Standing Deposit: স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি কী? কেন চালু করল আরবিআই?
- Published by:Uddalak B
Last Updated:
Standing Deposit: স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি (SDF) বা স্থায়ী আমানত সুবিধার মূল উদ্দেশ্য হল বাজারে ৮.৬ লক্ষ কোটি টাকার অতিরিক্ত নগদ কমানো এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা।
#নয়াদিল্লি: গত শুক্রবার ঋণনীতি (Debt Policy) ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India)। গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das) জানিয়েছেন যে আরবিআই-এর মনিটারি পলিসি কমিটি (Monetary Policy Committee of India) রেপো রেট (Repo Rate) ও রিভার্স রেপো রেট (Reverse Repo Rate) অপরিবর্তিত রেখেছে। অর্থাৎ রেপো রেট ৪ শতাংশ ও রিভার্স রেপো রেট ৩.৩৫ শতাংশই থাকছে। ঋণনীতি ঘোষণার সময় গভর্নর জানিয়েছেন যে বাজারে থাকা নগদ (Liquidity) শোষণের জন্য একটি অতিরিক্ত হাতিয়ার হিসেবে ৩.৭৫ শতাংশ সুদের হারে স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি বা স্থায়ী আমানত সুবিধা (Standing Deposit Facility) চালু করা হয়েছে।
স্থায়ী আমানত সুবিধার ভূমিকা
স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি (SDF) বা স্থায়ী আমানত সুবিধার মূল উদ্দেশ্য হল বাজারে ৮.৬ লক্ষ কোটি টাকার অতিরিক্ত নগদ কমানো এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা।
advertisement
২০১৮ সালের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আইনের সংশোধিত ১৭ নম্বর ধারা রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি চালু করার ক্ষমতা দিয়েছে। এটি কোনও জামানত ছাড়াই নগদ শোষণের একটি অতিরিক্ত হাতিয়ার। স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি আর্থিক নীতির অপারেটিং কাঠামোকে শক্তিশালী করে। এটি নগদ ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখা ছাড়াও একটি আর্থিক স্থিতিশীলতার হাতিয়ার।
advertisement
স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি ফিক্সড রেট রিভার্স রেপো-কে (FRRR) লিকুইডিটি অ্যাডজাস্টমেন্ট ফেসিলিটি করিডোরের (Liquidity Adjustment Facility Corridor) ফ্লোর হিসাবে প্রতিস্থাপন করবে। উভয় স্থায়ী সুবিধা- মার্জিনাল স্ট্যান্ডিং ফেসিলি (MSF) এবং স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি রবিবার এবং ছুটির দিন সহ সপ্তাহের সমস্ত দিন, সারা বছর জুড়ে উপলব্ধ থাকবে৷ ব্যাঙ্কগুলি এই সুবিধাটি ব্যবহার করতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ইলেকট্রনিক পোর্টাল অর্থাৎ ই-কুবের সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে। স্কিমটি ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- XE ভ্যারিয়েন্ট কী? এখনই এই প্রজাতি নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই, কেন বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
এটা কীভাবে কাজ করবে?
স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি রেট হবে পলিসি রেট (রেপো রেট) থেকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট কম এবং এটি এই পর্যায়ে রাতারাতি জমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে, উপযুক্ত মূল্যের সঙ্গে যখন প্রয়োজন দেখা দেবে তখন দীর্ঘ মেয়াদের লিকুইডিটি শোষণ করার নমনীয়তা বজায় রাখবে। আরবিআই-র পরিকল্পনা হল বাজারে উদ্বৃত্ত নগদের আকারকে মুদ্রানীতির প্রচলিত অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ স্তরে পুনরুদ্ধার করা।
advertisement
রিভার্স রেপো রেট: ফিক্সড রেট রিভার্স রেপো (FRRR) রেট, যা ৩.৩৫ শতাংশে ধরে রাখা হয়েছে তা আরবিআই-র টুলকিটের অংশ থাকবে এবং সময়ে সময়ে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যগুলির জন্য এটির ক্রিয়াকলাপ বিবেচনার ভিত্তিতে হবে। স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটির সঙ্গে রিভার্স রেপো রেট নগদ ব্যবস্থাপনা কাঠামোতে নমনীয়তা প্রদান করবে।
লিকুইডিটির প্রশ্ন: অতিমারীর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছিল আরবিআই। এছাড়াও আরও অন্য পদক্ষেপের কারণে বাজারে ৮.৫ লক্ষ কোটি টাকার উদ্বৃত্ত রয়ে গিয়েছে। এটি খুচরা মূদ্রাস্ফীতির (Inflation) স্তরকে বাড়িয়ে দিয়েছে। গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, "আরবিআই এই বছরের শুরুতে এই নগদ ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করতে শুরু করবে।"
advertisement
আরও পড়ুন- সারি সারি মৃতদেহ, যুদ্ধের বীভৎস বাস্তব! ইউক্রেনের বুচায় যা হয়েছে, তা কি গণহত্যা?
এসডিএফ প্রথম কবে চালু হয়?
এসডিএফ সম্পর্কে ধারণাটি প্রাথমিকভাবে প্রায় আট বছর আগে উরজিৎ পটেলের (Urijit Patel) নেতৃত্বে একটি আর্থিক নীতি কমিটির দ্বারা চালু হয়েছিল। উরজিৎ সেই সময় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। উরজিৎ পটেল কমিটি ২০০৫-২০০৮ সময়কালের অভিজ্ঞতার পরে একটি জামানতমুক্ত সুবিধার ধারণা নিয়ে এসেছিল। যখন লিকুইডিটি বৃদ্ধি পেয়েছিল, তাতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কাছে জামানত কমে গিয়েছিল। ২০১৮ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে নতুন টুল চালু করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। সরকার এর জন্য আইনে (Reserve Bank of India Act) সংশোধন আনে। এই সংশোধনীটি নোট বাতিলের ফলে আনা হয়েছিল।
advertisement
মুদ্রাস্ফীতি বড় চ্যালেঞ্জ: চলতি অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস ৪.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫.৭ শতাংশ করা হয়েছে। ইউরোপে যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) ও বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের (Crude Oil) দাম ১০০ ডলার টপকে যাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস বাড়ানো হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে নয়া অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির (Gross Domestic Product) হার কাটছাঁট করা হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি ৭.২ শতাংশ হারে বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আরবিআই, আগে যা ছিল ৭.৮ শতাংশ। যদিও সংঘাতের কেন্দ্রস্থলে থাকা দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সরাসরি বাণিজ্য খুবই সীমিত। তবে এই যুদ্ধটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে সম্ভাব্যভাবে বাধা দিতে পারে।
advertisement
আরবিআই বলেছে, উন্নত দেশগুলির আর্থিক বাজারের অস্থিরতা, সরবরাহে সমস্যা এবং সেমিকন্ডাক্টর (Semiconductor), চিপের (Chips) মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের দীর্ঘস্থায়ী ঘাটতি সহ কয়েকটি নতুন করে করোনা সংক্রমণ অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর পথে বাধা দিচ্ছে।
Location :
First Published :
April 13, 2022 3:02 PM IST