#ব্রাসেলস: গত নভেম্বর মাস থেকেই নতুন করে লকডাউন জারি হয়েছে বেলজিয়াম জুড়ে। করোনা ভাইরাস আবার মাথা চাড়া দেওয়ার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সে দেশের প্রশাসন। কিন্তু সামনেই তো উৎসবের মরশুম। তাহলে কি বড়দিনে ও ঘরবন্দী হয়ে থাকতে হবে? নিউ নর্মাল অনেক নতুন জিনিস শিক্ষা দিয়েছে। উৎসব নয়, প্রাণ বড় - এটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
বেলজিয়াম সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বড়দিনে কেউ যদি নিজেদের বাড়িতে অতিথি নিমন্ত্রণ করতে চান সেটা করা যেতেই পারে। কিন্তু সংখ্যাটা চারের অধিক যেন কোনওভাবেই না হয়। তার চেয়েও অদ্ভুত ব্যাপার নিমন্ত্রিত অতিথিরা সবাই বাথরুম ব্যবহারের সুযোগ পাবেন না। একমাত্র একজনকেই বাথরুম ব্যবহার করতে দেওয়া হতে পারে। দাঁড়ান! কি ভাবছেন? তাহলে বাকিরা কি দোষ করল? সেই ভাগ্যবান একজনকে হতে হবে গৃহকর্তার বাড়ির কাছাকাছি থাকা,এটাই বাথরুম ব্যাবহার করতে দেওয়ার প্রাথমিক শর্ত। বাকিদের প্রয়োজন পড়লে নিজেদের বাড়ি ছুটতে হবে। তবে সরকারের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ যাদের বাড়িতে বাগান বা পিছন দিকে কিছুটা ঘেরা জায়গা (backyard) আছে তারাই একমাত্র এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবেন। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে বাড়ির ভেতরে অর্থাৎ ঘরে কোন আয়োজন করা যাবে না। বদ্ধ জায়গায় অনেক মানুষ একসঙ্গে হলে সংক্রমনের সম্ভাবনা বাড়ে, সেটাই মূল কারণ।
সরাসরি বাগানে বা বাড়ির পিছনে ঘেরা জায়গায় প্রবেশের রাস্তা থাকতে হবে। ঘরের ভেতর দিয়ে কোনওরকম যাতায়াত নিষিদ্ধ। করোনা সেকেন্ড ওয়েভ ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার পর যে কটি দেশ ভুক্তভোগী হয়েছে তার মধ্যে বেলজিয়াম অন্যতম। দিনের বেলা না হলেও সন্ধ্যার পর কয়েক ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বাজার। অন্য বছরের মত না হলেও সামান্য আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে রাজধানী ব্রাসেলস এর বিখ্যাত গ্র্যান্ড প্লেস। মানুষ আশা করছেন বড়দিনে প্রভু যীশু নতুন মুক্তির পথ দেখাবেন বিশ্ববাসীকে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা আবার ফিরবে পৃথিবীর বুকে।
Rohan Roy Chowdhury