#কলকাতা: ফিরল অর্পিতা কাণ্ডের স্মৃতি! ফের কলকাতার সামনে উঠে এল ২২ জুলাই রাতের ঘটনার কোলাজ! শনিবার সকাল থেকে চলছে রেইড, গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীর বাড়িতে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৭ কোটি টাকা। চলছে টাকা গোনার কাজ। আসছে একের পর এক টাকা গোনার মেশিন। আমিরের বাড়িতে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ ব্যাঙ্কনোট গোনার জন্য মোট আটটি টাকা গোনার যন্ত্র নিয়ে আসা হয়।
মোবাইল অ্যাপ সংক্রান্ত প্রতারণার একটি মামলায় শনিবার শহরের ৬ জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি। গার্ডেনরিচে পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার আহমেদ খানের বাড়ি থেকে এখনও পর্যন্ত অন্তত সাত কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, শনিবার দুপুরে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। টাকা গোনার কাজ এখনও চলছে।
২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট পুলিশ স্টেশনে একটি এফআইআর দায়ের হয়, যার ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬, ৪০৯, ৪৬৮, ৪৬৯, ৪৭১ ও ৩৪ ধারায় অভিযুক্ত আমির খানের বিরুদ্ধে চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট-এর এজলাসে অভিযোগ দায়ের করে ফেডেরাল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নেসার আহমেদ খান-এর ছেলে আমির খান ই-নাগেটস নামে একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপলিকেশন লঞ্চ করে। এই অ্যাপটির মাধ্যমেই চলতে থাকে প্রতারণার কাজ।
আরও পড়ুন: আগামিকাল জলপাইগুড়িতে সমাবেশ, তৃণমূলের নজরে চা-বলয়ের ভোট
কী ভাবে চলত প্রতারণা?
প্রাথমিক ভাবে ওই অ্যাপের মাধ্যমে খেলায় অংশগ্রহণকারী গ্রাহকেরা কমিশন পেতেন। ওয়ালেট-এ যে ব্যালেন্স জমা হত, তা কোনও ঝামেলা ছাড়াই যখন ইচ্ছে তুলে নেওয়া যেত। এ ভাবেই গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জনের পর আমিররা তার ফায়দা তুলতেন বলে ইডির দাবি। মোটা কমিশনের লোভে গ্রাহকেরা মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করতে থাকলেন! এর পরেই ঘটল বিপত্তি! আচমকাই একদিন দেখা গেল তাঁরা অ্যাপ-এর থেকে আর টাকা তুলতে পারছেন না। এর পর রাতারাতি অ্যাপ-এর সার্ভার থেকে মুছে দেওয়া হল সমস্ত ডেটা। ততক্ষণে গ্রাহকেরা আন্দাজ করে ফেলেছেন, কতবড় প্রতারণার শিকার হয়েছেন!
আরও পড়ুন: শুভেন্দু-সুজন প্রসঙ্গে সরব তৃণমূল, দেবযানীর চিঠি নিয়ে বিস্ফোরক সৌগত রায়
শনিবার তল্লাশি অভিযানের সময় একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ইডি। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে মোবাইল অ্যাপ সংক্রান্ত প্রতারণার মামলার তদন্তে নিউটাউন, পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুরের বন্দর এলাকা, গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলি-সহ ছয় জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান ইডি আধিকারিকেরা। হানা দেয় শাহি আস্তাবল গলির নেসার আহমেদ খান ও আমির খানের বাড়িতে! নিসারের বাড়ির দোতলার একটি ঘরের খাটের তলায় অসংখ্য প্লাস্টিকের থলিতে ভরা ছিল থরে থরে নোটের বান্ডিল। তাতে ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট রাখা ছিল। কিন্তু কত টাকা? দুপুর গড়িয়ে গেলেও টাকার অঙ্কটা স্পষ্ট হচ্ছিল না। অবশেষে ইডি জানিয়ে দেয়, নিসারের দোতলার বাড়ি থেকে সাত কোটিরও বেশি টাকা পাওয়া দিয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।