#নয়াদিল্লি: আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে দিন রাতের টেস্টে ইংল্যান্ডকে গোহারা হারিয়েছে ভারত। বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতীয় পিচে গোলাপি বলের গতিবিধি বুঝতেই নাকাল হয়েছেন জো রুটরা (Joe Root)।
মাত্র দু'দিনেই শেষপাঁচ দিনের টেস্ট। যেখান থেকে আরও যে বিষয়টি প্রমাণ হয়, তা হল সূর্যের আলোর নিচে লাল বলের থেকে ফ্লাড লাইটে গোলাপি বলের চরিত্রের হেরফের। পার্থক্যটা কোথায় ঘটে, তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক। জেনে নেওয়া যাক গোলাপি বলের ইতিহাস সম্পর্কে।
গোলাপি বলে টেস্টের ইতিহাস
১) প্রথম গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর অ্যাডিলেড ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছিল অজিরা।
২) বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ১৬টি দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ হয়েছে। তার মধ্যে দু'টি ম্যাচ দুই দিনে শেষ হয়েছে। তিন দিনে শেষ হয়েছে চারটি গোলাপি বলের টেস্ট।
৩) সাধারণত গোলাপি বলের টেস্টে পিচে পেস এবং বাউন্স রাখা হয়। কিন্তু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারত-ইংল্যান্ড দিন-রাতের টেস্টের জন্য স্পিনিং ট্র্যাক তৈরি করা হয়েছিল। ফলে ম্যাচে ৩০টির মধ্যে ২৮টি উইকেট নিয়েছেন দুই দলের স্পিনাররা।
৪) হোম এবং অ্যাওয়ে মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত তিনটি গোলাপি বলের টেস্ট খেলেছে ভারত। দু'টি জিতেছে এবং একটি হেরেছে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) শিবির।
৫) ঘরের মাঠে দু'টি দিন-রাতের টেস্ট খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। ভারতভূমে গোলাপি বলের ফর্ম্যাটে পর্যুদস্ত হয়েছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড।
গোলাপি বলে আলাদা কী?
১) লাল বলের থেকে গোলাপি বলে ল্যাকুয়ার বা সিন্থেটিক বার্নিশের অতিরিক্ত কোট থাকে। যার জেরে বলটি মাটিতে পরে স্কিড করে অতিরিক্তি গতি লাভ করে।
২) মোতেরায় ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যে হওয়া দিন-রাতের টেস্টে আউট হওয়া ৩০ জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে ২১ জন গোলাপি বলের চোরাগোপ্তা গতির কাছে হার মানেন।
কারা তৈরি করেন এই বল?
১) অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডে গোলাপি বল তৈরি করে কোকাবুরা (Kookaburra) এবং ডিউক (Dukes)। ভারতে বলটি তৈরি করে মিরাটের সান্সপারেইলস গ্রিনল্যান্ডস (Sanspareils Greenlands) বা এসজি (SG)। যারা বিসিসিআইয়ের (BCCI) অফিসিয়াল বল পার্টনার।
২) আহমেদাবাদ টেস্টের অভিজ্ঞতা এবং ক্রিকেটারদের প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী গোলাপি বলে অতিরিক্ত ঔজ্জ্বল্য পরিহার করা হবে।
লাল বনাম গোলাপি বল
১) লাল বলের রং এবং পালিশ খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু গোলাপি বলের ক্ষেত্রে চাকচিক্য দীর্ঘক্ষণ বজায় থাকে। সে কারণে বলের উপরে অতিরিক্ত সিন্থেটিক প্রলেপ দেওয়া থাকে।
২) লাল বলের সিমে সাদা সুতো ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ফ্লাড লাইটে দৃশ্যমানতা বজায় রাখতে গোলাপি বলে কালো সুতো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।