ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার সারি সারি দেহ (ছবি-- সোশ্যাল মিডিয়া)
ম্যারাকেশ: শুক্রবার গভীর রাতে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মরক্কো৷ মৃতের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ২০০০ জন ছাড়িয়েছে। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে-এর দাবি, উত্তর আফ্রিকার এই অংশে গত ১০০ বছরের বেশি সময়ে এমন ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয়নি৷ মরক্কোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর ম্যারাকেশের ৭১ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে ভূমিস্তরের ১৮.৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনের কেন্দ্র৷ রাবাত, ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা এবং ইসাওইরাতে কম্পনের তীব্রতা ও প্রভাব ভয়াবহ৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে শহরের গলিপথ বেয়ে উড়ে আসছে ধ্বংসস্তূপের খণ্ড৷ অসংখ্য মানুষ ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়েছেন। আরও দেহ উদ্ধার হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক বিল ম্যাকগুইর জানিয়েছেন, মরক্কোয় ভূমিকম্প খুব একটা হয় না। সে কারণে বাড়িগুলি পোক্ত ভাবে তৈরি নয়। তাই হতাহতের সংখ্যা এত বেশি। মরক্কোর রাজা চতুর্থ মহম্মদ সশস্ত্র বাহিনীকে উদ্ধার কাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন।
advertisement
#BREAKING UPDATE While you slept, here is CCTV footage I Authenticated of the heartbreaking moment in Morocco 🇲🇦 where at least 296 people are reported dead and over 150 injured after a 6.8 magnitude earthquake hit the country. This is very sad. They even felt it in Algeria 🇩🇿… pic.twitter.com/kcGdpXeElk
6.8 magnitude earthquake hits Morocco
At least 632 people died and another 329 were injured.
Widespread destruction and panic are reported; people remain under the rubble.
It is the biggest earthquake to hit Morocco in at least two decades. 😭 pic.twitter.com/fCIC3hVfFb
স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। ১৯ মিনিট পর হয় আর একটি আফটারশক। সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৯। রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮। আমেরিকার ভূতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র পর্যটন শহর মারাক্কেশ থেকে ৭১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে হাই অ্যাটলাস পর্বতে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮.৫ কিলোমিটার গভীরে রয়েছে সেই কেন্দ্র। ভূমিকম্পের কেন্দ্র প্রত্যন্ত হাই অ্যাটলাস পর্বতে হলেও তার প্রভাব পড়েছে বহু দূর পর্যন্ত।
এই ভূমিকম্পে মরক্কো জুড়ে যে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার জন্য জারি করা হয়েছে কমলা অ্যালার্ট৷ অন্যান্য ক্ষেত্রে ক্ষতির জন্য হলুদ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে৷ ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চলের হাসপাতালগুলিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আহতদের চিকিৎসা৷ ব্যাহত হয় বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট পরিষেবা৷ কম্পনের জের অনুভূত হয়েছে পড়শি দেশ আলজেরিয়াতেও৷ তবে সেখান থেকে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর আসেনি৷