#ওয়াশিংটন: দীর্ঘ ২৫ বছরের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের (James Webb Space Telescope Launched)। একদিন আগেই এই উৎক্ষেপণের কথা ছিল, কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে পিছিয়ে যায় কাজ। ফলে বড়দিনেই মহাকাশে পাড়ি দিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই স্পেস টেলিস্কোপ। নাসা সূত্রে খবর, নিরাপদ ভাবেই মহাকাশে রয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (James Webb Space Telescope Launched)। গ্রাউন্ড কন্ট্রোলের সঙ্গেও যোগাযোগ স্থাপন রয়েছে। এর মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানের একটি নতুন যুগের সূচনা হল। (James Webb Space Telescope Launched)
আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থায় জাানানো হয়েছে, শনিবার ভোরে এটি মহাকাশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ইনফ্রারেড টেলিস্কোপটি কার্গোতে করে আরিয়ন-৫ রকেটের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এটি সকাল ৭টা ২০ মিনিটের দিকে উৎক্ষেপণ করা হয়। ফ্রেঞ্চ গায়ানার ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) উৎক্ষেপণ ঘাঁটি থেকে টেলস্কোপটি উৎক্ষেপণ করা হয়। মহাকাশে ২৭ মিনিট হাইপারসনিক যাত্রার পর ১৪ হাজার পাউন্ডের যন্ত্রটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৮৬৫ মাইল ওপরে ফ্রান্সের নির্মিত রকেটের উপরিভাগ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।
We have LIFTOFF of the @NASAWebb Space Telescope!
At 7:20am ET (12:20 UTC), the beginning of a new, exciting decade of science climbed to the sky. Webb’s mission to #UnfoldTheUniverse will change our understanding of space as we know it. pic.twitter.com/Al8Wi5c0K6
✅ Milestone achieved. @NASAWebb is safely in space, powered on, and communicating with ground controllers.
The space telescope is now on its way to #UnfoldTheUniverse at its final destination one million miles (1.5 million km) away from Earth. pic.twitter.com/gqICd0Xojz
এই বিশাল স্পেস টেলিস্কোপটি তৈরি করতেও বিশাল খরচ হয়েছে। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি যার খরচ ধরা হয়েছিল ১০ থেকে ২০ কোটি ডলার, তা শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ১০০০ কোটি ডলার। নাসাকে এটি তৈরি করতে সাহায্য করেছে কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। জন ক্রমওয়েল ম্যাথার, নোবেলজয়ী জ্যোতিঃপদার্থবিদ, যিনি এই টেলিস্কোপের প্রধান বিজ্ঞানী, তাঁর দাবি, '২৯ দিন পরে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ পৌঁছবে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে। ওখান থেকে পাঠাবে তথ্য। সে তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা জানতে পারব বিগ ব্যাং-এর দশ কোটি বছর পরে প্রথম নক্ষত্রগুলোর আলো কেমন ছিল।'
মহাকাশের নানা রহস্য যা এখনও উন্মোচিত হয়নি, সেই সব গভীর এবং দূরবর্তী অঞ্চল সম্পর্কে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের আগ্রহ বরাবরই বেশি। মহাকাশ নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, এমন সাধারণ মানুষের মনেও রয়েছে অনেক প্রশ্ন। আর এই সব কৌতূহল নিবারণের জন্যই মহাকাশে পাঠানো হয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপকে। বলা হয়, গড়ে মহাবিশ্বের নক্ষত্রপ্রতি একটি গ্রহ আছে। তাই, টেলিস্কোপটি হয়তো আমাদের ভবিষ্যত পৃথিবী খুঁজতেও সাহায্য করবে।