BJP: মিঠুনকে মাঠে নামিয়েও কাজ হল না, ফের ফেল বঙ্গ বিজেপি! পঞ্চায়েতের আগে অশনি সঙ্কেত

Last Updated:

এ বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্ব প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, দলের সাংগঠনিক বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে কিছু বলা সম্ভব নয়।

মিঠুনকে প্রচারে নামিয়েও লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ বিজেপি৷
মিঠুনকে প্রচারে নামিয়েও লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ বিজেপি৷
কলকাতা: বুথ সশক্তিকরণ কর্মসূচিতে ফের ডাহা ফেল করল রাজ্য বিজেপি। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে গত ১২ থেকে ২৫ মার্চ রাজ্য জুড়ে বুথ সশক্তিকরণ কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, এ যাত্রাতেও পাশ করতে পারলো না রাজ্য নেতৃত্ব।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বুথ কমিটি চূড়ান্ত করতে উদ্যোগী হয়েছিল বিজেপি। গত বছর দূর্গা পূজোর আগেই সেই কাজ শুরু হয়। বুথ কমিটি চূড়ান্ত করার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিলেন নাড্ডা। কিন্তু, পূজো ও উৎসবের মাসের অজুহাত দেখিয়ে সেবার পিঠ বাঁচিয়ে ছিল রাজ্য। সেই ধাপে সাফল্য না মেলায়, বছরের শুরুতে গত জানুয়ারি মাসে দলের জেলা, মণ্ডল সভাপতিদের চিঠি পাঠিয়ে সংগঠনের পরিস্থিতি জানতে চায় রাজ্য। জেলা থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত কমিটি চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
advertisement
advertisement
এর পর, ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যে এসে ১২ থেকে ২৫ মার্চ, রাজ্যব্যাপী বুথ সশক্তিকরণ কর্মসূচি করে বুথ কমিটি চূড়ান্ত করতে বলেন নাড্ডা। কিন্তু, এ যাত্রাতেও সফল হতে না পারায়, ফের দ্বিতীয় দফায় কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত নিতে হল। গত বুধবার বিধাননগরে দলীয় কার্যালয়ে  এক বৈঠকে বুথ সশক্তিকরণ কর্মসূচির ফলাফল নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই উঠে এসেছে এই করুণ চিত্র।
advertisement
সূত্রের খবর, সার্বিক ভাবে পেশ করা রাজ্যওয়াড়ি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ বুথে পৌঁছতেই পারেনি দল। রাজ্যের পক্ষে দাবি, তারা ৫০ শতাংশের বেশি বুথ কমিটি গড়া ও তাকে সক্রিয় করা গিয়েছে। কিন্তু, জেলাওয়াড়ি রিপোর্ট পর্যালোচনা করতে গিয়ে হিসেবের গরমিল সামনে আসে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। বৈঠকের একটি সূত্রের মতে, একাধিক জেলা থেকে পাঠানো রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, সাকুল্য ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বুথে পূর্ণাঙ্গ বুথ কমিটি গড়া ও তাকে সক্রিয় করার কাজ হয়েছে।
advertisement
যেমন, হাওড়া, হুগলি, দক্ষ্মিণ ২৪ পরগণার মতো জেলায় এই কাজ হয়েছে ২০ শতাংশ বা কিছু বেশি।  মালদহ, মুর্শিদাবাদে ১০ থেকে ২০শতাংশের মতো। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, বর্ধমান, পুরুলিয়া ও দুর্গাপুর -আসানসোলের মতো জেলায় এই গড় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ এবং উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও  দুই দিনাজপুর এর মতো জেলায় এই গড় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশের কিছু বেশি।
advertisement
জেলা ওয়াড়ি এই রিপোর্ট দেখে ক্ষুব্ধ হন রাজ্যের বুথ সশক্তিকরণ কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা যূগ্ম সাধারণ সম্পাদক সংগঠন, সতীশ ধন্ড ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পান্ডে। বৈঠকে সতীশ বলেন, "এই রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট যে আমরা লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি। সেক্ষেত্রে, লক্ষ্যপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আবার কর্মসূচি করতে হবে।"
advertisement
রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার  ও সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতেই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক  মঙ্গল পান্ডে বলেন, যেটুকু  রিপোর্ট এসেছে  তাকে  কি আমরা সঠিক বলে ধরা যায়?  নাকি, এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে আমাদের আবার জেলায় জেলায় যেতে হবে?"
বুথ সশক্তিকরণ কর্মসূচি নিয়ে বিজেপির ঢক্কা নিনাদের কোনও খামতি ছিল না। রাজ্য নেতৃত্বকে জেলা ও মণ্ডল স্তর পর্যন্ত দলীয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যুক্ত করা হয়েছিল। মিঠুন চক্রবর্তীর মতো তারকাদেরও জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছিল দলীয় কর্মীদের উৎসাহিত করতে।  কিন্তু, তারপরেও আশানুরূপ কোনও ফল কেন হল না তা নিয়ে এ দিনের বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তোপের মুখে আবার পড়তে হয় রাজ্যকে।
advertisement
যদিও, এ বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্ব প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, দলের সাংগঠনিক বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে কিছু বলা সম্ভব নয়। মুখ খুলতে চাননি রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সংগঠন অমিতাভ চক্রবর্তীও।
বৈঠকে রাজ্যের ৫ সাধারণ সম্পাদক ছাড়া রাহুল সিংহ,  রাজ্যের সম্পাদক ও  শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, পুড়শুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ারা উপস্থিত ছিলেন।  বিধানসভায় ৭৭টি আসনে দল জিতলেও, জেলায় জেলায় বিজেপির  বুথ সংগঠনকে শক্তিশালী করা যাচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "তৃণমূলের সন্ত্রাসে বুথ স্তরে দলের সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করা খুবই কঠিন। আমি নিজে মণ্ডল স্তর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দিতে গিয়েছি। বুথ স্তরে দলের  পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা নেই। তবে, কোথাও কেন ফাঁক থাকলে, দলের নেতারা আছেন তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।"
তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজ্য নেতার মতে, 'এলাকায় দলের কর্মীদের ঠিকানাই জানে না এই রাজ্য নেতৃত্ব। ওপর থেকে পছন্দের লোককে দিয়ে কমিটি তৈরি করলে যা হবার তাই হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হলে, যেটুকু এখন দেখা যাচ্ছে, ভয় ভীতির কারণ দেখিয়ে তারাও পালিয়ে যাবে। তখন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের হয়ে গোলপোস্টে দাঁড়াবার কোনও লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। "
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷  News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
BJP: মিঠুনকে মাঠে নামিয়েও কাজ হল না, ফের ফেল বঙ্গ বিজেপি! পঞ্চায়েতের আগে অশনি সঙ্কেত
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement