Hooghly News: ফরাসি শাসন থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন, চন্দননগরের ইতিহাস ঠাঁই পেল কলেজ মিউজিয়ামে

Last Updated:

স্বাধীনতা সংগ্রামে চন্দননগরের ইতিহাস জায়গা পেল কলেজ মিউজিয়ামে

+
title=

হুগলি: সারা বাংলার অন্যতম ঐতিহ্যপূর্ণ শহর চন্দননগর। ইতিহাসের পাতায় এই জায়গার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। পরাধীন ভারতকে স্বাধীন করার লড়াইয়ে অন্যতম অবদান ছিল এই শহরের। বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর পীঠস্থান এই চন্দননগর। সেই সমস্ত ইতিহাসের সাক্ষ্য বহনকারী চন্দননগর ডুপ্লেক্স কলেজে তৈরি হয়েছে একটি মিউজিয়াম। সেখানে এককালের ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগরের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। শুক্রবার সেই মিউজিয়ামের উদ্বোধনে চাঁদের হাট বসল।
চন্দননগর কলেজের এই মিউজিয়ামটি বিপ্লবীদের গৌরবময় স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়। পাঁচটি ঘর বিশিষ্ট এই মিউজিয়ামে আছে একাধিক বিপ্লবীর হাতে লেখা চিঠি থেকে শুরু করে ব্রিটিশ পুলিশের রিপোর্ট, চরকা, ডিঙি নৌকা, প্রাচীন তাঁত, টাইপ রাইটার সহ সশস্ত্র স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের নানান নমুনা। রয়েছে বিপ্লবীদের একাধিক দুষ্প্রাপ্য ছবি, মূর্তি, পুরনো খবরের কাগজের কাটিং।
advertisement
advertisement
গঙ্গাতীরবর্তী প্রাচীন চন্দননগর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চন্দননগর কলেজ। ১৮৬২ সালে স্থাপিত কলেজের পূর্বতন নাম ছিল একোল দে সাঁৎ মেরি। ফরাসিদের হাত ধরে এই কলেজটি গড়ে উঠেছিল। ১৯০১ সাল থেকে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ডুপ্লে কলেজ নামে পরিচিত হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৪৮ সালে নাম পরিবর্তন করে চন্দননগর কলেজ রাখা হয়। চন্দননগর কলেজ শুরু থেকেই একটি ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান। একদা কলেজের সহ-অধ্যক্ষ চারুচন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে কলেজ সহ গোটা চন্দননগর শহর বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। সরাসরি স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার দায়ে ১৯০৮ থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত টানা ২৩ বছর কলেজ বন্ধ রেখেছিল ব্রিটিশরা। চারুচন্দ্র রায়ের বিখ্যাত শিষ্যদের মধ্যে ছিলেন ১৯০৮ সালে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত তরুণ বিপ্লবী কানাইলাল দত্ত, শ্রীশচন্দ্র ঘোষ, রাসবিহারী বসুর মত বিপ্লবীরা। সেখানেই চন্দননগর কলেজের সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজ-এর তত্ত্বাবধানে কলেজের ১৬১ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ভবনে গড়ে তোলা হয়েছে চন্দননগর কলেজ মিউজিয়াম।
advertisement
এই মিউজিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস সরকার, চন্দননগর পুরনিগমের মেয়র রাম চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র শ্রীমুন্না আগরওয়াল, কমিশনার স্বপন কুমার কুণ্ডু, রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের সদস্য পার্থ রঞ্জন দাস, ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সায়েন্স মিউজিয়ামের পরিচালক ড. নটরাজ দাশগুপ্ত, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ও সঙ্গীত পরিচালক, চিত্রগ্রাহক এবং অভিনেতা গৌতম ঘোষ সহ আরও অনেকেই।
advertisement
রাহী হালদার
view comments
বাংলা খবর/ খবর/হুগলি/
Hooghly News: ফরাসি শাসন থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন, চন্দননগরের ইতিহাস ঠাঁই পেল কলেজ মিউজিয়ামে
Next Article
advertisement
১ কোটি টাকার মহারানি গাউন ! ২৫ জন কারিগরের শ্রমে চোখ ধাঁধাল সোনা, রুপো এবং মূল্যবান পাথরখচিত জয়পুরের এক মাস্টারপিস
১ কোটি টাকার মহারানি গাউন ! ২৫ জন কারিগরের শ্রমে চোখ ধাঁধাল জয়পুরের এক মাস্টারপিস
  • ১ কোটি টাকার মহারানি গাউন !

  • ২৫ জন কারিগরের শ্রমে চোখ ধাঁধাল সোনা, রুপো এবং মূল্যবান পাথরখচিত

  • জয়পুরের এক মাস্টারপিস

VIEW MORE
advertisement
advertisement