হোম /খবর /ফুড /
কাটোয়ার বিখ্যাত এই মিষ্টি খেয়েছেন? একবার খেলে ভুলবেন না, অদ্ভুত বিক্রির পদ্ধতি

Bangla News|| কাটোয়ার বিখ্যাত এই মিষ্টি খেয়েছেন? একবার খেলে ভুলতে পারবেন না, অদ্ভুত বিক্রির পদ্ধতি

X
কালাকাঁদ [object Object]

Bengali Famous Sweet: মিষ্টির গুণগত মানই এই জনপ্রিয়তার একমাত্র কারণ। তবে শহর কাটোয়ার এই মিষ্টির দোকানে কেবল পিস হিসেবে নয়। কালাকাদ বিক্রি হয় ওজনেও...

  • Share this:

কাটোয়া: কথায় আছে, সব ভাল, তার শেষ ভালো যার। আর খাবারের দিক থেকে সেই শেষটুকু ভাল করতে শেষ পাতে বাঙালির অন্যতম এবং সেই সাথে একমাত্র পছন্দ মিষ্টি। তবে কেবল খাদ্যতালিকায় শেষে নয় বাঙালির জীবনে মিষ্টির উপস্থিতি বহুমুখী। তা সে শুভ কাজ শুরুর আগে হোক কিংবা বাড়িতে আসা অতিথি আপ্যায়নে, মিষ্টি রয়েছে মিষ্টিতেই। আর এই মিষ্টিমুখ সম্পন্ন করতে তাই খোঁজ পরে প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকানের। সেরকমই এক মিষ্টান্ন ভাণ্ডার রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরে।

দোকানটির নাম মিঠাই হলেও বর্তমানে এই দোকানের পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা ধ্রুবর কালাকাঁদ নামেই। বিগত ৬৮ বছর ধরে শহরে ব্যবসা করে আসছে এই মিষ্টি প্রতিষ্ঠান। দোকান মালিকের কথায় মিষ্টির গুণগত মানই জনপ্রিয়তার একমাত্র কারণ।

আরও পড়ুনঃ লোকগানে মঞ্চ মাতালেন নুসরত জাহান, কী গান গাইলেন সাংসদ? তুমুল ভাইরাল ভিডিও

কাটোয়ার এই মিষ্টির দোকানে কেবল পিস হিসেবে নয়। কালাকাঁদ বিক্রি হয় ওজনেও। ওজনে কেজি প্রতি ৪০০ টাকা এবং প্রতি পিস ১০ টাকা দরে বিক্রি হয় ধ্রুবর কালাকাঁদ। বর্তমানে নিয়মিত ৫-৬ জন কর্মচারী কাজ করেন এই দোকানে। কাটোয়ার মাধবীতলা এলাকায় অবস্থিত এই মিঠাই ওরফে ধ্রুবর কালাকাঁদ নামক দোকানটি।

আরও পড়ুনঃ নিয়ম করে মাত্র ৭ দিন! হুহু করে ওজন কমাবে মৌরি জল! শুধু জানুন বানানো আর খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি

দোকানের কর্ণধার ধ্রুব ঘোষ জানিয়েছেন, “৬৪ বছরের পুরনো এই দোকান। আমার নামানুসারে সবাই এই দোকানকে ধ্রুবর কালাকাঁদ বলে চেনে। মিষ্টির কোয়ালিটি ভাল রাখার চেষ্টা করি, সবার এখনকার কালাকাঁদ ভাল লাগে তাই সবাই এখানেই আসেন।” ওজন করে কালাকাঁদ বিক্রি কেন করা হয় জিজ্ঞেস করলে ধ্রুব ঘোষ জানান, “আমাকে সব ওজন করেই কিনতে হয়, তাই আমিও ওজন করেই বিক্রি করি।”

দোকানের অন্যান্য মিষ্টি বিক্রি হলেও, কালাকাঁদের চাহিদা সর্বাধিক। দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই আসেন কালাকাঁদ নিতে। এমনই দোকানে মিষ্টি নিতে আসা এক ক্রেতা জানিয়েছেন, “আমি এখানে বছর চার ধরে মিষ্টি নিচ্ছি। কোয়ালিটি ভাল, খেতে ভাল, তাই এখান থেকেই কালাকাঁদ নিয়ে যায়। পুজো পার্বণ কিংবা বাড়ির জন্য মিষ্টি লাগলে আমি এখান থেকেই কালাকাঁদ নিয়ে যাই।

দুধ, ক্ষীর ও অন্যান্য উপাদানে তৈরি সুস্বাদু এই মিষ্টিটি এ ভাবেই কাটোয়া ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের মন যুগিয়ে ব্যবসা করে আসছে বিগত কয়েক দশক ধরে।

Bonoarilal Chowdhury

Published by:Shubhagata Dey
First published:

Tags: Bengali Sweets, Katwa