NEET 2022: বাবা দিনমজুর! ডাক্তারি প্রবেশিকায় নজরকাড়া সাফল্য যমজ ভাইয়ের
- Published by:Pooja Basu
Last Updated:
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরে সংসার চালায় বাবা, দিন এনে দিন খাওয়া পরিবার৷ আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বড়ো কোনও কোচিং সেন্টারে ভর্তি হওয়ার সুযোগ মেলেনি। তাই বাড়িতেই চলত কঠোর অধ্যাবসায়।
#শ্যামপুর: গভীর সমুদ্রে মাছ ধরে বাবা সংসার চালায়৷ তাঁর ছেলেরাই ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে।রূপনারায়ণের ধারে ছোট্ট গ্রাম। সেই গ্রাম থেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন ওরা। সেই স্বপ্নটা ছিল মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর, স্বপ্নটা ছিল চিকিৎসক হয়ে দীনদরিদ্র মানুষের সেবা করা।সেই স্বপ্নের সোপানে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হলেন শ্যামপুরের যমজ ভাই। গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুর-২ ব্লকের রূপনারায়ণ লাগোয়া সাঁইবেড়িয়া গ্রামের যমজ দু'ই ভাই আকাশ হাতি ও বিকাশ হাতি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হলেন। আকাশ ও বিকাশ দু'জনেই ছোটো থেকেই ভীষণ মেধাবী।
আরও পড়ুন Train Time: সিউড়ি থেকে অন্ডাল বিশেষ ট্রেন, দেখে নিন সময়সূচী
ছোটো থেকে অভাবের সংসারে বড়ো হয়ে ওঠা। বাবা রামকৃষ্ণ হাতি মাছ ধরার ট্রলারে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান। অন্যের অধীনে কাজ করে যা মেলে তা দিয়েই কোনও রকমে সংসার চলে। ছোটো থেকেই আকাশ ও বিকাশ ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। ২০২১ সালে শ্যামপুর হাই স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক দেওয়ার পর বাড়িতেই শুরু হয়েছিল প্রস্তুতি। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বড়ো কোনও কোচিং সেন্টারে ভর্তি হওয়ার সুযোগ মেলেনি। তাই বাড়িতেই চলত কঠোর অধ্যাবসায়। গাইড হিসাবে ওরা পাশে পেয়েছিল শিক্ষক তুহিন পাত্রকে। একবছরের লাগাতার পরিশ্রম, অদম্য আর মেধাই এনেদিল সাফল্য। বুধবার ডাক্তারির সর্বভারতীয় পরীক্ষা নিটের রেজাল্ট প্রকাশ হলে দেখা যায় আকাশ সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ২৫৮৫ র্যাঙ্ক করেছে (৭২০ এর মধ্যে ৬৬১ পেয়েছে)।
advertisement
আরও পড়ুন Birbhum News : সোনাঝুরিতে তৈরি হচ্ছে রিসর্ট, বেনিয়মের অভিযোগ
বিকাশের সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক ৭৯৭৪(৭২০ এর মধ্যে ৬৩৫ পেয়েছে)। আকাশ হাতির কথায়, "ছোটো থেকেই অভাবের সংসারে বড়ো হয়ে ওঠা। আমাদের এই লড়াইয়ে আমরা তুহিন স্যারকে ভীষণভাবে পাশে পেয়েছি। তিনি আমাদের বিভিন্নভাবে গাইড করার পাশাপাশি বিভিন্ন বই, স্টাডি মেটেরিয়াল দিয়ে বছরভর সাহায্য করেছেন। তাঁর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।"
advertisement
advertisement
আকাশ ও বিকাশ দু'জনেই জানিয়েছেন, আপাতত তাদের লক্ষ্য সফলভাবে এমবিবিএস পাশ করা। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে তাঁরা চিন্তা-ভাবনা করবেন। সন্তানদের এহেন সাফল্যে ভীষণভাবে উচ্ছসিত পরিবার। মা উমা হাতির কথায়, ছোটো থেকেই ওদের মধ্যে ভীষণ জেদ আর পড়াশোনার প্রতি একাগ্রতা ছিল। তা দিয়েই ওরা সাফল্য পেয়েছে। গ্রামের ছেলেদের এহেন সাফল্যে খুশি স্থানীয়রাও। স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট নরেশ দোলুইয়ের কথায়, আকাশ-বিকাশ দুই ভাই, দেখিয়ে দিল আমাদের গ্রামের ছেলেরাও পারে। ওদের গর্বে এখন সমগ্র সাঁইবেড়িয়া গ্রাম গর্বিত।
advertisement
রাকেশ মাইতি
Location :
First Published :
September 08, 2022 3:28 PM IST