Hooghly: পাহাড় সমান ঋণের বোঝা এভারেস্ট জয়ী বঙ্গ কন্যার কাঁধে
Last Updated:
এভারেস্টের পর লোৎসে, ৪৮ ঘণ্টায় পর পর দুইটি উচ্চতম শৃঙ্গ আরোহণ করলেন চন্দননগরে পিয়ালী বসাক । পর্বতারোহী হিসাবে পর পর দুটি শৃঙ্গ জয় করে আবারো নজির গড়লেন বঙ্গ কন্যা।
চন্দননগর: এভারেস্টের পর লোৎসে, ৪৮ ঘণ্টায় পর পর দুইটি উচ্চতম শৃঙ্গ আরোহণ করলেন চন্দননগরে পিয়ালী বসাক । পর্বতারোহী হিসাবে পর পর দুটি শৃঙ্গ জয় করে আবারো নজির গড়লেন বঙ্গ কন্যা। মঙ্গলবার সকালে লোৎসে পর্বত শৃঙ্গ জয় করে বুধবার তার বেস ক্যাম্পে নামার কথা জানিয়েছে তার পর্বত আরোহণ এজেন্সি। বঙ্গ কন্যার এতো বড়ো সাফল্যের পরেও দুশ্চিন্তার ভাঁজ তার পরিবারের কপালে। কারণ এখনো বাকি ১২ লক্ষ টাকা। পিয়ালির এভারেস্ট অভিযানের মোট খরচ ছিল ৩৫ লক্ষ টাকা। তিনি ক্রাউড ফাইন্ডিং - এর মাধ্যমে ২২ লক্ষ টাকা যোগাড় করেন। কিন্তু এখনও বাকি ১২ লক্ষ টাকা। পিয়ালিকে নেপালের কাঠমান্ডু তেই পুরো টাকা মিটিয়ে আসতে হবে তাই এজেন্সি কোম্পানিকে। নইলে মিলবেনা শংসাপত্র। তাই দুশ্চিন্তায় পিয়ালির পরিবার। বাড়ি বন্ধক দেয়ার কথা আগেই শোনা গিয়েছিল এখন টাকা যোগাড় না হলে বাড়ি বন্দক দেওয়ার কথা বলছেন মা স্বপ্না বসাক। পিয়ালির বাবা তপন বসাক অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত। তাই তিনি শয্যাশায়ী। সংসার দাঁড়িয়ে আছে পিয়ালির উপার্জনে। এরই মধ্যে পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গ জয় করার পরেও পাহাড় সমান ঋণের বোঝা তার কাধে এখনো রয়ে গিয়েছে।
পিয়ালির মা স্বপ্না বসাক জানান, প্রায় ১২ লক্ষ টাকা এখনো দিতে হবে। এই টাকা যোগার করতে না পারলে খুবই সমস্যায় পরে যাবে মেয়ে। পিয়ালি কে কাঠমান্ডু তে থাকতে থাকতে এই টাকা মেটাতে হবে। এই টাকা থেকে শেরপাদের বোনাস সহ একাধিক দরকারের জন্য এই টাকা মেটাতে হবে, এমনই কথা হয়েছে এজেন্সির সঙ্গে। আর টাকা শোধ না করতে পারলে শংসাপত্র পাবেনা। এই অভিযানে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে পিয়ালির, তার মধ্যে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা ক্রাউড ফান্ডিং থেকে এসেছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বেআইনিভাবে রেশন সামগ্রী রাখার অভিযোগে গ্রেফতার দোকান মালিক
আমরা চাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার হাত বাড়িয়ে দিক। ও যেমন দেশের একটা গর্ব,তেমন ওর মাথায় এখন একটা এত বড় ঋণের বোঝা চেপে রয়েছে। এর সাথে আগে ২০১৯ সালের অসমাপ্ত এভারেস্ট অভিযানে জন্য ৩৫ লক্ষ টাকার ঋণ রয়েছে। সমস্ত টাকা যদি শোধ না দেওয়া যায় তাহলে বাড়িটি হয়তো বন্ধক দিতে হতে পারে বলেও জানান তিনি। এই সব টাকা যোগার করতে ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথাও বলেছিলো বসাক পরিবার।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ 'হেরিটেজ'-এর তালিকায় রাজা রামমোহন রায়ের জন্মস্থান, সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
তবে ব্যাঙ্ক জানিয়ে দেয় অল্প সময়ের মধ্যে বন্ধকীকরন প্রক্রিয়া সম্ভব নয়। তবু তারা টাকা যোগারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে যদি টাকা যোগার না হয়,তাহলে বাড়ি বন্ধক দেওয়া ছাড়া আর কোন পথ নেই বলে মনে করছেন তিনি।
advertisement
Rahi Halder
view commentsLocation :
First Published :
May 25, 2022 2:49 PM IST