Hooghly News: বিজ্ঞানের আবিষ্কারে এই প্রথম, গবেষণায় নয়া মোড় এনে তাক লাগালেন বাঙালি বিজ্ঞানী
- Reported by:RAHI HALDAR
- news18 bangla
- Published by:Riya Das
Last Updated:
Hooghly News: একজন বিজ্ঞানী তিনি যদি পশুপ্রেমী হন তাহলে কি তিনি কখনোই চাইবেন পশু হত্যা ! সেই চিন্তাভাবনা থেকেই বাঙালি বিজ্ঞানীর নতুন আবিষ্কার মলি মাছ মডেল। যেখানে প্রাণী হত্যাও হবে না একই সঙ্গে এগিয়ে চলবে গবেষণা।
হুগলি: বৈজ্ঞানিকরা তাদের আবিষ্কারের সময় টেস্ট করার জন্য ব্যবহার করতেন ইঁদুর বা গিনিপিগ। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই সব প্রাণীদের মৃত্যু ঘটত। এই নিয়ে নানান পশু প্রেমী নানান সময় কথা তুলেছিলেন বিজ্ঞানের ব্যবহারে পশু হত্যা নিয়ে। তবে একজন বিজ্ঞানী তিনি যদি পশুপ্রেমী হন তাহলে কি তিনি কখনওই চাইবেন পশু হত্যা ! সেই চিন্তাভাবনা থেকেই বাঙালি বিজ্ঞানীর নতুন আবিষ্কার মলি মাছ মডেল। যেখানে প্রাণী হত্যাও হবে না একই সঙ্গে এগিয়ে চলবে গবেষণা।
হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা ডঃ মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার। ইঁদুর, গিনিপিগ এর বদলে মলি মাছকে মডেল করে গবেষণায় সাফল্য এনেছেন এই বাঙালি গবেষক। পেটেন্ট জার্নালে প্রকাশিত হল গবেষণার বিষয়। এই বছরের ২৬ শে মে ইন্টেলেকচুয়ার প্রপার্টি অ্যাক্ট ইন্ডিয়া জার্নালে প্রকাশিত হয় সেই বিষয়। ডঃ মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার ছোট থেকেই পশু পাখিদের পছন্দ করেন। তার বাড়িতে রয়েছে বিভিন্ন বিদেশি পাখি ও পায়রা অ্যাকোরিয়াম। যেখানে চলছে নানা গবেষণা। হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি থেকে ফার্মোকলজিতে পিএইচডি করেন। চাকদহ-তে নেতাজী সুভাষ বোস ইন্সটিটিউট অফ ফার্মাসিতে প্রফেসার ও বিভাগীয় প্রধান হিসাবে কর্মরত। সেই কলেজেরই কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিনের উপর গবেষণা শুরু করেন। সাড়ে ছয় বছর গবেষণার পর সাফল্য আসে।
advertisement
advertisement
কেন মলি মাছের উপর গবেষণা সেই বিষয়ে মৃত্যুঞ্জয় বাবু বলেন, ইঁদুর, হ্যামস্টার বা গিনিপিগের মডেল খুঁজে পেতে সমস্যা হয়। আর যে প্রাণীর উপর গবেষণা করা হয় সেই প্রাণীর মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী থাকে এক্ষেত্রে। এই সব প্রাণীর একটি মডেলে গবেষণা খুবই খরচের। মলি মাছের ক্ষেত্রে সেই সমস্যা নেই। পয়োসিলিয়া স্পিন্ফস বা মলি মাছ সহজলভ্য। ভিভি পোরাস প্রজাতির হওয়ায় এই মাছে গবেষণা করা যায় অনায়াসে। মলি মাছের দাম অন্যান্য মডেলের তুলনায় অনেক কম। একটি অ্যাকোরিয়ামে মেল ফিমেল মলিকে মিট করানোর পর তাদের পৃথক করে রাখা হয়। ১৯ দিনের মাথায় ফিমেল মলি মাছকে খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে ওষুধ দেওয়া হয়।
advertisement
ডঃ মৃত্যুঞ্জয় জানিয়েছেন,এই গবেষণা থেকে যে ওষুধ বাজারে আসবে তার দাম হবে অনেক কম। অনেক বেশি গবেষণার দিক খুলে যাবে। এতদিন যেটা দস্তুর ছিল অর্থাৎ যার উপর গবেষণা হবে তার মৃত্যু, এক্ষেত্রে সেটা হবে না। মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার বলেন, বিশ্বে এই গবেষণা প্রথম। তাকে গবেষণায় সাহায্য করেন এনএসবিআইএফ এর প্রিন্সিপল ডঃ অর্নব সামন্ত যিনি গবেষণার স্ট্যাটিস্টিক ডিজাইন করেছেন।এছাড়া সাহায্য করেছেন প্রদীপ রায়, সৌরভ রায়, নীলেন্দু শেখর রায় ও ঐন্দ্রিলা বৈশ্য।
advertisement
রাহী হালদার
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Aug 01, 2023 7:28 PM IST






