বাংলাদেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতীর দেহ মিলল কলকাতায়, মৃত্যু ঘিরে রহস্য

Last Updated:

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ধৃত ম্যাক্স ওমানে রং মিস্ত্রি কাজ করতো।ওখানে সঙ্গী সারোয়ার ধরা পড়ার পরে পালিয়ে আসে কলকাতায়।

পুলিশ- প্রতীকী ছবি
পুলিশ- প্রতীকী ছবি
#কলকাতা: হরিদেবপুরে রহস্য মৃত্যু বাংলাদেশি কুখ্যাত দুষ্কৃতীর। মৃতের নাম নূর-উন-লতিফ নবী ওরফে তমাল চৌধুরী ওরফে ম্যাক্স। সূত্রের খবর, মধ্যমগ্রামের এর তরুণীর সঙ্গে পরিচয় ছিল ম্যাক্সের। সেই প্রথম পুলিশকে ফোন করে। ম্যাক্সের সঙ্গিনী অর্পিতাকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, ম্যাক্সের মাদকের নেশা ছিল। গত ৭ দিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। ঘটনার দিন বরাহনগরে কাজে যান ম্যাক্সের সঙ্গিনী অর্পিতা। সন্ধ্যাতে ফিরে এসে দেখে দরজা বন্ধ। বিষয়টি স্থানীয় এক বাসিন্দাকে জানান তিনি। পুলিশ এসে ম্যাক্সের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশে মৃতের দাদাকে খবর দেওয়া হয়েছে। হরিদেবপুর থানা তদন্ত করছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর,  সিআইডি হাতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার হয় তমাল চৌধুরী ওরফে নূর-উন-লতিফ নবী ওরফে ম্যাক্স ওরফে সারোয়ার ম্যাক্সন। সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনা ডানলপে থাকত ম্যাক্স। ওমান থেকে পালিয়ে বরাহনগরে থাকতে শুরু করেছিল সে। ইসলামি ছাত্র শিবির অফ চিটাগঞ্জ বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের সদস্য ছিল।
advertisement
advertisement
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ধৃত ম্যাক্স ওমানে রং মিস্ত্রি কাজ করতো। ওখানে সঙ্গী সারোয়ার ধরা পড়ার পরে পালিয়ে আসে কলকাতায়। প্রথম লকডাউন সময়ে নিউ মার্কেট এলাকায় এসে মাছ বিক্রি করত।
নাম বদলে তমাল চৌধুরী পরিচয় দিয়ে মাধ্যমগ্রামের এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এরপরে বিটি রোডে ৭ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে ম্যাক্স থাকত ওই সঙ্গিনীর সঙ্গে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের অস্ত্র পাচারে জড়িত ছিল তমাল। বাংলাদেশের ব়্যাবও অনেকদিন ধরে খুঁজছিল তাকে। তোলাবাজি, অস্ত্র আইন, হুমকি, বিস্ফোরকে দ্রব্য আইন, খুনের চেষ্টা, ডাকাতি  লুঠ, খুনের চেষ্টা, সহ একাধিক ধারায় মামলা রয়েছে বাংলাদেশে।
advertisement
কুখ্যাত এই দুষ্কৃতী ম্যাক্সের বিরুদ্ধে প্রায় ১৭ টি মামলা রয়েছে বাংলাদেশে। ১১ টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এদেশে এসে তমাল চৌধুরী নামে পাসপোর্ট বানায়।
advertisement
এর মেয়াদ ছিল ২০৩১ সালের ১৪ জুলাই পর্যন্ত। ম্যাক্সের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের উপর গোটা বিষয়টা নির্ভর করছে। সেই রিপোর্ট এলেই তারপরে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
বাংলাদেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতীর দেহ মিলল কলকাতায়, মৃত্যু ঘিরে রহস্য
Next Article
advertisement
Maharashtra Doctor Death Update: কী চলত সরকারি হাসপাতালে, কেন নিজেকে শেষ করে দিলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? বিরাট কেলেঙ্কারি ফাঁস
কী চলত সরকারি হাসপাতালে,কেন নিজেকে শেষ করলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? কেলেঙ্কারি ফাঁস
  • মহারাষ্ট্রে তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল নির্যাতিতার পরিবার৷ মৃতার এক সম্পর্কিত ভাইয়ের অভিযোগ, ওই চিকিৎসককে ময়নাতদন্তের ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করতে বাধ্য করা হত৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement