ম্যাচে কার্ডের বন্যা ! আরও একটা ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকল এটিকে

Last Updated:

অ্যাটলেটিকো দি কলকাতা: ১ (দ্যুতি- ৬') , এফসি গোয়া: ১ (হোফ্রে- পেনাল্টি ৭৭')

অ্যাটলেটিকো দি কলকাতা: ১ (দ্যুতি- ৬') 
এফসি গোয়া:  ১ (হোফ্রে- পেনাল্টি ৭৭')
#কলকাতা :  অ্যাটলেটিকো  দি কলকাতার প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়ানের বিরুদ্ধে রেফারি ছিলেন তিনিই। সেই ম্যাচে মোট ছ’জনকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন। কলকাতার ঘরের মাঠে  দ্বিতীয় ম্যাচেও তিনিই রেফারি। মেক্সিকোর ফার্নান্দো গেরেরো রামিরেজ এবার ম্যাচে দেখালেন সাতটা হলুদ কার্ড এবং দুটি লাল কার্ড ৷ নিলেন একটি বিতর্কিত পেনাল্টির সিদ্ধান্তও। কার্ড দেখানোয় তাঁর কোনও দ্বিধা নেই ৷ পুণে-নর্থইস্ট ম্যাচেও দু’জনকে লাল কার্ড দেখিয়ে সেটা আগেই প্রমাণ করেছিলেন। চার ম্যাচে বাঁশি মুখে চারটি লাল কার্ড এবং ১৮ বার হলুদ কার্ড দেখানোর রেকর্ড করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই !
advertisement
রেফারির পকেট থেকে কার্ড এত ঘন ঘন বেরোলে ম্যাচের  ছন্দটাই কেটে যায় বারবার। আইএসএলের পরপর তিনটি ম্যাচ হেরে গিয়ে এফসি গোয়া চেয়েছিল এই ম্যাচে সর্বস্ব দিয়ে আক্রমণে গিয়ে তিন পয়েন্ট তুলে আনতে। তাই প্রথমে গোল খেয়েও চেষ্টা ছাড়েনি। উল্টে ঘরের মাঠে কলকাতাকে বাধ্য করেছিল রক্ষণে মন দিতে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত টানা সপ্তম ম্যাচেও কলকাতাকে হারাতে পারল না জিকোর গোয়া।
advertisement
advertisement
গোল খাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে, গোয়ার রাজু গায়কোয়াড়ের কাছে ছিল না বল। হিউম ছিলেন রাজুর পিছনে। কোনও প্রয়োজন না থাকলেও রাজু কনুই চালিয়েছিলেন। হিউম পড়ে যান। রেফারি ফার্নান্দো রামিরেজ কাছেই ছিলেন। চটপট হলুদ কার্ড দেখাতে তাই দ্বিধাও করেননি। খেলার বয়স তখন সবে চার মিনিট। এফসি গোয়ার আরও দুই ফুটবলার – সঞ্জয় বালমুচু এবং গ্রেগরি আর্নোলিনকে একই সঙ্গে হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন তাঁর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায়। বক্সের ডান দিক থেকে জাভি লারা সেই ফ্রি কিকে বল রেখেছিলেন বাঁ দিকে। হিউমের হেডে বল চলে এসেছিল বক্সের মধ্যে। সেই রাজু, আবার, হেড করলেন বল বক্সের বাইরে পাঠাতে। কিন্তু দুর্বল হেড, ভলির আদর্শ উচ্চতায় নিচের দিকে নেমে আসছে তখন দ্যুতির ডান পায়ের দুরন্ত ভলি। গোয়ার গোলরক্ষক শুভাশিস রায় চৌধুরির কিছু করার ছিল না। তাঁর দুর্দান্ত গোলে কলকাতাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দ্যুতি। তারপর অবশ্য ম্যাচে প্রাধান্য ছিল গোয়ারই। কিন্তু খেলার গতি অনেকটাই কমে যায় ৷ গোল পাচ্ছিল না কোনও দলই।
advertisement
gallery-image-42730558
৫২ মিনিটে কলকাতার পিয়ারসনকে লাল কার্ড দেখান রেফারি ৷ যেটা হলুদ কার্ডও দেখানো যেত সেটা সরাসরি লাল কার্ড! এটিকে কোচ মলিনা সঙ্গে সঙ্গেই রুইদাসকে তুলে বিক্রমজিৎ সিং-কে নামিয়েছিলেন, রক্ষণে জোর বাড়াতে। দশ জনের কলকাতাকে ঘরের মাঠে অবশ্য খেলতে হল ৮ মিনিট মাত্র। রেফারি এবার গোয়ার বালমুচুকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখালেন প্রবীর দাসকে বক্সের ঠিক মাথায় ফাউল করার জন্য।
advertisement
গোয়াকে আরও পিছিয়ে যাওয়ার হাত থেকে দু’বার বাঁচান এটিকের প্রাক্তনি শুভাশিস, যাঁকে কাট্টিমনির পরিবর্তে শুরু থেকে খেলিয়েছিলেন জিকো। দ্যুতি ব্যাক হিল করে বল রেখে দিয়েছিলেন হিউমের জন্য। ডান পায়ে মাটিঘেঁষা শট নিয়েছিলেন হিউম। কিন্তু শুভাশিস শুয়ে পড়ে বল বের করে দেন। তারও আগে লারার ফ্রি কিক লাফিয়ে ঠিক সময়ে ডান হাত বাড়িয়ে বের করে দেন। আর, গোয়ার গোল শোধ ৭৭ মিনিটে, পেনাল্টি থেকে। হোফ্রের মারা কর্নার কিকে হাত লাগিয়ে ফেলেছিলেন বোরহা ৷ এমনটাই মনে করেছিলেন রেফারি। পেনাল্টি থেকে হোফ্রেই গোল করেন এটিকে গোলরক্ষক দেবজিৎকে উল্টো দিকে ফেলে। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এখনও অপরাজিত অ্যাটলেটিকো দি কলকাতা উঠে এল তৃতীয় স্থানে। পাশাপাশি গোয়া থেকে গেল সবার শেষেই। তবে কলকাতা এসেই পয়েন্টের খাতা খুলল জিকোর দল!
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
ম্যাচে কার্ডের বন্যা ! আরও একটা ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকল এটিকে
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement