#আমেরিকা: না। প্রেসিডেন্ট ইলেকশনে ভোট দিতে গিয়ে আর লাইনে দাঁড়ানোর ঝক্কি পোহাতে হবে না তাঁদের। দেশের সরগরম রাজনীতি থেকেও কয়েকশো মাইল দূরে থাকবেন তাঁরা। এ বার মহাকাশের অস্থায়ী ঘর থেকেই ভোট দিতে পারবেন মহাকাশচারীরা। কিন্তু কী ভাবে ?
আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে আমেরিকার নাগরিকরা মেইল বা সশরীরে উপস্থিত থেকেই তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। তবে এর মাঝেই আমেরিকার এক নাগরিক পৃথিবী থেকে বহু ক্রোশ দূরে অর্থাৎ মহাকাশ থেকে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে দুই রাশিয়ান সঙ্গীর সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে পাড়ি দিতে চলেছেন আমেরিকার এই মহিলা কেট রাবিন্স। সম্প্রতি অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, গণতন্ত্রে অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই তিনি তাঁর ভোটটি নষ্ট করতে চান না। মহাকাশ থেকেই তিনি তাঁর ভোট দিতে চান। তাঁর আরও সংযোজন, প্রত্যেকেরই ভোট দেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে যদি স্পেস থেকে সম্ভব হয় তা হলে পৃথিবী থেকেও সক্রিয়ভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্ভব।
তবে, এটাই প্রথমবার নয়। মহাকাশ থেকে প্রথম আমেরিকান ভোটদাতা ছিলেন ডেভিড উলফ। ইনি রাশিয়ান স্পেস স্টেশন মির থেকে তাঁর ভোট দিয়েছিলেন। এর পর ২০১৬ সালে নাসার মহাকাশচারী শেন কিমব্রো পৃথিবীর প্রায় ২৫৯ মাইল উপর থেকে তাঁর ভোট দিয়েছিলেন।
কিন্তু কী ভাবে মহাকাশ থেকে ভোট দেন মহাকাশচারীরা?
১৯৯৭ সাল থেকেই আমেরিকার মহাকাশচারীরা ভোটদানে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এ জন্য টেক্সাস ল নামে একটি বিশেষ আইনও রয়েছে। আসলে অধিকাংশ মহাকাশচারীরাই নাসার মিশন কন্ট্রোল জনসন স্পেস সেন্টারের অধীনে হস্টন এলাকায় বসবাস করেন। এ রপর এই জনসন স্পেস সেন্টারে হ্যারিস কান্ট্রি ক্লার্কস অফিসের তরফে একটি ইলেক্ট্রনিক ব্যালট আপলোড করা হয়। যা আপলোড হওয়ার পর মহাকাশচারীরা সুনির্দিষ্ট নথিপত্র ব্যবহার করে ওই ব্যালট অ্যাকসেস করেন ও ভোট দেন। পরে মেইলের মাধ্যমেই হ্যারিস কান্ট্রি ক্লার্কস অফিসে ফেরত পাঠানো হয় ওই নাগরিকের মূল্যবান ভোট।
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম আমেরিকার রাজনীতি। ট্রাম্প না জো বিডেন, কে হবেন ভবিষ্যতের প্রেসিডেন্ট? এ নিয়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মহাকাশ থেকে ভোট দেওয়ার এই বিষয়টি যে ঘটনাকে আরও জমজমাট করে তুলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।