#তেহরান: আর কোনও সংশয় নেই ৷ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ভেঙে পড়েছিল ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান ৷ এমন বড় ‘মিসটেক’ যে তারা করে বসেছে ৷ সেটা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইরান ৷ তবে এই ঘটনা যে একেবারেই ‘অনিচ্ছাকৃত’ সেটাও উল্লেখ করেছে ইরান ৷
মিসাইলের আঘাতে ইউক্রেনিয়ান এয়ারলাইন্সের ওই বিমান যে ভেঙে পড়তে পারে ৷ এমন আশঙ্কা অনেক আগেই করা হচ্ছিল ৷ কিন্তু এ ব্যাপারে কোনও প্রমাণ ছিল না কারোর কাছেই ৷ শেষপর্যন্ত নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে ইরান ৷ সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়ে ইরান সেনার তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়। কী ভাবে এমনটা হল সেনাবাহিনীতে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করা হবে বলেও ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মৃতদের পরিবারের কাছে এই ঘটনার জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছে ইরান।
প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানিও এই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, “এটা একটা মারাত্মক ভুল।” বিমানের ব্ল্যাকবক্স আমেরিকান বিমান নির্মানকারী সংস্থা বোয়িং-কে দিতে চায়নি ইরান ৷ তাদের বক্তব্য ছিল, যে বিমানে ৮২জন ইরানের নাগরিক ছিলেন ৷ আর একজনও আমেরিকান ছিলেন না ৷ তাই বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার কোনও উদ্দেশ্য তাদের ছিল না ৷ কিন্তু কানাডা, ইউক্রেনের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দেশের চাপে শেষপর্যন্ত সুর নরম করে ইরান ৷ এবং আজ, শনিবার এক বিবৃতিতে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই যে ভেঙে পড়েছিল ইউক্রেনের যাত্রিবাহী বিমান। তা স্বীকার করে নেয় ইরান ৷
ইরানের ভুল স্বীকারের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলাদিমির জেলেনিস্কি বলেন, ‘‘ আশা করব ইরান এই ঘটনার পিছনে দোষীদের শাস্তি দেবে ৷ তাদের আদালতে পেশ করা হবে ৷ ঘটনার তদন্ত দ্রুত এবং নিরপেক্ষভাবে হবে ৷ ’’ ইরানের ভুল স্বীকারের পর মুখ খুলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোঁও ৷ তিনি বলেছেন, ‘‘ এই ঘটনা জাতীয় শোক ৷ কানাডার মানুষ এখন মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীরভাবে শোকাহত ৷ এই ঘটনায় আমরা উপযুক্ত তদন্ত চাইছি ৷ এবং তদন্তে সবরকম সাহায্য করতেও প্রস্তুত ৷ ইরান সরকার আমাদের সে কাজে সাহায্য করবে বলেই আশা করছি আমরা ৷ ’’
ইরানের মাটিতে ইউক্রেনিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় মোট ১৭৬ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে ৷ যাঁদের মধ্যে ৬৩ জন ছিলেন কানাডীয় ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।