E 69 highway : পৃথিবীর শেষ রাস্তা! যাবেন নাকি ঘুরতে একবার? মানতে হবে বিশেষ নিয়ম
- Published by:Rohan Chowdhury
- news18 bangla
Last Updated:
All you need to know about E 69 highway the last road in the world. পৃথিবীর শেষ রাস্তা! যাবেন নাকি ঘুরতে একবার? মানতে হবে বিশেষ নিয়ম
#অসলো: পৃথিবীতে অদ্ভুত জিনিসের শেষ নেই। অনেক বিপদ সংকুল রাস্তাও আছে। আর বিপদের সঙ্গে মানুষের হাতছানি নতুন নয়। অনেকেই এমন বিপদ সংকুল রাস্তায় চলার জন্য টান অনুভব করেন। পথের শেষ কোথায়? কী আছে শেষে, তা জানার আগ্রহ সকলেরই। ইচ্ছাও তো করে একবার গিয়ে সেই স্থান দেখে আসার। আচ্ছা আদৌ কী এমন কোনও রাস্তা আছে, যা শেষ হয়ে গিয়েছে!
কী আছে সেখানে? চলুন একবার ঘুরে আসি। দেখে আসি, কী রয়েছে সেখানে। আকাশ যেখানে মিশেছে, সেখানেই কি শেষ পৃথিবীর রাস্তার? পৃথিবীতেই সেই রাস্তা রয়েছে, যা শেষ হয়ে গিয়েছে। রাস্তা মিশে গিয়েছে অসীমে। ভূ-বিজ্ঞানীরা দিলেন সেই রাস্তার হদিশ। যেখানে স্বপ্ন এসে মিশে যায়।
আরও পড়ুন - Kim Jong Un : আমেরিকাকে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি কিমের! ওয়াশিংটন দিল পাল্টা জবাব
পৃথিবীর সেই শেষ রাস্তার ঠিকানা হল ইউরোপের ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’। এই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ অবস্থিত নরওয়ে-তে। ঠিকানা যখন রয়েছে পৃথিবীর শেষ রাস্তার তখন অ্যাডভেঞ্চারের সাক্ষী থাকতে নিশ্চয়ই একবার যেতে মন কাঁদবে অনেকেরই। নরওয়ের ওই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’তে পৃথিবীর শেষ রাস্তা দিয়ে অন্তত একবার হাঁটার শখ অনেকেরই।
advertisement
advertisement
পৃথিবীর এই শেষ রাস্তাটি উত্তর গোলার্ধে অর্থাৎ নিরক্ষরেখার ঠিক উপরের দিকে। রাস্তাটিকে কেন পৃথিবীর শেষ রাস্তা বলা হয়, তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন ভূ-বিজ্ঞানীরা। সেখানে কি কেউ যেতে পারেন, কীভাবে যাওয়া সম্ভব সেখানে, তাও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নরওয়ের ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ উত্তর মেরুর গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে। এই রাস্তা উত্তর ইউরোপের নর্ডক্যাপকে সংযুক্ত করেছে নরওয়ের ওল্ডাফিউওর্ড গ্রামের সঙ্গে।
advertisement
এই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’র দূরত্ব ১২৯ কিলোমিটার। পাঁচটি ট্যানেল পার হয়ে ওই রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। এর মধ্যে সবথেকে যে লম্বা ট্যানেলটি রয়েছে তা হল ‘নর্থ কেপ’। ওই ‘নর্থ কেপ’-এর ৬.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই ‘নর্থ কেপ’ ট্যানেলটি গিয়ে পৌঁছয় সমুদ্রতলের ২১২ মিটার নিচে। সেখানেই শেষ রাস্তা।
Route E69: Norway’s icy marvel of engineering https://t.co/OShQAbc1tC To understand life at the top of the world, you only need to meet the Norwegians who live along the E69, the world’s northernmost highway. pic.twitter.com/0g1Plc7L3z
— Atul Karmarkar (@atulkarmarkar) January 28, 2018
advertisement
ওই রাস্তায় যাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম না মানলে ওই রাস্তায় যাওয়ার অনুমতি মিলবে না, নিয়ম না মানলে ভয়ঙ্কর বিপদ লুকিয়ে রয়েছে ওই রাস্তার পরতে পরতে। তাই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’তে একা যাওয়ার কোনও অনুমতি নেই। ভয়ানক গতিতে বাতায় বইতে থাকে। আর তেমনই ঠান্ডা।
এতটাই ঠান্ডা যে গ্রীষ্মকালেও এখানে বরফ পড়ে। আর শীতকালে এই রাস্তা তুষারে ঢাকা থাকে। বন্ধ থাকে রাস্তা। অতিরিক্ত তুষারপাত, বৃষ্টির সঙ্গে যখন তখন সেখানে ঝড় উঠে। আবহাওয়ার কোনও পূর্বাভাসই এখানে কাজ করে না। তবে একটু গরম কালে এই রাস্তায় দল বেঁধে বাইক নিয়ে যাতায়াত করেন অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীরা।
advertisement
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হয় সেই ছবি। তবে এই রাস্তায় দুর্ঘটনাও ঘটেছে এমন নজির রয়েছে। নরওয়ে সরকার যেমন একটা বিশাল পরিমাণ টাকা আয় করে নর্থার্ন লাইটস দেখিয়ে, তেমনই শেষ কয়েক বছর পৃথিবীর উত্তর প্রান্তের এই দেশের ইউ ৬৯ হাইওয়ে ভ্রমণ পিপাসুদের বাকেট লিস্টে উঠে এসেছে। তবে সঙ্গে গাইড রাখা অবশ্যই উচিত।
Location :
First Published :
July 29, 2022 1:54 PM IST