Alapan Bandyopadhyay: ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ করছে বিজেপি, আলাপন-ইস্যুতে সরব বাম-কংগ্রেসও

Last Updated:

মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Babdopadhyay) আচমকাই দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt)। মোদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে 'প্রতিহিংসার রাজনীতি' বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরোধীরাও।

#কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Babdopadhyay) আচমকাই দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt)। মোদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে 'প্রতিহিংসার রাজনীতি' বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরোধীরাও। আইনগত ভাবে এই প্রক্রিয়ায় কোনও ত্রুটি না থাকলেও, ঘটনার সময়োপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
সিপিএমের আইনজীবী সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য  (Bikash Bhattacharya) বলেন, ‘‘অবশ্যই মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠানোর প্রবিধান রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা মুখ্যসচিবের অবসর নেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রই তাঁকে ৩ মাসের এক্সটেনশন দিয়েছে। সেই এক্সটেনশন পিরিয়ডে তাঁকে আচমকা তুলে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা অত্যন্ত অবিবেচনার কাজ হয়েছে।’’
advertisement
চুপ করে নেই রাজ্য কংগ্রেসও। বিশিষ্ট আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অরুণাভ ঘোষের (Arunava Ghosh) মতে, মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে চাকরি করেন। কেন্দ্রই এই সমস্ত আধিকারিকদের রাজ্যে কাজ করার জন্য অনুমতি দেন। তবে এ ক্ষেত্রে যে রাজ্যে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক কাজ করছেন, তাঁদের সুবিধা অসুবিধাও দেখতে হয়। কোভিডের সঙ্কটজনক পরিবেশ, সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। সেই পরিবেশ পরিস্থিতি সবার আগে বিবেচনা করতে হবে। অরণাভ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে হেরে গিয়ে কেন্দ্রের শাসকদল এমন প্রতিহিংসাপরায়ণ কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরেরও সচিব রয়েছেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আমান্য করতে পারেন না। তেমনই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যসচিব ছিলেন। তিনি তো মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চাকরি করেন। তাঁর নির্দেশ মুখ্যসচিবকে মেনে চলতেই হবে।’’
advertisement
advertisement
advertisement
কেন্দ্রের রাতারাতি আলাপনের বদলির সিদ্ধান্ত বাংলার উপর প্রতিহিংসা থেকেই নেওয়া পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন বাম নেতা দীপঙ্কর। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব দীপঙ্কর ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘মোদি সরকার আক্রমণাত্মক সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মতো আচরণ করছে। ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত একটি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে টেনে আনাটা দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ইতিহাসে অত্যন্ত নিম্নরুচির। সমস্তটাই বাংলার মানুষকে শাস্তির দেওয়ার জন্য, যেখানকার মানুষজন মো-শা (নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ)-এর বাংলা দখলকে রুখে দিয়েছে’।
advertisement
প্রসঙ্গত, ৯৮৭ সালের ব্যাচের আইএএস (IAS) আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম ‘আস্থাভাজন’ আমলা। দীর্ঘ প্রশাসনিক জীবনে একাধিকবার বিভিন্ন সমস্যা থেকে সরকারকে বের করে এনেছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হিসেবে গত বছর অক্টোবর মাসের ১ তারিখে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তার আগে স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিব ছিলেন। মে মাসে আলাপনের ৬০ বছর বয়স হয়েছে। তাই চলতি মাসেই চাকরি থেকে অবসর নেওয়া কথা ছিল তাঁর। তবে তাঁর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ১৩ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে আবেদন জানান, কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় আলাপনের মতো দক্ষ আমলা প্রয়োজন রাজ্যের। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে গত সপ্তাহেই আলাপনের মেয়াদ বৃদ্ধিতে অনুমোদন দেয় কেন্দ্র।
advertisement
কিন্তু শুক্রবার রাতে ফের কেন্দ্রীয় সরকার একটি চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছে, ১৯৮৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার আলাপনকে ভারত সরকারের কাজে যোগদানের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার যোগদান কমিটি। অবিলম্বে তাঁকে সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। সেইসঙ্গে মমতা ঘনিষ্ঠ এই আমলাকে ৩১ মে সকাল ১০টায় নয়াদিল্লির নর্থ ব্লকে কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয় ওই চিঠিতে।
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Alapan Bandyopadhyay: ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ করছে বিজেপি, আলাপন-ইস্যুতে সরব বাম-কংগ্রেসও
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement