হোম /খবর /বিদেশ /
ইরানের চাবাহার বন্দরের উন্নতি প্রকল্পে দুটি মোবাইল ক্রেন পাঠাল ভারত

ইরানের চাবাহার বন্দরের উন্নতি প্রকল্পে দুটি মোবাইল ক্রেন পাঠাল ভারত

ইরানের চাবাহার বন্দর উন্নতির জন্য মোবাইল ক্রেন পাঠাল ভারত photo/ MEA twitter

ইরানের চাবাহার বন্দর উন্নতির জন্য মোবাইল ক্রেন পাঠাল ভারত photo/ MEA twitter

চিনের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক দিনে দিনে গভীর হচ্ছে। তাই ভারত ইরানকে কিছুতেই বন্ধু হিসেবে হারাতে চায় না। সম্প্রতি দুটি ১৪০ টনের মোবাইল ক্রেন পাঠিয়েছে ভারত। ইরানে ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জে পি সিং এই ক্রেন তুলে দিয়েছেন

আরও পড়ুন...
  • Last Updated :
  • Share this:

#তেহরান: পাকিস্তানকে চাপে রাখতে ইরানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখার ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই উদ্যোগী নরেন্দ্র মোদি সরকার। ঐতিহাসিকভাবে ভারতের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক বহুদিনের। ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়াও সাংস্কৃতিক বিনিময় দুই দেশের মধ্যে নতুন নয়। একটা সময় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা গুরুত্ব না দিয়ে ও ইরানের থেকে তেল কিনছে ভারত। চিনের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক দিনে দিনে গভীর হচ্ছে। তাই ভারত ইরানকে কিছুতেই বন্ধু হিসেবে হারাতে চায় না। সম্প্রতি দুটি ১৪০ টনের মোবাইল ক্রেন পাঠিয়েছে ভারত। ইরানে ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জে পি সিং এই ক্রেন তুলে দিয়েছেন। লক্ষ্য ইরানের চাবাহার বন্দরের উন্নতি। তবে এই বন্দর উন্নতির পেছনে শুধু ভারত-ইরানের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নয়, আফগানিস্তান এবং উজবেকিস্তান জড়িত রয়েছে।

পশ্চিম এশিয়ার এই দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিবিড়। চাবাহার বন্দর সেই কারণেই এত গুরুত্বপূর্ণ। বন্দর, নৌপরিবহন ও জলপথ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, ভারত ছয় এমএইচসি সরবরাহের চুক্তির আওতায় মোট ২৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের দুটি ক্রেন সরবরাহ করেছে। ২০১৬ সালের মে মাসের ২৩ তারিখ ইরান ও ভারতের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যেখানে চাবাহার বন্দরের সজ্জা, যন্ত্রপাতির খরচ ও কার্যক্রম শুরু করার জন্য ৮৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছিল। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছিল ওমান উপসাগর অঞ্চলে এই বন্দরটি অবস্থিত হওয়ায় বাণিজ্য ক্ষেত্রে ভারতের সামনে বড় দিশা খুলে যাবে।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই বন্দরকে গুরুত্ব দেওয়ার ভারতের একটি গোপন কারণ রয়েছে। আসলে চিনের তৈরি পাকিস্তানের গ্বাদার বন্দর এখান থেকে খুবই কাছে। মাত্র সত্তর কিলোমিটার দূরে। ফলে যে কোনও পরিস্থিতিতে ওই বন্দরের ওপর নজর রাখা সম্ভব হবে ভারতের পক্ষে। তাছাড়া ইরানের সঙ্গে পাকিস্তানের দীর্ঘ সীমানা রয়েছে। ইরান অতীতে পাকিস্তানকে বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়েছিল সীমানায় জঙ্গি কার্যকলাপ করার জন্য।

পাকিস্তানের পূর্বে ভারত। পশ্চিমে আফগানিস্থানে ইতিমধ্যেই কিছু সংখ্যক ভারতীয় সেনার উপস্থিতি রয়েছে। আফগানিস্তান সেনাবাহিনীর উন্নতি প্রকল্পে ভারতের অবদান প্রচুর। পাশেই ইরান। বালুচিস্তান প্রদেশের সীমানা থেকে ইরানের দূরত্ব বেশি নয়। তাই ইরানকে কাছে রাখা মানে পাকিস্তানের বালুচিস্তান হারানোর ভয় আরও জোরদার হওয়া। তাই সবদিক বিবেচনা করেই ভারতের এই সিদ্ধান্ত সন্দেহ নেই।

Published by:Rohan Chowdhury
First published:

Tags: Ministry of External Affairs