Jalpaiguri: ডেঙ্গু কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসলেও ফের সংক্রমণ আটকাতে জোর মশা দমনে

Last Updated:

জলপাইগুড়ি জেলায় মশাবাহিত রোগ খানিকটা নিয়ন্ত্রনে আসলেও ফের সংক্রমণ আটকাতে জোর স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসনের। বাগরাকোট এলাকার ডেঙ্গু সংক্রামিতের সংখ্যা গোটা উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করেছিল।

জলপাইগুড়িঃ জলপাইগুড়ি জেলায় মশাবাহিত রোগ খানিকটা নিয়ন্ত্রনে আসলেও ফের সংক্রমণ আটকাতে জোর স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসনের। বাগরাকোট এলাকার ডেঙ্গু সংক্রামিতের সংখ্যা গোটা উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করেছিল। তবে, এই মুহুর্তে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর সাময়িক স্বস্তিতে থাকলেও মশা দমনে বিশেষ জোর দেওয়া হল। জেলার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার বাগরাকোট এলাকায় চার জনের শরীরে ফের এই জীবানুর খোঁজ মিলেছে। চলতি সপ্তাহে সোমবারের আগে অবধি জেলায় চলতি বছর ৩৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন যাদের মধ্যে মাল ব্লকের চা-বাগানে ২৬৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। ডেঙ্গুতে সংক্রমিত হয় বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাড়িতে ৩৮ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনজন। এদিকে বাগরাকোট এলাকায় যেমন স্বাস্থ্য দফতরের মেডিকেল টিম কাজ করছে মশা দমনে অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের তরফে সচেতনতা মূলক প্রচার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার বলেন, পরিস্থিতি আগের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। দৈনিক সংক্রমন সংখ্যা এখন কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই ওই জায়গায় পরিস্থিতি আরো ভালো হবে। ওখানে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এলাকায় প্রথম আক্রান্ত চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ২১ তারিখ বের হয়। ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে যদিও তথ্য অনুযায়ী এপ্রিল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮।যার মধ্যে মাল ব্লকে ছিলেন ৮ জন। কিন্তু এক মাসের মধ্যে ছবিটির আমূল পরিবর্তন হয়। যার মূলে রয়েছে বাগরাকোট চা বাগানের কয়েকটি শ্রমিক মহল্লা। সেখানে নিয়মিত জল না মেলায় তারা জল জমিয়ে রাখতে বাধ্য হন। সেখানে ডেঙ্গু সংক্রামিত এর ভয়াবহ ছবি সমীক্ষায় উঠে এসেছে। এলাকায় জলের সমস্যা রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জলপাইগুড়িতে পরিবেশ রক্ষায় সপ্তাহ জুড়ে একাধিক কর্মসূচী
বেশ কিছু পানীয় জলের পাত্র এবং অনান্য জায়গা থেকে ডেঙ্গু মশার লার্ভা জন্মায়।জেলা প্রশাসন এলাকায় ৩হাজার মশারি বিতরণ করেছে ।মশারি বিলি করার পাশাপাশি, এলাকায় পালন করা হয়েছে ' ড্রাই ডে'। যার অর্থ সব পাত্র থেকে পুরোনো জল ফেলে দিয়ে নতুন করে জল রাখার কাজ। জেলায় সংক্রামিত ৩৪৬ জনের মধ্যে ২৯২ জন আক্রান্ত মাল ব্লকের। রাজগঞ্জের ১১ জন ও মেটেলি তে ৯ জন। অন্যদিকে, নাগরাকাটা ও ধূপগুড়ি ব্লকে ৭ জন এবং বানার হাট ও সদর ব্লকে চারজন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ জলপাইগুড়িতে বর্ষার আগে চালু করা হল ফ্লাড কন্ট্রোল রুম
অন্যদিকে ময়নাগুড়ি ব্লক এবং জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে থাকা শিলিগুড়ি পুর নিগম এলাকায় ৩ জন ও জলপাইগুড়ি পুরসভার এলাকায় এখনো পর্যন্ত এ বছরে দুজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও ক্রান্তি ব্লকের পাশাপাশি ধুপগুড়ি পৌরসভা ও ময়নাগুড়ি পৌরসভা এবং মালপুর সভা এলাকায় একজন করে সংক্রমিত হয়েছে বলে খবর মিলেছে। তাই জোর কদমে মশা দমনে অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন।
advertisement
Geetashree Mukherjee
view comments
বাংলা খবর/ খবর/জলপাইগুড়ি/
Jalpaiguri: ডেঙ্গু কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসলেও ফের সংক্রমণ আটকাতে জোর মশা দমনে
Next Article
advertisement
SIR Update: কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও, কীভাবে জানবেন ভোটার? বাড়িতে না থাকলে কি SIR-এ নাম কাটা যাবে? জবাব দিল কমিশ
কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও, কীভাবে জানবেন ভোটার? বাড়িতে না থাকলে কি নাম কাটা যাবে? জেনে নিন
  • এসআইআর নিয়ে আশ্বস্ত করল নির্বাচন কমিশন৷

  • কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও?

  • নাম কাটা যাওয়ার ভয় দূর করলেন রাজ্যের সিইও৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement