Hooghly News|| কী তাজ্জব ব্যাপার! লুঠপাঠ করাও উৎসবের অংশ! দেখুন কাণ্ড...
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
Bhandara loot festival at Guptipara: রীতি মেনে ভান্ডার লুঠ উৎসবে মাতল গুপ্তিপাড়া। হুগলির প্রাচীন এই জনপদে উল্টো রথের আগের দিন হয় ভান্ডার লুঠ। শতাধিক মানুষ একসঙ্গে এই মন্দির থেকে ঠাকুরের মালসা ভোগ লুঠ করতে আসে।
#হুগলি: রীতি মেনে ভান্ডার লুঠ উৎসবে মাতল গুপ্তিপাড়া। হুগলির প্রাচীন এই জনপদে উল্টো রথের আগের দিন হয় ভান্ডার লুঠ। শতাধিক মানুষ একসঙ্গে এই মন্দির থেকে ঠাকুরের মালসা ভোগ লুঠ করতে আসে। এবং যে যত বেশি ভোগ লুঠ করতে পারে তার মানও হয় তত ওপরে।
পুরান মতে স্নান যাত্রার পরেই প্রভু জগন্নাথের ধূম জ্বর আসে। লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন জগতের নাথ। কবিরাজের পাঁচন খেয়ে জ্বর সারে তার। মুখের স্বাদ বদল করতে রথে চেপে মাসির বাড়ি যান।বৃন্দাবন থেকে দ্বারকায় গিয়ে ভক্তদের সঙ্গে লিলায় মেতে ওঠেন। ও দিকে জগন্নাথ পত্নী লক্ষ্মী চিন্তিত হয়ে পড়েন। তাকে তুকতাক করতে সরষে পোড়া দেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ভুবন বাদ্যকরের দিন শেষ? বাজার মাতাতে এলেন বাঁকুড়ার 'গান ওয়ালা মিলন কুমার'
এ দিকে জগন্নাথ মালপোয়া ক্ষির মন্ডা মিঠাই তার প্রিয় খাবার পেয়ে আর ভক্তদের নিয়ে মজে থাকায় বৃন্দাবন ফিরে যাচ্ছেন না। লক্ষ্মী এসেও জগন্নাথকে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হলেন। সেই কথা শুনে বৃন্দাবন চন্দ্র কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে গিয়ে নালিশ করলেন। জগন্নাথকে পেটে মারতে হবে। অর্থাৎ তার খাবার যোগ বন্ধ করতে হবে। লেঠেল নিয়ে মাসির বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে খাবার লুঠ করা হয়। মালসায় ভরা নানা ধরনের খাবার লুঠ করে ভক্তদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়। খাবার না পেয়ে পরদিন মাসির বাড়ি থেকে উল্টো রথে ঘরে ফেরেন জগন্নাথ। সেই রীতি আজও আছে। আর তা পালিত হয় গুপ্তিপাড়াতে।
advertisement
advertisement
রীতি অনুযায়ী ঘোষ সম্প্রদায়ের ছেলেরা এই ভান্ডার লুঠ করতে আসে। ভান্ডার লুঠ দেখতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় গুপ্তি পাড়ায়।শুধু হুগলি না নদীয়া বর্ধামান সহ অন্যান্য জেলা থেকেও মানুষ আসেন। রথের দিন যে মেলা শুরু হয় তা চলে একমাস ধরে।
রাহী হালদার
view commentsLocation :
First Published :
July 09, 2022 2:06 PM IST






