#লুধিয়ানা: প্রায় কুড়ি বছর আগে এই মাঠেই ইতিহাস রচনা করেছিলেন তিনি। প্রায় অপরাজেয় তকমা নিয়ে আসা অস্ট্রেলিয়াকে সেই বিখ্যাত টেস্ট ম্যাচে হারানোর পেছনে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। হ্যাটট্রিক করেছিলেন হরভজন সিং। অর্থাৎ ভারতীয় ক্রিকেটের মক্কা ইডেন গার্ডেন্স থেকেই উত্থান হরভজনের। আইপিএল কেরিয়ারে চারবার ট্রফি জিতেছেন। তিনবার মুম্বইয়ের হয়ে এবং একবার চেন্নাইয়ের জার্সিতে। শেষবার আমিরাতে খেলতে যাননি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে। তাঁকে রিলিজ করে দেয় চেন্নাই। সেই হরভজনকে এবার দু কোটি টাকায় কিনেছে শাহরুখ খানের দল।
অনেকেই বলছেন ভুল সিদ্ধান্ত। এই বয়সে ভাজ্জির আর কিছু দেওয়ার নেই বলছেন অনেকে। কেকেআর ম্যানেজমেন্ট মনে করে অভিজ্ঞ হরভজন দলে আসায় শক্তি বেড়েছে তাঁদের। একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন ভাজ্জি। সেখানে দারুণ উত্তেজিত জানানোর পাশাপাশি কেকেআর ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করতে চান জানিয়ে তিনি বলেন নিজের একশো শতাংশ উজাড় করে দেবেন। যদিও এখনও ঠিক হয়নি আইপিএল কোথায় হবে তবুও দেশের মাটিতে হওয়ার দিকেই পাল্লা ঝুঁকে।
নস্টালজিয়ার ইডেনে আবার ফিরতে পারাটা দারুণ ব্যাপার জানিয়েছেন অভিজ্ঞ অফ স্পিনার। ইডেনে বল করতে মুখিয়ে আছেন ভাজ্জি। ইডেন তাঁকে খালি হাতে ফেরায়নি। কেকেআর ম্যানেজমেন্ট তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দলে নেওয়ার জন্য। নিন্দুকদের কথায় অবশ্য কান দিতে রাজি নন দলের কোচ ম্যাকলাম। হরভজন দলে থাকলে শুধু বল করে নয়, প্রয়োজনে ব্যাট হাতেও কিছু অবদান রাখতে পারেন মনে করেন তিনি। তবে সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হওয়ায় এই ধরণের প্রতিযোগিতায় কীভাবে খেলতে হয় সেটা জানা আছে ভাজ্জির।
নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে তরুণ ক্রিকেটারদের গাইড করতে পারবেন হরভজন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যখন হরভজনের মত অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বার্তা দেন তিনি খেলার জন্য তৈরি, তখন এমনি দেন না। অনেক কিছু প্রমাণ করার তাগিদ থেকেই দেন। মনে রাখতে হবে নিলামের প্রথম দিকে অবিক্রিত থেকে গিয়েছিলেন তিনি। শেষে একমাত্র কেকেআর ছাড়া আর কেউ তাঁকে দলে নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেননি। নাইটদের জার্সি গায়ে খেলতে নামার সময় এর থেকে বড় মোটিভেশন আর প্রয়োজন নেই ভাজ্জির। 'ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট'-প্রবচনটি সত্যি প্রমাণ করতে মাঠে নামবেন হরভজন সিং।