ঢাকায় জঙ্গি হামলার নেপথ্যে আসলে কে!

  • Last Updated :
  • Share this:

    #কলকাতা: ঢাকার গুলশনে জঙ্গি হামলার পিছনে কারা? আনসারুল্লা বাংলা দল দিয়ে শুরু হয় দায় স্বীকার ৷ তারপর একে একে হামলার দায় নেয় জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ, ইসলামিক বাংলা মুজাহিদ।  ভাবখানা এমন যেন কোনও মহান কর্মকাণ্ডের কৃতিত্বের দাবি চাইছে সবাই ৷

    তবে জঙ্গিরা যেভাবে জামাত নেতার মুক্তির দাবিতে অনড় ছিল, তা নতুন করে ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তবে কি জামাতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশে উপস্থিতি জাহিরের চেষ্টা করছে ইসলামিক স্টেট?

    মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার ইঙ্গিত, ঢাকায় গুলশন হামলায় পিছনে রয়েছে আইএস ৷ তারা জামাতের সাহায্য নিয়েই হামলা চালিয়েছে বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের ৷

    ট্যুইটারে ট্যুইট করে ঢাকার অভিজাত গুলশান এলাকার রেস্তোঁরা হলি আর্টিজান বেকারিতে দায় নিয়েছে ইসলামিক স্টেট। মুখপাত্রে দায় স্বীকার করে বিবৃতিও দিয়েছে তারা।

    isis responsibility tweet

    একইসঙ্গে আইএসের শাখা সংগঠন সহ একাধিক জঙ্গি সংগঠন  এই হামলার কৃতিত্ব দাবি করেছে । তবে প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ বলছে, হামলার পরিকল্পনা সহ অস্ত্র যোগাড়ের পিছনে ছিল ইসলামিক স্টেট। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সাইটের দাবি, হামলার পর ট্যুইটের সাঙ্কেতিক বার্তা চালাচালিও করে আইএস জঙ্গিরা। এক্ষেত্রেই উঠে আসছে বেশ কয়েকটি সম্ভাবনা,

    সম্ভাবনা ১

    শাখা সংগঠন আনসারুল্লা বাংলার সাহায্যেই হামলা চালায় আইএস।

    সম্ভাবনা ২

    জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হামলার ছক কষেছিল আইএস

    সম্ভাবনা ৩

    কড়া নিরাপত্তায় মোড়া গুলশনে হামলা চালাতে জামাতের হাত ধরে আইএস

    সম্ভাবনা ৪

    ক্ষমতা ও সংগঠনে অনেক এগিয়ে থাকা জামাতের সক্রিয় সদস্যদের হামলার দায়িত্ব দেওয়া হয় ৷

    আইএস নয় দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষমতার প্রমাণ দিতে মরিয়া। তাই হয়ত এই হামলা। কিন্তু হামলার জামাত যোগই ভাবাচ্ছে   দেশের নিরাপত্তা আধিকারিকদের ৷

    পণবন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে জামাত নেতা খালেদ সইফুল্লাহকে মুক্তির দাবি করেছিল জঙ্গিরা। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আইএস এই ধরণের দর কষাকষিতে বিশ্বাসী নয়। আইএসে মিশন শেষ না করে ফেরার জায়গা নেই।

    ISIS Biggest Mass Massacre in Palmyra

    বাংলাদেশে জামাত ও তার শাখাগুলোর সঙ্গে আইএসের লক্ষ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। এমনকী আনসারুল বাংলা, বাংলা ইসলাম ব্রিগেড, বাংলা মুজাহিদের মতো সংগঠন নিজেদের আইএসের শাখা বলে দাবিও করেছে। একই দাবি আল-কায়দার দক্ষিণ এশিয়া শাখারও। এরা প্রথম থেকেই আইএসের মুখ হিসাবে নিজেকে তুলে ধরতে চেষ্টা করছে। হামলায় এদের ব্যবহার করাটা তাই আইএসের বাঁ-হাতের খেল।

    First published:

    Tags: Bangladesh, Bangladesh terror attack, Bengali News, Dhaka Terror Attack, Dhaka Terrorist Attack, ETV News Bangla, ISIS, Jamat, Jamat E Ishlami