গীতার ৫০০ শ্লোক ঠোঁটের ডগায়, ১২ বছরের মুসলিম মেয়ের গুণে মুগ্ধ নেটদুনিয়া
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, দলাদলি আর হিংসা ছড়াতে যাঁরা মত্ত তাঁদের কানে পৌঁছবে তো বারো বছরের বাচ্চা মেয়ের এই বার্তা?
#মধ্যপ্রদেশ: মনুষ্যত্বই আসলে প্রকৃত ধর্ম| জাত-ধর্ম নিয়ে বিভেদ নেহাতই অর্থহীন| এই কথাই যেন প্রমাণ করে দিল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ছিন্দওয়াড়ার এক ছোট্ট মেয়ে, মুশারিফ খান (Mushariff Khan)। আর একইসঙ্গে বার্তা দিল মন থেকে কিছু করতে চাইলে, সেই কাজে সফলতা আসবেই|
অষ্টম শ্রেণীতে পড়া মাত্র ১২ বছর বয়সী এই মেয়ের গুণে এখন সকলেই একেবারে তাজ্জব| অসামান্য অধ্যাবসায়কে সঙ্গী করে ভগবত গীতার (Bhagawat Geeta) ৫০০ শ্লোক মুখস্ত করে ফেলেছে মুশারিফ| শুধু ঝরঝর করে গীতার শ্লোক আউড়ে যাওয়াই নয়, প্রতিটি শ্লোকের অর্থও ভাল করে আত্মস্থ করে ফেলেছে এই বিস্ময় বালিকা|
জানা গিয়েছে, মেমরি রিটেনশন কোর্স (Memory retention course) করেছে ১২ বছর বয়সী মুশারিফ। আর সেই পাঠ্যক্রম থেকে মুশারিফ অনুশীলনের জন্য বেছে নিয়েছে ভগবত গীতাকে| ভগবত গীতার ৭০১ টির মধ্যে ৫০০ টি শ্লোকই গড়গড় করে বলে যেতে পারে এই আশ্চর্য ক্ষমতায়। এই স্মৃতি ধারণার কৌশলটি শিখতে মুশরিফকে সাহায্য করেছেন অ্যাবাকাস (Abacas) এবং বৈদিক গণিতের (Vedic Mathematics) শিক্ষিকা রোহিনী মেনন।
advertisement
advertisement
শিক্ষিকা রোহিনী মেনন বলেন, স্মৃতি ধারণার কৌশল শিখতে তিনি মুশারিফকে তিনটি বিকল্প দিয়েছিলেন। প্রথম বিকল্পে গোটা ডিকশনারি মনে করতে হত, দ্বিতীয় বিকল্পে সংবিধান আর তৃতীয় বিকল্পে ভগবত গীতা মুখস্ত করতে হত। মুশারিফ তিনটি বিকল্পের মধ্যে ভগবত গীতাকেই বেছে নেয়।
শিক্ষিকা বলেন, মুশারিফ ষষ্ঠ শ্রেণী থেকেই ভগবত গীতার শ্লোক মনে রাখা শুরু করেছিল। অনেকেই মুশারিফের মতো ভগবত গীতার বিকল্প বেছে নিয়েছিল। কিন্তু মুশারিফ সবথেকে দ্রুত ৫০০ টি শ্লোক মুখস্ত করে নেয়। শুধু তাই নয়, মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়েও কোনও ধর্মীয় ছুৎমার্গ না রেখে শিক্ষার জন্য 'গীতা' বেছে নেওয়াও প্রশংসার দাবি রাখে বৈকি|
advertisement
মুশারিফ জানায়, "আমি স্মৃতি ধারণ কৌশলের শর্ট কোর্সের পর আলাদা কিছু করতে চাইছিলাম। আর এই কারণে আমি ভগবত গীতাকে বেছে নিই।" সে এও বলে, "আমার মা সবসময় বলেন আমরা বাড়ির বাইরে একজন মানুষ মাত্র। তিনি নিজেই আমাকে ভগবত গীতা পড়ার অনুমতি দেন। কারণ তিনি চেয়েছিলেন, আমি সব ধর্মের বিষয়ে জ্ঞান রাখি।"
advertisement
মুশারিফের এই সাফল্যে খুশি তাঁর বাবা-মা দুজনেই। মা জিনত বলেন, "আমরা আমাদের মেয়েকে এমন ভাবে বড় করতে চেয়েছিলাম যাতে ও ভাল মানুষ হয়, ভাল কথা শেখে। আর সেই বার্তাই সকলের কাছে পৌঁছে দেয়।" উল্লেখ্য, শুধুমাত্র গীতার শ্লোকই নয়, কোরানের আয়াতও মুখস্ত করে ফেলেছে বছর বারোর এই মেয়ে। মুশারিফ জানায়, গীতা, কোরান আর বাইবেল সব ধর্মগ্রন্থই আসলে একই বার্তা দেয়। সবাই বলে মনুষ্যত্ব সবার ওপরে। তার ওপরে আর কিছুই নেই|"
advertisement
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, দলাদলি আর হিংসা ছড়াতে যাঁরা মত্ত তাঁদের কানে পৌঁছবে তো বারো বছরের বাচ্চা মেয়ের এই বার্তা?
Location :
First Published :
March 02, 2021 5:41 PM IST