#কলকাতা: সব রেকর্ড ভেঙেচুরে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভবানীপুর উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের (Bhabanipur By Poll Results) শুরু থেকেই বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে বহু পিছনে ফেলতে শুরু করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। আর শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, ২০১১ সালের ভবানীপুর উপনির্বাচনের রেকর্ডও গুড়িয়ে দিয়ে ভবানীপুরে জিতলেন মমতা। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫৮৮৩২ ভোটে জয়ী হয়েছেন ভবানীপুরে। এরপরই বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল (Priyanka Tibrewal ) স্বীকার করে নিয়েছেন, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই এই পরাজয়। এদিন ফল প্রকাশের পর প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'আমি স্বীকার করছি, আমাদের ভবানীপুরে সংগঠনের দুর্বলতা ছিল। ভোটে জেতার জন্য যে সংগঠনের প্রয়োজন হয়, তা আমাদের ছিল না। একজন নেতা কখনও জেতেন না, কখনও হারেন না। জেতে সংগঠন।' তবে, জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
তবে, ভোটের দিনও যেভাবে রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা, এদিনও সেই অবস্থান থেকে সরেননি তিনি। তাঁর অভিযোগ, 'সংগঠনের জোরে জিতেছে তৃণমূল। কিন্তু সেই সংগঠন কী করে, তা আপনারা সবাই দেখেছেন ভোটের দিন। জায়গায়-জায়গায় রিগিং, নকল ভোটারদের এনে ভোট করানো সবই ছিল।' প্রিয়াঙ্কার অবশ্য সংযোজন, 'আমি ভবানীপুর ছেড়ে যাব না। ভবানীপুরের মানুষের পাশে থাকব।'
সংবাদসংস্থা ANI-কে অবশ্য প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'আমি ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েও আমি ২৫ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছি। আমি আমার কাজ তাই চালিয়ে যাব।'
এরপর ফেসবুকেও একটি পোস্ট করেন ভবানীপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী। সেখানে তিনি লেখেন, 'আমি আমার দলের নেতৃত্ব এবং কর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তাঁরা আমার থেকেও বেশি উদ্যোগী হয়েছিলেন এই ভোটকে ঘিরে। আমি অনুভব করছি, শাসক শিবিরের ক্রমাগত ভয় দেখানোর কারণেই গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করা যায়নি। আমি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার তাগিদে কাজ করে যাব। মানুষের পাশ থেকে আমি সরব না।'আরও পড়ুন: 'কাজ সেরে ফেলেছি', ভবানীপুর-ভিকট্রি'র মাঝেই লকেটকে 'বার্তা' কুণালের!
ভবানীপুর উপনির্বাচনে রাজ্য বিজেপি শুধু সর্বশক্তি দিয়েই ঝাঁপায়নি, একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও প্রচারে এসেছিলেন। বলা যেতে পারে, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেগ দিতে চেষ্টার কোনও ঘাটতি রাখেনি গেরুয়া শিবির। কিন্তু ফলপ্রকাশের পর দেখা যায়, তৃণমূল নেত্রীর কাছে কার্যত ধুয়েমুছে গেছে বিজেপির যাবতীয় চেষ্টা। এমনকী ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ভবানীপুরের যে ৭০ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লিড পেয়েছিল বিজেপি, উপনির্বাচনে তাও ধরে রাখতে পারেনি তাঁরা। ফলে স্বাভাবিক কারণেই প্রিয়াঙ্কার মুখে সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা উঠে এসেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।