Hooghly News: পঞ্চানন কর্মকার সংগ্রহশালায় বলাগড়ের স্থানীয় ইতিহাস সংরক্ষিত ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য
- Published by:Soumabrata Ghosh
- hyperlocal
Last Updated:
বলাগড়ের ঐতিহ্যকে সাজিয়ে রাখতে তৈরি হলো একটি ঐতিহাসিক আর্কাইভ। বলাগর সমষ্টি উন্নয়ন দফতরের মধ্যে তৈরি করা হল পঞ্চানন কর্মকারের নামে একটি আর্কাইভ। এই হলে ইতিহাসের পাতায় বলাগড়ের অবদান আগামী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
#হুগলি : বলাগড়ের ঐতিহ্যকে সাজিয়ে রাখতে তৈরি হলো একটি ঐতিহাসিক আর্কাইভ। বলাগর সমষ্টি উন্নয়ন দফতরের মধ্যে তৈরি করা হল পঞ্চানন কর্মকারের নামে একটি আর্কাইভ। এই হলে ইতিহাসের পাতায় বলাগড়ের অবদান আগামী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। একাধারে যেমন বলাগড়ের লেখকদের প্রাচীন পান্ডুলিপি রয়েছে এই স্থানে, ঠিক তেমনি রয়েছে বিভিন্ন ঋষি মুনি বিপ্লবী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে বলাগড়ের জড়িয়ে থাকা ইতিহাসের কাহিনী। নাম দেওয়া হয়েছে পঞ্চানন কর্মকার সংগ্রহ স্মৃতিশালা।
বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হল বলাগড়ের এই সংগ্রহশালার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গেরা। ওয়াকিবহুল মহলের অভিমত, জেলার মধ্যে এই ধরনের সংগ্রহশালা যেমনভাবে স্থানীয় ইতিহাসকে সংরক্ষণ করতে সাহায্য করবে ঠিক তেমনি আগামী প্রজন্মের কাছে অতীতের বার্তাও পৌঁছে দেবে। ছাপার যন্ত্রের বাংলা হরফ প্রথম তৈরি করেছিলেন পঞ্চানন কর্মকার। তার জন্ম বলাগড়ের জীরাট অঞ্চলে। তার নামেই নামকরণ করা হয়েছে এই সংগ্রহশালার।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নিলামে উঠছে ডানলপ ফ্যাক্টরি! মিটবে শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা
স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত ইতিহাসের বীর বিপ্লবীদের কথা তুলে ধরা হয়েছে এই সংগ্রহশালায়। একইসঙ্গে বলাগড় অঞ্চলের ঐতিহাসিক বেশ কিছু নিদর্শন রয়েছে সেগুলিও স্থান পেয়েছে সংগ্রহশালা দেওয়ালে। গোটা বলাগড় জুড়ে বিভিন্ন বাড়িতে ছিল প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মের পুঁথি। বলাগড় মহাবিদ্যালয়ের উদ্যোগে সেই পুঁথিকে আগেই একত্রিত করা হয়েছিল। সেই সমস্ত পুঁথিও স্থান পেয়েছে এই সংগ্রহশালায়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেলে না চিকিৎসা! বরং চলে নেশার আড্ডা
এই বিষয়ে প্রফেসর পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, সংগ্রহশালাটি একটি চলমানশীল প্রক্রিয়া। যতদিন বাড়বে আগামী দিনে সংগ্রহশালার সংগৃহীত জিনিসের পরিমাণও বাড়বে এমনটাই আশাবাদী তিনি। তিনি আরও জানান, এখনও অনেক কিছু রয়েছে যেগুলো সংগ্রহশালায় স্থান দেওয়া যায়নি। আগামীতে সেই সমস্ত কিছুকেও সংগ্রহশালায় নিয়ে আসার কথা ঠিক করা হচ্ছে। বলাগড়বাসীর কাছে খুব গর্বের বিষয় এই সংগ্রহশালা।
advertisement
Rahi Haldar
view commentsLocation :
First Published :
December 14, 2022 3:57 PM IST