#চেন্নাই: নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে দাপটে জয় পেয়েছিল ডেভিড ওয়ার্নারের দল। অন্যদিকে নিজেদের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলকে হারিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। শক্তির বিচারে কিছুটা হলেও এগিয়ে দিল্লি। কিন্তু সানরাইজার্স এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসী। নিউজিল্যান্ডের উইলিয়ামসন দলে চলে আসায় ভারসাম্য বেড়েছে। ওয়ার্নার এবং বেয়ারস্টো ওপেনিং পার্টনারশিপ হিসেবে বেশ শক্তিশালী। তাছাড়া ভুবনেশ্বর কুমার, রশিদ খান, খলিল বল হাতে দলটার সম্পদ। অন্যদিকে শেষ পাঁচ ম্যাচে চারটে জিতেছে দিল্লি। দুর্ধর্ষ খেলছেন শিখর ধাওয়ান।
তাছাড়াও অধিনায়ক ঋষভ পন্থ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেটমায়ার, মার্কোস স্টোইনিস দিল্লির ভারসাম্য বাড়িয়েছে। বোলিং বিভাগে দক্ষিণ আফ্রিকার রাবাডা এবং নখিয়া অন্যতম সেরা শক্তি। অভিজ্ঞ অমিত মিশ্র স্পিনার হিসেবে এখনও পার্থক্য তৈরি করে দিতে পারেন। দিল্লি আক্রমনাত্মক ক্রিকেট খেলতে ভালবাসে। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন অক্ষর প্যাটেল। রবি অশ্বিন সবসময় একটা ফ্যাক্টর। সানরাইজার্স দলের জনি বেয়ারস্টো নিজের ছন্দে থাকলে যেকোনও বোলিং লাইন আপের কপালে দুঃখ থাকে।
তেমনই দিল্লির হাতেও বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানের অভাব নেই। গতবার ফাইনালে উঠে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি দিল্লি। এবার অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ছিটকে যাওয়ার পর পুরো দলটা শপথ নিয়েছে নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার। সানরাইজার্স দলের দুর্বল জায়গা মিডল অর্ডার। বিজয় শঙ্কর কোনদিন কী করবেন কেউ জানে না। পাশাপাশি দিল্লির ইংলিশ অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস নতুন বলে ঝামেলায় ফেলতে পারেন বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের। টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা বোলিং ইউনিট দিল্লি। পৃথ্বী শ একটা ম্যাচে নজর কেড়ে তারপর আর রান পাচ্ছেন না। কিন্তু তাঁর ওপর ভরসা হারাতে রাজি নন টিম ম্যানেজমেন্ট।
চেন্নাইয়ের মন্থর উইকেট বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে ক্রিকেটার এবং ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য। ১৫০/১৬০ রান উঠলেই বড় ব্যাপার। দ্বিতীয়ার্ধে শিশির সমস্যা বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে দুই দলের মুখোমুখি সাক্ষাতে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে সানরাইজার্স। কিন্তু ক্রিকেটে সবসময় পরিসংখ্যান সত্যি কথা বলে না। চিপকে শেষ হাসি কে হাসে সেটাই দেখার। তবে দুই দলের দুই লেগ স্পিনার রশিদ খান এবং অমিত মিশ্র বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন।