জনস্বার্থ মামলা, অন্যদিকে ছোটো ছোটো আন্দোলন করে সংগঠন চাঙ্গা করার মরিয়া চেষ্টা এখন গেরুয়া শিবিরের। ফেব্রুয়ারি মাসে পুরভোট চেয়ে সেই জল্পনাই কি উস্কে দিলেন বিজেপি সহসভাপতি, উত্তর দেবে ভবিষ্যৎ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: BJP, Municipal Election