#হাওড়া- বাঙালি মানেই মিষ্টিপ্রিয় । খাবারের শেষ পাতে একটা রসগোল্লা বা পন্তুয়া চায়না , এরকম বাঙালি বোধহয় খুব কমই আছে। আর সেই পান্তুয়া তৈরিতেই সারা দেশের মধ্যে সুনাম অর্জন করেছে হাওড়ার আমতা এলাকা। শুধু রাজ্য বা দেশই নয়, এখানকার পন্তুয়া দেশের সীমানা পেরিয়ে পারি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, জাম্বিয়ার মতো বিশ্বের বিভিন্ন তাবড় তাবড় দেশেও।
আমতার বেশ কয়েকটি মিষ্টির দোকানে তৈরি পান্তুয়া কয়েক দশক ধরেই মন জুড়িয়েছে আপামর বাঙালির। কোনো কোনো দোকান ৫০ বছর, তো কোনোটি আবার শতবর্ষেরও বেশী সময় ধরে তৈরি করে আসছে ঘিয়ে ভাজার পর রসে টইটুম্বুর এই মিষ্টি। এগুলির মধ্যে অন্যতম চড়িতের পান্তুয়া, শীতলা মিষ্টান্ন ভান্ডারের পান্তুয়া। এছাড়াও রসপুরের বেশ কয়েকটি মিষ্টির দোকান মিলিয়ে প্রায় ৩০ টির কাছাকাছি ছোটো - বড়ো দোকানে বহু বছর ধরে তৈরি হয়ে আসছে আমতার বিখ্যাত পান্তুয়া। পকেটের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই পাঁচ টাকা থেকে পনেরো টাকা, এর মধ্যে নানান দামেই পাওয়া যায় এই একটুকরো অমৃত। শোনা যায় এখানকার পান্তুয়া নাকি পারি দিতো দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বাড়িতেও।এখানকার বিখ্যাত পান্তুয়া প্রস্তুতকারী গোবিন্দ চন্দ্র চড়িত এন্ড ব্রাদার্স দোকানের অন্যতম অংশীদার নারায়ণ চন্দ্র চড়িত জানান, দীর্ঘ ১৪২ বছর ধরে তারা পান্তুয়া তৈরি করে আসছেন। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া - সহ পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই যেখানে তাদের পান্তুয়া যায় নি। এদেশের মতো সেইসব দেশেও বহু সুনাম অর্জন করেছে তাদের পান্তুয়া।কালের নিয়মে বদলে যাচ্ছে সব কিছুই। তবে আধুনিক সময়ে কাঁচের দরজা লাগানো যে কোনো মিষ্টির দোকানে তৈরি পান্তুয়াকে স্বাদের দিক থেকে দশ গোল দেবে হাওড়ার আমতার বিখ্যাত পান্তুয়া, বলেই জানাচ্ছেন এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।