Hooghly News: কামানের গোলা ফেটে মৃত্যু কারখানার ২ শ্রমিকের! মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী শ্রীরামপুর

Last Updated:

Serampore Factory Explosion: গনেশ স্টিল নামে ওই কারখানায় লোহার ছাঁট (স্ক্র্যাপ) থেকে লোহা গলানো হয়। তাতে ডেফেন্সের অনেক ছাঁট যেমন শেলও থাকে। শ্রমিকরা গ্যাস দিয়ে সেই ছাঁট কাটিং-এর কাজ করছিলেন।

+
হাসপাতালে

হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ের ছবি

হুগলি: শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরে দিল্লী রোডের ধারের একটি কারখানায় ছাঁট লোহায় গ্যাস কাটিং-এর কাজ করার সময় বিস্ফোরণ! ঘটনায় মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের, আহত চারজন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের কলকাতায় নিয়ে যাওয়া করা হয়। মৃত দুই ব্যক্তির নাম গুয়েরাম দলুই ও পঙ্কজ দাস। মৃত দুই ব্যক্তি শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। বছর ৪৮-এর গুয়েরাম দলুই। বছর ১৯-এর পঙ্কজ দাস বেলু পঞ্জাবি বাগানের বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগদ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গনেশ স্টিল নামে ওই কারখানায় লোহার ছাঁট (স্ক্র্যাপ) থেকে লোহা গলানো হয়। তাতে ডেফেন্সের অনেক ছাঁট যেমন শেলও থাকে। শ্রমিকরা গ্যাস দিয়ে সেই ছাঁট কাটিং-এর কাজ করছিলেন। হঠাৎই প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। যেসব শ্রমিকরা সেখানে কাজ করছিলেন তাঁরা আহত হন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু'জনের। শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি হয় কারখানায়। শ্রমিকরা অফিস ঘরে ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ হাজির হয়। খবর পেয়ে কারখানায় যান স্থানীয় বিধায়ক তথা হুগলি শ্রীরামপুর জেলা তৃনমূল সভাপতি অরিন্দম গুঁইন।
advertisement
advertisement
বিধায়ক বলেন, ''লোহা কাটাই এর কাজ করার সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে এগুলো ডিফেন্সের ছাঁট লোহা। অল্প পারিশ্রমিকে শ্রমিকদের এই সমস্ত কাজ করানো হয়। বিষয়টা কতটা বৈধ বা অবৈধ সেটা দেখা দরকার। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে বা যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।''
advertisement
কারখানার শ্রমিক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ''অনেক ধরনের লোহার ছাঁট মাল এখানে আসে। বড় লোহা হলে সেগুলোকে গ্যাস দিয়ে কাটিং করে আমরা ছোট করি। কয়েকটির মধ্যে কামানের গোলাও থাকে। যেগুলোতে বারুদ থাকে সেগুলো আলাদা করে দূরে ফেলে রাখি। সুপারভাইজার ভীম সিং আজ ওই গোলাগুলোকে কাটার নির্দেশ দেন। কাটার সময়ই বিস্ফোরণ হয়।আমাদের নিরাপত্তা নেই কারখানায়।''
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ পাল এই ঘটনার পর কারখানা চত্বরে আসেন। তিনি বলেন, ''দুর্ঘটনার পর ম্যানেজমেন্টের লোকজন পালিয়ে যায়। মৃতদেহ বের করে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তখন এলাকার লোক বাধা দেয়।''
কারখানা ম্যানেজার কুনাল রায় বলেন, ''আমি ১১টার সময় এসে দুর্ঘটনার কথা জানতে পারি। হাসপাতালে যাই। স্টিল প্ল্যান্টে ছাঁট লোহা দিয়ে কাজ হয়। মৃত এবং আহতদের ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা করা হবে।''
advertisement
চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, কী কারনে এই দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাহী হালদার
বাংলা খবর/ খবর/হুগলি/
Hooghly News: কামানের গোলা ফেটে মৃত্যু কারখানার ২ শ্রমিকের! মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী শ্রীরামপুর
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement