দুর্ঘটনায় মারা যায় স্ত্রী ও মেয়ে ! ছেলের মৃত্যু ক্যান্সারে ! তবুও জীবনযুদ্ধে হারেননি বাইডেন !

Last Updated:

১৯৭২ সালে বড় দিনের আগে ক্রিসমাস ট্রি কিনতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিলিয়া মারা যায়। তাঁর মেয়ে নাওমিও দুর্ঘটনায় মারা যান।

#ওয়াশিংটন: জোসেফ রবিনেট বাইডেন জুনিয়র ওরফে জো বাইডেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যিনি ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হয়ে লড়েছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে। যিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দুই মেয়াদে সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবার ঐতিহাসিক জয় লাভ করলেন জো বাইডেন। তাঁর সঙ্গে ইতিহাস গড়লেন কমলা হ্যারিস। তাঁর জয়ের খুশিতে মগ্ন গোটা আমেরিকার মানুষ। তবে এবার অনেকেই ছিলেন ট্রাম্পের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প বলে যাচ্ছিলেন তিনিই জিতবেন। কিন্তু তা আর হল না। বারাক ওবামা অভিনন্দন জানিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে। কঠিন সময়ের সামনে দাঁড়াতে হবে বাইডেনকে। প্যান্ডেমিক পরিস্থিতি থেকে বেহাল অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে হবে তাঁকে। আমেরিকাবাসীর ভরসা এখন বাইডেনে। কিন্তু কে এই বাইডেন?
জো বাইডেনের জন্ম ১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের স্ক্রানটনে। চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় বাইডেন বেড়ে ওঠেন স্ক্রানটন, নিউ ক্যাসল কাউন্টি ও ডেলাওয়ারের মধ্যেই। বাবা জোসেফ রবিনেট বাইডেন সিনিয়র আর আইরিশ বংশোদ্ভূত মা ক্যাথরিন ইউজেনিয়া ফিনেগান। ডেলাওয়ার ইউনিভার্সিটিতে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন বাইডেন। পরে তিনি আইনে ডিগ্রি নেন। ১৯৬৬ সালে সিরাকিউজ ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় বাইডেন নিলিয়া হান্টারকে বিয়ে করেন। তাঁদের তিন সন্তান আছে । ১৯৭২ সালে বড় দিনের আগে ক্রিসমাস ট্রি কিনতে গিয়ে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিলিয়া মারা যায়। তাঁর মেয়ে নাওমিও দুর্ঘটনায় মারা যান। এর পর ভেঙে পড়েছিলেন বাইডেন। কিভাবে কি করবেন জানতেন না তিনি। তবে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। একজন যোদ্ধা তো এমনই হয়। জীবন যুদ্ধেও সে কখনও হারে না।
advertisement
বাইডেনের স্বপ্ন ছিল সিনেটর হওয়ার। সিনেটর হওয়ার পরের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া। তিনি তাঁর লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। নিলিয়াকে হারানোর এক বছরের মাথায় ১৯৭৩ সালে বাইডেন জিল ট্রেসি জ্যাকবকে বিয়ে করেন। তাঁদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ১৯৭০ সালে ডেলাওয়ারের নিউ ক্যাসল কাউন্টির কাউন্সিলম্যান নির্বাচিত হন জো বাইডেন। ৩০ বছর বয়সের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় তাঁর। ১৯৭২ সালের নভেম্বরে তৎকালীন জনপ্রিয় রিপাবলিকান সিনেটর স্যালেব বগসের বিপক্ষে ডেমোক্রেটিক দল থেকে প্রার্থী হন তিনি। মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী পঞ্চম সিনেটর নির্বাচিত হন। একবার ইতিহাস তৈরি করেছিলেন সে সময় জো বাইডেন।
advertisement
advertisement
ডেলাওয়ার থেকে মোট ছয়বার সিনেটর নির্বাচিত হন জো বাইডেন। সিনেটের বিচার কমিটিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা আইনসহ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি আইন প্রণয়ন করেন তিনি। ২০০৭ সালে আবার নির্বাচনে দাঁড়ান। সেবার বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হন এবং রানিংমেট হিসেবে বেছে নেন বাইডেনকে। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে আবারও প্রিয়জন হারান বাইডেন। মস্তিষ্কের ক্যানসারে বড় ছেলে বো বাইডেনের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন জো। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার আগেই সরে যান।ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনে নানা উত্থান-পতনের পর ঘুরে দাঁড়ান জো বাইডেন। আর আজ তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। বাইডেনের জীবন বলে দেয় তিনি জিততে এসেছেন। জয় তাঁর জন্যই অপেক্ষা করছিল। আমেরিকার মসনদের তাজ তাঁর মাথায়। এ যে তাঁর কাছে শুধু নয় গোটা আমেরিকাবাসীর কাছে গর্বের। নতুন ইতিহাসের সাক্ষী থাকল পৃথিবী। বাইডেন হেরে না যাওয়া যোদ্ধা। এই কঠিন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার যোগ্য সৈনিক তিনি।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
দুর্ঘটনায় মারা যায় স্ত্রী ও মেয়ে ! ছেলের মৃত্যু ক্যান্সারে ! তবুও জীবনযুদ্ধে হারেননি বাইডেন !
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement