Pneumonia: ভয়ঙ্কর আতঙ্ক চিনে! করোনার পর ফের চোখ রাঙাচ্ছে নিউমোনিয়া, হাসপাতালে ভিড় উপচে পড়ছে আক্রান্ত শিশুদের

Last Updated:

Pneumonia: রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যেই চিনের কাছ থেকে একটি বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

 ভয়ঙ্কর আতঙ্ক চিনে! করোনার পর ফের চোখ রাঙাচ্ছে নিউমোনিয়া
ভয়ঙ্কর আতঙ্ক চিনে! করোনার পর ফের চোখ রাঙাচ্ছে নিউমোনিয়া
প্রায় চার বছর আগে মারণভাইরাস কোভিড ১৯ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল সেই চিন থেকেই। এবার সেই দেশেই চোখ রাঙাচ্ছে নিউমোনিয়া। শ্বাসজনিত এই সমস্যা এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে চিনা শিশুরা। ফলে বেজিং-সহ সেই দেশের বিভিন্ন শহরের হাসপাতালগুলিতে এখন উপচে পড়ছে শিশুরোগীদের ভিড়ে। রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যেই চিনের কাছ থেকে একটি বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
২৩ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে একটি বিবৃতি জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, এক সাংবাদিক সম্মেলনে ন্যাশনাল হেলথ মিশনের চিনা কর্তৃপক্ষের থেকে যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে জানা যাচ্ছে যে, চিনে শ্বাসজনিত অসুস্থতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, “কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ প্রত্যাহার এবং কিছু পরিচিত রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ফলেই এই রোগের বাড়বাড়ন্ত। এমনটাই দাবি করছেন চিনা কর্তৃপক্ষ। আর এই রোগজীবাণু বা প্যাথোজেনের মধ্যে অন্যতম হল ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া (একটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ, যা ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যেই বেশি হয়), রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) এবং এসএআইএস-সিওভি-২ (এটাই সেই ভাইরাস, যা কোভিড ১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী)।”
advertisement
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ-ও জানায় যে, গত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই উত্তর চিনে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আর এই পরিসংখ্যানটাকে গত তিন বছরের একই সময়ের সঙ্গে তুলনা করা হলে দেখা যাবে, এবার রোগীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি।
advertisement
চিনে বসবাসকারীদের জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার নির্দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা:
advertisement
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, তারা চিন থেকে এই বিষয়ে আরও তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গে সেই দেশের মানুষকে কিছু নিয়মবিধি মেনে চলারও পরামর্শ দিয়েছে তারা। আর সেই বিষয়গুলিই নিম্নোক্ত:
১. শ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকি কমানো, আর এর জন্য নিতে হবে ভ্যাকসিন।
২. অসুস্থ মানুষ বা সংক্রমিতদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
advertisement
৩. অসুস্থ হলে বাড়ির মধ্যেই থাকতে হবে। বাইরে বেরোনোর প্রয়োজন নেই।
৪. পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে এবং প্রয়োজন মতো চিকিৎসা করানোও জরুরি।
৫. সঠিক মাস্ক পরা আবশ্যক।
৬. ঘরে বাতাস চলাচল যেন ভাল হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।
৭. আর নিয়মিত সঠিক বিধি মেনে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
advertisement
চিনে নতুন ভাবে নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে বিশদ তথ্য
ব্রিটেনের প্রসিদ্ধ সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফ-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ProMed। এটা মূলত বড় এবং সর্বজনীন ভাবে উপলব্ধ নজরদারির ব্যবস্থা। যা বিশ্বে মানুষ এবং পশুদের রোগ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টার উপর নজরদারি চালায়। এই ProMed মঙ্গলবার জানিয়েছে যে, শিশুদের নিউমোনিয়া ধরা পড়ছে না। এটাই মহামারীর আকার ধারণ করেছে।
advertisement
ওই প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে যে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকেই ProMed সাবধানবাণী দিয়েছিল। জানিয়েছিল যে, এসএআরএস-সিওভি-২ নামে একটি রহস্যজনক ভাইরাসের আগমন ঘটেছে। এভাবেই বিষয়টা বিজ্ঞানী এবং ডাক্তারদের নজরে এনেছিল ProMed।
একটি সাম্প্রতিক একটি পোস্টে বলা হয়েছে যে, রাজধানী বেজিং এবং লিয়াওনিংয়ের হাসপাতাল – প্রায় ৫০০ মাইল উত্তর-পূর্বে – নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর ভিড় উপচে পড়ছে। বেজিংয়ের এক বাসিন্দা বলেন, প্রচুর শিশু হাসপাতালে ভর্তি। এমনকী তাদের কাশি কিংবা উপসর্গও নেই। রোগীদের গা পুড়ে যাচ্ছে জ্বরে। এমনকী অনেকের তো পালমোনারি নডিউলও রয়েছে। ফলে স্কুলে যাওয়ার উপরেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লিয়াওনিং প্রদেশের ডালিয়ান চিল্ড্রেন্স হসপিটালের লবিও ভরে গিয়েছে অসুস্থ শিশুর ভিড়ে। প্রত্যেকেই ইন্ট্রাভেনাস ড্রিপস পাচ্ছে। হাসপাতালের এক কর্মীর দাবি, রোগীদের প্রায় ২ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সমস্ত কর্মী এখন জরুরিকালীন বিভাগে ব্যস্ত। এই মুহূর্তে কোনও জেনারেল আউটপেশেন্ট ক্লিনিক নেই।
advertisement
এটা কি ওয়াকিং নিউমোনিয়া? এর অর্থই বা কী?
ProMed-এর দাবি, এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়ার যোগ রয়েছে। যা ওয়াকিং নিউমোনিয়া নামে পরিচিত। যা চিনে এই মুহূর্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মুহূর্তে চিনে শীত আসছে। এখানেই শেষ নয়, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিতেও এই রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। ওয়াকিং নিউমোনিয়া সাধারণত বাচ্চাদেরই আক্রমণ করছে। এর উপসর্গগুলির মধ্যে অন্যতম হল – গলা ব্যথা, ক্লান্তি এবং ক্রমাগত কাশি। আর এই কাশিটা সপ্তাহের পর সপ্তাহ এমনকী মাসের পর মাস ধরে চলতে থাকে। আর জটিলতা বাড়লে সেটা নিউমোনিয়ার আকার ধারণ করতে পারে।
চাইনিজ পিএলএ জেনারেল হাসপাতালের সেভেন্থ মেডিক্যাল সেন্টারের ডিরেক্টর ঝৌ হুইক্সিয়া জানান, চলতি বছরের গোড়ার দিকে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের বেশিরভাগটাই প্রত্যাহার করার পরে এটাই মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া সংক্রমণের প্রথম ঢেউ। নভেম্বরে এই সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছবে। এর সঙ্গে যোগ হতে পারে সংক্রামক শ্বাসযন্ত্রের রোগের বৃদ্ধি। যা লকডাউন চলাকালীন প্রশমিত ছিল।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
Pneumonia: ভয়ঙ্কর আতঙ্ক চিনে! করোনার পর ফের চোখ রাঙাচ্ছে নিউমোনিয়া, হাসপাতালে ভিড় উপচে পড়ছে আক্রান্ত শিশুদের
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: উইকেন্ডে কি ফের হাওয়া বদল? রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া কেমন থাকবে, দেখে নিন
উইকেন্ডে কি ফের হাওয়া বদল? রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া কেমন থাকবে, দেখে নিন
  • উইকেন্ডে কি ফের হাওয়া বদল ?

  • রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া কেমন থাকবে

  • জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট

VIEW MORE
advertisement
advertisement