Ukraine Crisis: হাতে নয় ভাতে মারতে হবে! রাশিয়াকে শায়েস্তা করতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাই হাতিয়ার আমেরিকার

Last Updated:

সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে ইউক্রেনের ডাকে এখনও পর্যন্ত কোনও দেশই সাড়া দেয়নি। তবে ইতিমধ্যেই রাশিয়ার প্রতি অর্থনৈতিক(ECONOMICAL EMBARGO) নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে গোটা বিশ্বের প্রথম নম্বরে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

#নয়াদিল্লি: প্রায় দু'সপ্তাহ হতে চলল। রোখা যাচ্ছে না ‘মহাশক্তিধর’ রাশিয়াকে (Russia)। কোনও কিছুকে আমল না দিয়ে ইউক্রেনের উপর সামরিক অভিযান জারি রেখেছে পুতিনের দেশ। দিশাহারা ইউক্রেন (Ukraine)। তবুও শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন সে দেশের সাধারণ নাগরিকেরাও। নারী, শিশু, বৃদ্ধ-সহ কয়েক লক্ষ ইউক্রেনবাসী আশ্রয় নিয়েছেন পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সমবেত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গোটা বিশ্বের বাকি শক্তিধর দেশগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি(JELENESKI)।
কিন্তু সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে ইউক্রেনের ডাকে এখনও পর্যন্ত কোনও দেশই সাড়া দেয়নি। তবে ইতিমধ্যেই রাশিয়ার প্রতি অর্থনৈতিক(ECONOMICAL EMBARGO) নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে গোটা বিশ্বের প্রথম নম্বরে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের লক্ষ্য একটাই হাতে নয়, ভাতে মারতে হবে রাশিয়কে। তাই সরাসরি যুদ্ধের বদলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাদের উপযুক্ত শিক্ষা দিতে উদ্যোগী হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) থেকে শুরু করে বিশ্বের একাধিক দেশ। কিন্তু কী এই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা? তা কী ভাবে আরোপ করা হয়, এর প্রভাবই বা কী?
advertisement
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা (ECONOMICALEMBARGO) কী?
advertisement
অর্থনীতিবিদদের মতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা হল বোমা বা বুলেটের সমতুল্য এক ধরনের অর্থনৈতিক সংস্করণ যা অন্যান্য দেশ এবং তাদের সরকারগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করতে এবং তাদের ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি করতে ব্যবহৃত হয়। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে যে কোনও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং আর্থিক লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইউক্রেনের প্রতি রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ইতিমধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকার যে কোনও আর্থিক লেনদেন ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি আমেরিকান ব্যাঙ্ক গুলিতে রাশিয়ার যে অর্থ গচ্ছিত রয়েছে তার লেনদেন পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফল স্বরূপ আগামীতে প্রবল অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পড়তে পারে রাশিয়া।
advertisement
কী ভাবে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়?
জানা গিয়েছে, ১৯৭৭ সালের ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার অ্যাক্ট অনুসারে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। তবে এই প্রথম নয় এর আগেও বহু দেশের আগ্রাসী মনোভাব রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি দফতর থেকে বেলারুশ থেকে জিম্বাবোয়ে পর্যন্ত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে শুধু আমেরিকায় নয় পৃথিবীর বহু দেশই আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। মূলত অর্থনৈতিক কাঠামোর মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে এবং সেই দেশের আগ্রাসী মনোভাবকে পরিবর্তন করতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা একটি কার্যকর পদক্ষেপ বলে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/Explained/
Ukraine Crisis: হাতে নয় ভাতে মারতে হবে! রাশিয়াকে শায়েস্তা করতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাই হাতিয়ার আমেরিকার
Next Article
advertisement
হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি! ২০ নভেম্বরই গান্ধি ময়দানে শপথগ্রহণ নীতীশের? চূড়ান্ত হচ্ছে দিনক্ষণ
হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি! ২০ নভেম্বরই সম্ভবত গান্ধি ময়দানে শপথগ্রহণ নীতীশের
  • বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে মোদি-নীতীশের এনডিএ-জোট! এবার সরকার গঠনের পালা। সূত্রের খবর, সম্ভবত আগামী ২০ নভেম্বর বিহারের গান্ধি ময়দানে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিহারের নবনির্বাচিত এনডিএ সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান

VIEW MORE
advertisement
advertisement