চেন্নাই সুপার কিংস জয়ী ৪ উইকেটে
#দুবাই: মহেন্দ্র সিং ধোনি আবার প্রমাণ করলেন কেন তিনি বয়স হয়ে গেলেও এখনো ক্রিকেটের বাজিগর। ১৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে ফাইনালের টিকিট এনে দিলেন।রবিবার দেখার ছিল প্রথম কোয়ালিফায়ারে ফাইনালে পৌঁছালো টিকিট কোন দল আগে পায়। চেন্নাই নাকি দিল্লি? দিল্লির ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাইকে এদিন দারুণ শুরু দিতে ব্যর্থ হন দু প্লেসি। নখিয়ার বলে বোল্ড হয়ে গেলেন এক রান করে। তবে ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এবং রবিন উঠাপ্পা দুজনে মিলে চেন্নাইকে নবম ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার রাস্তা প্রশস্ত করতে থাকলেন। ১১০ রানের পার্টনারশিপ হল দুজনের। দীর্ঘ দিন বাদে রবিন দুর্দান্ত ব্যাট করলেন।
২০১৪ কলকাতা নাইট রাইডার্স যেবার দ্বিতীয়বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, সেবার আইপিএলে অরেঞ্জ ক্যাপ পেয়েছিলেন কর্নাটকের এই ব্যাটসম্যান। ৬৩ রানের ইনিংস সাজানো ছিল সাত বাউন্ডারি এবং দুটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে।শেষপর্যন্ত টম কারানের বলে শ্রেয়াস আইয়ার এর হাতে ধরা পড়েন তিনি। চার নম্বরে শার্দুল ঠাকুরকে নামিয়ে একটা বাজি খেলেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু খাতা না খুলেই ফিরে গেলেন ঠাকুর।
এরপর আম্বাতি রাইডু হঠাৎ করে রান আউট হয়ে গেলেন। কিছুটা চাপে পড়ে গেল চেন্নাই। এলেন মইন আলি। অন্যদিকে ঋতুরাজ চেষ্টা চালিয়ে গেলেন চেন্নাইকে ফাইনালে তোলার। এই সময়টা দেখে মনে হচ্ছিল রক্তের স্বাদ পেয়ে গিয়েছ দিল্লি।শেষ ১২ বলে চেন্নাইর জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৪ রান। ঋতুরাজ ৭০ করে আউট হলেন আবেশ খানের বলে। পঞ্চম বলে ছক্কা লাগালেন মাহি।শেষ ৬ বলে ১৩ দরকার ছিল। টম কারান এলেন বল হাতে। আউট মইন আলি। ধোনি চার মারলেন পর পর তিন বলে।জিতে গেল চেন্নাই। ফাইনালে হলুদ জার্সি।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম থেকে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির শুরুটা ভাল হয়নি। শিখর ধাওয়ান হাজেলউডের বলে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন। সম্পূর্ণ ব্যর্থ শ্রেয়াস আইয়ার। অস্ট্রেলিয়ান পেসারের বলেই মারতে গিয়ে ব্যাটের নীচে লেগে বলটা ওপরে উঠে গেল। সহজ ক্যাচ নিলেন ঋতুরাজ। এরপর অক্ষর প্যাটেল ফিরে গেলেন ১০ রান করে। তাঁকে চার নম্বরের কোন যুক্তিতে নামানো হয়েছিল কেউ জানে না।What a game of cricket that was! #CSK, they are now in Friday's Final of #VIVOIPL pic.twitter.com/eiDV9Bwjm8
— IndianPremierLeague (@IPL) October 10, 2021
অন্যদিকে দুর্দান্ত ছন্দে ব্যাট করছিলেন পৃথ্বী শ। দীর্ঘদিন পর মুম্বই ব্যাটসম্যানকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাট করতে দেখা গেল। ৬০ রানের ইনিংস সাজানো ছিল সাতটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। কিন্তু জাদেজার বলে কভারের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে লং ওফে ক্যাচ দিলেন দু প্লেসির হাতে।
পৃথ্বীর আউট হয়ে যাওয়ার ফলে দিল্লির রান তোলার গতি অনেকটা কমে গেল। পন্থ এবং হেটমায়ার ক্রিজে থাকলেও সহজে রান তুলতে পারছিলেন না। মইন আলি, জাদেজা বুদ্ধি করে বল করলেন। কিছুতেই বাউন্ডারি আসছিল না দিল্লির। তবে দেখার বিষয় এদিন ব্রাভোকে ধোনি প্রথম বল করতে দিলেন ১৫ ওভারের মাথায়। ব্যাপারটা পরিষ্কার, ডেথ ওভারে দলের সেরা বোলারকে যত বেশি সম্ভব ব্যবহার করার প্ল্যান ছিল ধোনির। গুরু বনাম শিষ্যর লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত মহেন্দ্র সিং ধোনির। ঋষভ পন্থ বুঝতে পারলেন তার এখনো অনেক কিছু শেখার বাকি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।