#নয়াদিল্লি: বাংলাদেশে জঙ্গিদের হাতে মৃত ভারতীয় নাগরিক তারিষি জৈন। গুলশন এলাকার ওই রেস্তোরাঁয় জঙ্গিদের হাতে নিহত ২০ জন পণবন্দির মধ্যে একজন ছিলেন তারিশি ৷ শুক্রবার রাত থেকে ক্যাফেতে পণবন্দী ছিলেন ১৯ বছরের তারিশি জৈন। ভোরের দিকে অভিযান চলাকালীন মারা যান তারিশি। আই-কার্ড না থাকায় প্রথমে তারিশির পরিচয় জানা যায়নি। আমেরিকায় পড়াশুনা করা তারিশি ছুটিতে বাবা-মায়ের কাছে ঢাকায় এসেছিলেন। তারিশির মৃত্যুর কথা ট্যুইট করে জানান বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ৷
I am extremely pained to share that the terrorists have killed Tarushi, an Indian girl who was taken hostage in the terror attack in Dhaka.
তারিষি ছাড়াও সেসময় কাফেতে আরও একজন ভারতীয় উপস্থিত ছিলেন ৷ বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, তিনি এখন সুরক্ষিত ৷ তবে অসমর্থিত সূত্রে খবর, ঘটনার সময় রেস্তোরাঁয় উপস্থিত ছিলেন আরও তিন জন ভারতীয় ৷ তাদের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷
তারিশির বাবা সঞ্জীব জৈনকে ফোনে সমবেদনা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী ৷ ঢাকার একটি পোষাক তৈরির সংস্থার মালিক তারিশির বাবা সঞ্জীব জৈন। গত ২০ বছর ধরে ঢাকায় বসবাস করছে জৈন পরিবার। তারিশির বড় হওয়া, স্কুলও বাংলাদেশেও। গত বছর বার্কেলের উচ্চশিক্ষার জন্য যায় সে। গত মাসের ২৫ তারিখ ছুটিতে ঢাকায় আসে তারিশি। গত রাতে ক্যাফেতে ডিনার করতে গিয়েই সব শেষ ৷ ছবি সৌজন্যে -এপি প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ভোরের দিকে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষেই গুলি লাগে ১৯ বছরের ভারতীয় মেয়ের গায়ে। জঙ্গিদের গুলিতেই কী মৃত্যু? নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ক্যাফেতে মৃতদের যে তালিকা প্রথমে হাতে আসে, তাতে কোনও ভারতীয়ের নাম ছিল না। পরে সামনে আসে তারিশির ঘটনা।রাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন বা RAB-র দাবি, গুলিবৃষ্টির মধ্যে পড়েই মৃত্যু হয় তারিশির। মেয়ের পণবন্দী থাকার খবর পেতেই ক্যাফের সামনে ছুটে গিয়েছিলেন বাবা। আশা ছিল, মেয়ের সঙ্গে দেখা হবেই। সন্ত্রাসের থাবায় সেই আশা আর সত্যি হল না। এই ২০ জন পণবন্দির মধ্যে ১১ জনই বিদেশি নাগরিক ৷ তারিষি ছাড়া বাকিরা জাপান, শ্রীলঙ্কা, ইতালি,আর্জেন্টিনার বাসিন্দা ৷ আক্রান্ত রেস্তোরাঁয় অভিশপ্ত রাত কাটিয়েও বেঁচে ফেরা এক পণবন্দির সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, জঙ্গিরা পণবন্দিদের ধরে ধরে তাদের কী ধর্ম, কোন দেশের বাসিন্দা তা জিজ্ঞেস করে ৷ তারপর সবাইকে আলাদা আলাদা করে কোরান থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে এবং আয়াত মুখস্থ বলতে বলে ৷ যারা তা বলতে পারেনি তাদের উপর নৃশংস অত্যাচার চালানো হয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ৷ তবে বাংলাদেশের কোনও নাগরিকের সঙ্গে জঙ্গিরা খারাপ ব্যবহার করেনি বলেই জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি ৷ এমনকী বাকিদের জলটুকুও খেতে না দিলেও সন্ত্রাসবাদীরা বাংলাদেশিদের রাতের খাবার পর্যন্ত খেতে দেয় ৷ বাংলাদেশের জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তিনি লিখেছেন, ‘এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ৷ বাংলাদেশের পাশে রয়েছে ভারত ৷ শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয়েছে ৷’
The attack in Dhaka has pained us beyond words. I spoke to PM Sheikh Hasina & strongly condemned the despicable attack.
— Narendra Modi (@narendramodi) July 2, 2016
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।