#কলকাতা: লকডাউনের জেরে দীর্ঘ দু'মাস স্থগিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। অবশেষে জুন মাসের শেষ সপ্তাহ ও জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলো নেওয়ার ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এবার সেখানে কি বাধা হয়ে দাঁড়াতে চলেছে আমফান?
অন্তত গত বুধবারের বিধ্বংসী ঝড়ের তাণ্ডবে একের পর এক স্কুল ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যাওয়ায় এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে। তাই ওই স্কুলগুলিতে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলো নেওয়া সম্ভব কিনা, তার রিপোর্ট প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের দিতে বলেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর, সূত্রের খবর।
গত বুধবারের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুর্ব মেদিনীপুর, কলকাতার একাধিক স্কুলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রিপোর্ট এসেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে। যদিও সার্বিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পুরো হিসাব করতে এখনও যথেষ্ট সময় লাগবে বলেই দাবি করছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। কিন্তু আমফানের প্রভাব কাটিয়ে ঘোষিত সূচির মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলো নেওয়া সম্ভব নাকি সেটাই আবার সরেজমিনে দেখা শুরু করলেন স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।
কেননা এখনও পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর একাধিক স্কুল ত্রাণশিবির হয়ে রয়েছে। একাধিক স্কুলের বাড়ি চিড় ধরেছে, আবার কোন কোন স্কুলের একাংশ ভেঙে গিয়েছে বলে খবর এসেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে। আবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ঘোষণা করেছেন ২৫০০ পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলো। তাই সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স বা যাবতীয় বিধি মেনে পরীক্ষা নিতে গেলে এই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতেও একাধিক পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে নাকি সেই নিয়েই এখন আলোচনা শুরু হয়েছে।
স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এই জেলাগুলির স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শককে ভিডিওগ্রাফি করে স্কুলগুলির ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাঠাতে বলা হয়েছে। স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকের তরফে একটি নির্দিষ্ট করে কলাম করে দেওয়া হয়েছে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব লেখার জন্য। তবে এই সময়সীমার মধ্যে সংস্কারের কাজ করে আদৌ উচ্চমাধ্যমিক নেওয়া যাবে নাকি সেই বিষয়ে এখন জোর তৎপরতা শুরু করেছে স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।
উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলো যে প্রস্তাবিত সূচি ঘোষণা ইতিমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রী করেছেন তা হল, ২৯ জুন, ২র ও ৬ জুলাই নেওয়া হবে। তাই এখন এই স্কুলগুলির রিপোর্টের ওপর এই ভিত্তিতে কার্যত নির্ভর করছে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলো ভবিষ্যৎ বলেই মনে করছেন দফতরের আধিকারিকরা।
SOMRAJ BANDOPADHYAY
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Amphan Cyclone, Higher Secondary