Durga Puja 2022 Travel : রূপনারায়ণের তীরে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি ঘিরে পর্যটন, ঘুরে আসুন ছোট্ট অবসরে
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
Last Updated:
Durga Puja 2022 Travel : শহরের ব্যস্ত জীবনে সপ্তাহান্তে কলকাতা থেকে একদিনেই ঘুরে ফিরে আসা যায় বা পূজোর ছুটিতে দু-একদিন ঘুরে আসতে পারেন
রাকেশ মাইতি, হাওড়া: সামতাবেড় গ্রামে নদীর তীরে কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের বাড়ি। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার জীবনের শেষ ১২টি বছর কাটিয়েছিলেন গ্রামীণ হাওড়া দেউলটি রূপনারায়ণ নদের তীরে সামতাবেড় গ্রামে। শান্ত নিরিবিলি এক গ্রাম, বেশ কয়েকটি কালজয়ী গল্প উপন্যাস রচনা করেছিলেন এই স্থান থেকেই। গ্রামীণ হাওড়ার সামতাবেড় গ্রাম কলকাতা থেকে দূরত্ব মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার। শহরের ব্যস্ত জীবনে সপ্তাহান্তে কলকাতা থেকে একদিনেই ঘুরে ফিরে আসা যায় বা পূজোর ছুটিতে দু-একদিন ঘুরে আসতে পারেন।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে গড়ে ওঠা ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির জন্য এই জায়গা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। পর্যটকদের কাছে এক অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান।
গুগুল লোকেশন :https://goo.gl/maps/aChqcWgK3k8FRU3G9
advertisement
ঠিকানা : সামতাবেড়, দেউলটি, হাওড়া, পিন-৭১১৩০৩
প্রায় সারা বছর পর্যটকদের আসা যাওয়া, তবে পুজোর ছুটি থেকে তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। শীতে সামতাবেড় নদী তীরবর্তী স্থানে পিকনিক স্পট হিসাবে বেশ জনপ্রিয়। গ্রামের অপরূপ দৃশ্য গাছ-গাছালিতে পাখির আনাগোনা তাদের কলরব, রূপনারায়ণ নদী কিনারে দমকা হাওয়া আর শীতের মিঠেল রোদ আকৃষ্ট করে মানুষকে।
advertisement
আরও পড়ুন : দুর্গাপুজোর শোভাযাত্রার জন্য কোন কোন রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ, জানুন আজ কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ সড়কের অবস্থা
গ্রামীণ হাওড়ার দেউলটি সামতাবেড় গ্রামর দিকে এগিয়ে গেলে চোখে পড়বে এক অপরূপ গ্রামীণ দৃশ্য যা চোখ জুড়িয়ে যাবে, রাস্তায় চড়ে বেড়াচ্ছে, গবাদি পশু হাঁস মুরগি রাস্তার পার্শ্ববর্তী চাষের জমি। দেখতে দেখতে পৌঁছে যাবেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের আবাস গৃহে। সেখানে প্রথমেই নজরে আসবে, একটি ফটক। তারপরই নজরে আসবে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তি। রয়েছে দ্বিতল টালির ছাওনির বাড়ি, বাড়িটির চারপাশ ঘিরে রয়েছে বারান্দা, জানা যায়, একসময় এই বাড়ির গা ঘেঁসেই কল কল রবে বইতো রূপনারায়ন নদী, কালক্রমে তা বাড়ি থেকে কিছুটা দূরত্ব বেড়েছে নদীর। এই বাড়িতে (১৯২৬-১৯৩৮ সাল) জীবনের শেষ ১২টা বছর কাটিয়েছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এখানে থেকেই তিনি লিখেছিলেন অভাগীর স্বর্গ, বিপ্রদাস, কমললতা, শেষ প্রশ্ন, পল্লীসমাজ, রামের সুমতি, পথের দাবী ও মহেশ- এর মতো কালজয়ী গল্প উপন্যাস। জানা যায়, সে সময় এই বাড়ির পড়ার ঘরে বসে থেকে দেখা যেত রূপনারায়ণ নদী।
advertisement
আরও পড়ুন : খোঁজ নেয়নি পরিবার, ৫ মাস ধরে উড়ালপুলের নীচে পড়ে আছেন চলৎশক্তিহীন অসুস্থ পরিযায়ী রাজমিস্ত্রি
এখন এই বাড়িতে আছে, তার লেখার ডেস্ক, জাপানি ঘড়ি, হুঁকো, বইয়ের তাক, সোফা, বিছানা, রেডিও, ঠাকুরের সিংহাসন, আলমারিতে বই সহ নানা জিনিস।
যোগাযোগ ব্যবস্থা: ট্রেন পথে- দক্ষিণ পূর্ব শাখায় হাওড়া থেকে দেউলটি স্টেশন। টেন থেকে নেমে অথবা টোটোতে চেপে সহজে যাওয়া যায় সামতাবেড় গ্রাম শরৎকুঠি।সড়কপথে-১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে উলুবেরিয়া পার করে দেউলটি।
advertisement
থাকা খাওয়া: কলকাতার অদূরেই সামতাবেড় গ্রাম সকালে পৌঁছে সারাদিন ঘুরে ফেরা। অথবা ছুটিতে দু-একদিন শান্ত পরিবেশ সময় কাটানো
ঘর ভাড়া: প্রতিদিন-৯০০-১০০০ ট্যাক্স ( নন এসি)ও ২০০০ ট্যাক্স (এসি)
Location :
First Published :
September 01, 2022 4:26 PM IST