Hooghly: চন্দননগরের ফরাসি উপনিবেশের নিদর্শন

Last Updated:
+
null

null

হুগলি: ফরাসি উপনিবেশের নিদর্শন আজ অক্ষত অবস্থায় রয়েছে চন্দননগরে। অতীতে যখন পশ্চিমী সামরিক শোক্তি গুলি পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশ গুলির উপরে উপনিবেশ স্থাপন করছে এবং ভারতবর্ষে ইংরেজরা উপনিবেশ স্থাপন করে ফেলেছে সেই সময় বাংলার চন্দননগরে ছিল ফরাসি উপনিবেশ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ফরাসি উপনিবেশ গুলি ও স্বাধীন ভারতের একটি অংশ হয়ে যায়। হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত চন্দননগর সেই সময় ব্যবসা-বাণিজ্যের এক অন্যতম স্থল ছিল। ফরাসিরা এখান থেকেই নদী পথ দিয়ে বাণিজ্য করতে শুরু করে। চন্দননগর থেকে প্রচুর পরিমাণে দড়ি রপ্তানি করা হতো এর সঙ্গে সঙ্গে মসলা চন্দনকাঠের ও রপ্তানি হতো। চন্দননগরে গঙ্গার ধার বরাবর হাঁটলে একের পর এক ফরাসি নিদর্শন চোখে পড়বে। সবার প্রথমে যেটা চোখে পড়বে সেটি হল সুবৃহৎ ক্লক টাওয়ার। ক্লক টাওয়ার টি বর্তমানে চন্দননগর ফেরি ঘাটের ঠিক উল্টোদিকে চন্দননগর পুলিশ স্টেশনের গায়ে অবস্থিত। বর্তমানে যেটি চন্দননগর কোট সেটি অতীতে সুবৃহৎ বিলাসবহুল একটি হোটেল ছিল। সে হোটেলটির নাম ছিল দি- প্যারি। ১৮৭৮ সালে এই হোটেল প্যারি স্থাপিত হয়। পরবর্তীকালে স্বাধীন ভারতের অংশ হওয়ার পর এটিকে পরিবর্তিত করে শ্রীরামপুর মহাকুমা কোর্টে পরিণত করা হয়। তৎকালীন চন্দননগরের মেয়র ছিলেন মসিয়ে ডুপ্লে। তার নামানুসারেই চন্দননগর কলেজের নাম হয় ডুপ্লে কলেজ। এ কলেজে শিক্ষকতা করতেন চারুচন্দ্র রায় এর মতন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। যেহেতু চন্দননগর ফরাসিদের উপনিবেশ তাই জন্য ইংরেজদের চন্দননগর থেকে কাউকে গ্রেফতার করতে গেলে ফরাসিদের অনুমতি নিতে হতো। তাই জন্যই চন্দননগর হয়ে উঠেছিল স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবী দের একটি বৃহৎ ঘাঁটি। এবং এখানে ডুপ্লে কলেজ থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক বীজ মন্ত্র গাঁথা হয়েছে। ফরাসি মেয়র ডুপ্লের নিজস্ব বাড়ি আজ একটি মিউজিয়ামে পরিণত হয়েছে। মিউজিয়াম এর মধ্যে প্রবেশ করলে প্রাচীন ভারতের ফরাসি উপনিবেশ অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে। বর্তমানে কবিরের কারণেই মিউজিয়ামটি বন্ধ থাকলেও মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন আদেশ পেলেই তারা মিউজিয়াম খুলে দেবেন সাধারণ মানুষের জন্য।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/হুগলি/
Hooghly: চন্দননগরের ফরাসি উপনিবেশের নিদর্শন
Next Article
advertisement
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
  • দুর্গাপুর স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা ভেন্ডিং মেশিনে স্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয় পাওয়া যাবে

  • UPI-দিয়ে সহজেই পেমেন্ট করা যাবে

  • দুর্গাপুর স্টেশন স্মার্ট, পরিষ্কার এবং যাত্রী-সহযোগী স্টেশন হয়ে উঠছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement