Achintya Shiuli: অচিন্ত্যর সোনা জয় কী ফেরাবে গ্রামের ভাগ্য? বন্ধ প্রশিক্ষণ! প্রতিশ্রুতিই সার!

Last Updated:

Achintya Shiuli: অচিন্ত্যর সোনা জয়ে উৎসবে মেতেছে গ্রাম! কিন্তু কোথাও যেন প্রদীপের নীচে অন্ধকার! এত ফ্ল্যাশলাইটের মাঝেও আজ‌ও উন্নত হল না অচিন্ত্যর অনুশীলন কেন্দ্র! শুধু মিলেছে প্রতিশ্রুতি! জানুন

+
কমন‌ওয়েলথে

কমন‌ওয়েলথে সোনার ছেলে অচিন্ত্যর হাওড়ার অনুশীলন কেন্দ্র

#হাওড়া: খবরের শিরোনামে এখন পাঁচলার দেউলপুর। আর হবে না-ই বা কেন! বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথে ভারোত্তোলনে দেশের হয়ে সোনা জিতেছেন যে দেউলপুরের গ্রামের যুবক অচিন্ত্য শিউলি। রবিবার রাত থেকেই কার্যত আনন্দের জোয়ারে ভাসছে গোটা গ্রাম। অচিন্ত্যর পরিবার, প্রশিক্ষক, গ্রামের সকলেই ভীষণভাবে প্রত্যাশী ছিলেন। আর তা-ই হয়েছে। অচিন্ত্য পদক নিয়ে দেশে ফিরবে, এই প্রত্যয়েই তারা অধীর অপেক্ষায় চোখ রেখেছিল জায়ান্ট স্ক্রিনে। রবিবার প্রায় সারাদিন অচিন্ত্যর বাড়িতেই কাটে অচিন্ত্যর গ্রামের প্রশিক্ষক অষ্টম দাসের। অষ্টম বাবুর কাছে ভারোত্তোলনে হাতেখড়ি ও দীর্ঘদিন অনুশীলন করেছেন অচিন্ত্য শিউলি। স্বভাবতই নিজের ছাত্রকে নিয়ে ভীষণ আশায় ছিলেন অষ্টম বাবু৷
সেই আশাতেই বিনিন্দ্র রাত কাটিয়েছেন তিনি। কিন্তু কোথাও যেন প্রদীপের নীচে অন্ধকার! এতো ফ্ল্যাশলাইটের মাঝেও কোথাও যেন বিষাদের করুণ সুর। ক্রীড়া সংস্কৃতিতে বরাবরই ভীষণ সুনাম রয়েছে পাঁচলার দেউলপুর এলাকার। এক সময় এলাকার মানুষ মেতে থাকতেন ফুটবলে। একসময় দেউলপুরের বাগ পরিবারের তৈরি বিখ্যাত বাঁশের পোলো বল বিশ্বের দরবারে পৌঁছেছিল। সময়ের স্রোতে সব-ই যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। সবুজ ফুটবল আজ একবুক ঘাসের আস্তানা। পোলোবলও আজ কার্যত ইতিহাস। ফুটবল চর্চাও সেভাবে আর হয় না। এতো 'না' এর মাঝেও প্রচারের লাইমলাইটের বাইরে থেকে ইতিবাচক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামের 'দ্রোণাচার্য' প্রশিক্ষক অষ্টম দাস। অষ্টম বাবুর হাত ধরেই এলাকায় ক্রীড়া সংস্কৃতি ফের যেন আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে। স্থানীয় এলাকায় ক্রীড়া চর্চার প্রসারে তিনি যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন, তেমনই তাঁর হাত ধরেই উঠে আসছেন অচিন্ত্য শিউলির মতো 'সোনার ছেলে'।
advertisement
তবে অষ্টম বাবুর গলায় আক্ষেপের সুর। নেই যথাযথ পরিকাঠামো, নেই প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক জোগান। অষ্টম বাবুর কথায়, যখনই সাফল্য আসে তখনই ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতি মেলে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি আর কার্যকর হয়নি। এই কথা শুধু অষ্টম দাসের নয়, গ্রামের মানুষের একই আক্ষপ। আসলে বছরের পর বছর যে জায়গায় কঠোর অনুশীলন করে জাতীয় স্তরে বা আন্তর্জাতিক স্তরে অচিন্ত্যরা পৌঁছয় সেই অনুশীলন স্থল একেবারেই উপযুক্ত নয় বলে অভিযোগ।
advertisement
advertisement
দীর্ঘদিন ধরেই চলছে খোলা আকাশের নীচে প্রশিক্ষণ। বহু কষ্টে অষ্টমবাবু তাঁর বাড়ির একতলা ছাদের অংশ বাড়িয়ে খেলার সরঞ্জাম রাখার ব্যবস্থাটুকু করেছেন। যে স্থানে জনা পঞ্চাশেক ছেলের বৃষ্টি এলে মাথা গোজার ঠাঁই হয় না, বর্ষাভোর সেখানেই চলে অনুশীলন। তাঁদের আশা, অচিন্ত্যর সাফল্যের সৌজন্যে বাস্তবে রূপায়িত হতে পারে প্রতিশ্রুতি। আপাতত সেই আশাতেই বুক বেধেছেন দেউলপুরের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ।
advertisement
রাকেশ মাইতি 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/হাওড়া/
Achintya Shiuli: অচিন্ত্যর সোনা জয় কী ফেরাবে গ্রামের ভাগ্য? বন্ধ প্রশিক্ষণ! প্রতিশ্রুতিই সার!
Next Article
advertisement
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
  • এসএসকেএমে ‘যৌন হেনস্থা’র অভিযোগ নাবালিকাকে

  • ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন শৌচাগারে!

  • অভিযুক্ত গ্রেফতার

VIEW MORE
advertisement
advertisement