Handicraft Artists- প্লাস্টিকের দাপটে টালমাটাল হস্তশিল্প! এই পরিস্থিতিতে কেমন আছেন শিল্পীরা?

Last Updated:

বাজারে প্লাস্টিকের জেরে কদর কমছে মাটির তৈরি জিনিসের। বিপাকে পাল পাড়ার হস্তশিল্পীরা।বিজ্ঞানের যুগে তাল মিলিয়ে চলছে গোটা বিশ্বের সমাজ ব্যবস্থা। প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন উপকরণের দাপটে টালমাটাল হস্তশিল্প 

+
বাজারে

বাজারে আজ চাহিদা নেই মাটির তৈরি জিনিসের

#জলপাইগুড়িঃ  বিজ্ঞানের যুগে তাল মিলিয়ে চলছে গোটা বিশ্বের সমাজ ব্যবস্থা। আর তাতেই পেটে টান পড়েছে হস্তশিল্পীদের। যাদের মূল পেশা বলতে হস্তশিল্প, বিজ্ঞানের যুগে তারাই আজ পিছিয়ে। বাজারে প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন উপকরণের দাপটে টালমাটাল হস্তশিল্পীরা। সময়ের সাথে সাথে প্রায় বিলীন হতে বসেছে মাটির তৈরি জিনিসপত্র। আর এই কারণেই বিপাকে পড়েছেন জলপাইগুড়ি সদর ব্লক সহ ময়নাগুড়ি ব্লকের রোড এলাকার পাল পাড়ার প্রায় শতাধিক হস্তশিল্পীরা। এই অবস্থায় এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
একসময় বিভিন্ন মেলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চল ছিল মাটির তৈরি প্রদীপ, খেলনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মাটির জিনিসের। কিন্তু বর্তমানে প্লাস্টিকের উপকরণ তৈরি হওয়ার দরুন চল হারিয়েছে মাটির তৈরি জিনিসের। এই হস্তশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। বাজারে যে সমস্ত মাটির তৈরি জিনিস পাওয়া যায়, তার তুলনায় বেশ রকমারি এবং রঙবেরঙের প্লাস্টিকের জিনিসের দাম অনেক কম। অন্যদিকে, হাতে তৈরি করা মাটির জিনিস বাজারে অনেক দামে বিক্রি হওয়ার দরুন সাধারণ মানুষ ঝোঁক দিয়েছেন প্লাস্টিকের তৈরি জিনিস কেনার দিকে। আর এতেই সমস্যায় পড়েছেন মাটির জিনিস তৈরি করা হস্তশিল্পীরা।
advertisement
advertisement
জলপাইগুড়ির বিভিন্ন ব্লক ছাড়াও ময়নাগুড়ি রোড এলাকার পালপাড়াগুলিতে প্রচুর পরিবারের পেশা মাটির জিনিস তৈরি করা। বর্তমানে তাঁরাও কার্যত এই পেশাকে টিকিয়ে রাখতে সমস্যায় পড়ছেন। মাটির জিনিসের আগের মত চাহিদা নেই বাজারে। ফলে এই পেশাকে ধরে রাখতে তাঁরা এবার সরকারি সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন।
advertisement
আধুনিকতার যুগে বিভিন্ন মেশিন পত্র বাজারে আসায় খুব সহজে প্লাস্টিকের তৈরি জিনিস কম খরচে তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু মাটি কিনে তা দিয়ে জিনিস তৈরি করা অনেক ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সেই কারণে প্লাস্টিকের সঙ্গে মাটির জিনিসের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিছিয়ে পড়েছেন মাটির জিনিস তৈরি করা হস্তশিল্পীরা।
advertisement
এই বিষয়ে পাল পাড়ার বাসিন্দা সন্ধ্যা রানী পাল বলেন, "আমি প্রায় ৫০ বছর ধরেই এই কাজ করে আসছি। বর্তমান বাজারে আগের তুলনায় অনেকটাই মাটির জিনিসের চাহিদা কমেছে। আবার আমাদের মাটি কিনে সে জিনিস তৈরি করতে অনেক খরচ হয়ে যায়। সেই তুলনায় প্লাস্টিকের জিনিস অনেক কম দামে পাওয়া যায় বলে মানুষ প্লাস্টিকের জিনিসকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।"
advertisement
এলাকার আর এক বাসিন্দা নয়নমণি পাল বলেন, "আমাদের মূল পেশা মাটির জিনিস তৈরি করা। কিন্তু বর্তমানে এই জিনিসের চাহিদা না থাকায় আমাদের এই শিল্প ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে আমাদের রুজি রোজগার প্রায় বন্ধের পথে। তাই সরকারি সাহায্য বা কোন অনুদান পাওয়া গেলে আমরা এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি।"
advertisement
Geetasree Mukherjee
view comments
বাংলা খবর/ খবর/জলপাইগুড়ি/
Handicraft Artists- প্লাস্টিকের দাপটে টালমাটাল হস্তশিল্প! এই পরিস্থিতিতে কেমন আছেন শিল্পীরা?
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement