JU Student Death: চন্দ্রযানের সাফল্যের মধ্যেও নিজের বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুরের কাণ্ডে সরব চন্দননগরের মহাকাশ বিজ্ঞানী
- Published by:Debalina Datta
- hyperlocal
- Reported by:RAHI HALDAR
Last Updated:
JU Student Death: শুভদীপের মা রীণা দে বলেন, "যাদবপুরের ঘটনায় ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। যাদবপুর সম্বন্ধে আমার ভীষণ ভাল ধারণা। আমি নিজে গেছি ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গেছি। কখনও এরকম দেখিনি। শুনেছি ওদের মধ্যে অনেক ইউনিটি ছিল। রাত জেগে পড়াশোনা করত সিনিয়র দাদারা গাইড করত।
হুগলি: চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্যের পর ইসরো থেকেই যাদবপুর নিয়ে সরব বিজ্ঞানী ও যাদবপুরের প্রাক্তনী শুভদীপ দে। চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্যের মধ্যেও নিজের ইউনিভার্সিটির ঘটনায় মন খারাপ বর্তমান মহাকাশ বিজ্ঞানীর। তাদের সময় ক্যাম্পাসে এইরকম পরিস্থিতি কখনই ছিল না সেই বিষয়ে জানিয়েছেন খোদ শুভদীপ ।
চন্দননগরের মানকুন্ডু গ্রিন পার্কের বাসিন্দা প্রবীর ও রীণা দে। দু’জনেই রেলেরকর্মী।তাদর একমাত্র ছেলে শুভদীপ শ্রীরামপুরের মাহেশ রামকৃষ্ণ আশ্রম স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে যাদবপুরে ভর্তি হন।জয়েন্টে ৯৫ র্যাঙ্ক করেন।ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন নিয়ে বি টেক করেন যাদবপুর থেকে।আই আই টি খড়গপুর থেকে মাস্টার্স করেন।আইসিআরভি পরীক্ষায় সফল হয়ে ইসরোয় বিজ্ঞানী হিসাবে বিক্রম সারাভাই স্পেস রিসার্চ সেন্টারে যোগ দেন ২০১৮ সালে সেখান থেকে ইসরোয়।
advertisement
advertisement
চন্দ্রযান ৩ মিশনে আরওঅনেক গর্বিত বাঙালীর সঙ্গে শুভদীপও রয়েছেন। ডপলার ওয়েদার র্যাডার নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। বিজ্ঞানীর বাবা প্রবীর দে বলেন, “চন্দ্রযান ২ অসফল হওয়ায় খুব চিন্তা ছিল চন্দ্রযান ৩ নিয়ে।তখন ছেলে বলেছিল সফট ল্যান্ডিং এর কথা। আমরা অত বুঝি না। তবে মনে হয়েছিল এবার সফল হবে।” তবে চন্দ্রযানের সফল্যের মধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিলেনবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রের বাবা, “অভিভাবক হিসেবে যাদবপুরের এই ঘটনা কেউই মেনে নেব না। আমার ছেলে যখন পড়তো তখন অবশ্যই এই ধরণের কোনও কথা আমার ছেলে বলেনি। জয়েন্টে প্রথম দিকে যাদের র্যাঙ্ক থাকে তারাই তো এখানে ভর্তি হয়।”
advertisement
শুভদীপের মা রীণা দে বলেন, “যাদবপুরের ঘটনায় ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। যাদবপুর সম্বন্ধে আমার ভীষণ ভাল ধারণা। আমি নিজে গেছি ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গেছি। কখনও এরকম দেখিনি। শুনেছি ওদের মধ্যে অনেক ইউনিটি ছিল। রাত জেগে পড়াশোনা করত সিনিয়র দাদারা গাইড করত। কেউ কিছু বুঝতে না পারলে সেগুলো সিনিয়র দাদারা বুঝিয়ে দিত। আমার ছেলে হোস্টেলে থাকত না পিজিতে থাকতো। তবে সিনিয়র দাদারা তাদের গাইড করেছে।র্যাগিং বন্ধ করা উচিত। মেধাবী বলেই তো যাদবপুরে সুযোগ পেয়েছে। কারো সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা হবে কেউ চায় না।”
advertisement
Rahi Halder
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
August 27, 2023 7:02 PM IST