Explained | Omicron : ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন! ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট কি নতুন ঢেউ ডেকে আনবে?

Last Updated:

Explained | Omicron : বিজ্ঞানীরা সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হচ্ছেন ভ্যারিয়েন্ট দুটির মিউটেশন নিয়ে।

Coronavirus
Coronavirus
#নয়াদিল্লি: ওমিক্রনের প্রাথমিক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার চোখ রাঙাচ্ছে ভাইরাসের দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট। ইতিমধ্যেই ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ওমিক্রনের বিএ.৪ এবং বিএ.৫ এই দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্টকে উদ্বেগজনক বলে চিহ্নিত করেছে। অন্য দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট দুটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন’ হিসেবে দেখছে।
ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএ.১ এবং বিএ.২ থেকে নতুন দুটি ভ্যারিয়ান্ট কীভাবে আলাদা যা ভারতে তৃতীয় তরঙ্গের জন্য দায়ী ছিল?
প্রথমত, নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টগুলি কিন্তু একেবারে নতুন নয়। এই ভ্যারিয়েন্টগুলিকে এই বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল। সে সময় ভারতে কোভিড-১৯-এর তৃতীয় ঢেউ সক্রিয় ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কমিউনিকেবল ডিজিজ অনুসারে জানুয়ারির পরবর্তী চার মাসে বিএ.৪ এবং বিএ.৫ এই দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট কোভিড-১৯-আক্রান্তের ৫৫ শতাংশে সক্রিয় ছিল।
advertisement
তখন থেকেই এই দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্টকে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশে বারে বারে সনাক্ত করা হয়েছিল। ইউরোপিয়ান সিডিসি ইতিমধ্যেই ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন’ বলে দুটি ভ্যারিয়েন্টকে চিহ্নিত করে দিয়েছে। এরই সঙ্গে আসন্ন সপ্তাহে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সামগ্রিক হার বাড়বে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
advertisement
বিজ্ঞানীরা সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হচ্ছেন ভ্যারিয়েন্ট দুটির মিউটেশন নিয়ে। দুটি ক্ষেত্রেই ভ্যারিয়েন্টগুলি রিসেপ্টর বাইন্ডিং ডোমেনের মাধ্যমে মিউটেশনকে বহন করে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে।
advertisement
পর্ববর্তী ল্যাব স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্টগুলির মধ্যে ‘F486V’ মিউটেশন ছিল সবচেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন এবং ভিন্ন রকমের। INSACOG-এর প্রাক্তন প্রধান এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টা ডা. অনুরাগ আগরওয়াল একটি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘অ্যান্টিজেনিক্যালি, বর্তমান সাব-ভ্যারিয়েন্ট দুটি বিএ.১ থেকে অনেকটাই আলাদা। তাই প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির অনাক্রম্যতা এতে হ্রাস পাবে বলে মনে হচ্ছে’।
advertisement
ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টে প্রাপ্ত ‘L452R’ মিউটেশন মানব দেহে ভাইরাসের দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য পরিচিত একটি মিউটেশন। চিনের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, L452R মিউটেশন সহ ওমিক্রন ভাইরাস আরও দ্রুত ফুসফুসের কোষে সংক্রমণ করে। তবে ভারত সহ অনেক দেশেই এর প্রভাব ততটা অনুভূত হয়নি কারণ, এটি রেসপিরেটরি ট্রাক্টের উপরের অংশকে আক্রমণ করে। ফলে ডেল্টার মতো সরাসরি ফুসফুসে আক্রমণ না করায় শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা এতে অনেকটাই কম হয়।
advertisement
নতুন দুটি ভ্যারিয়েন্ট কি আরও মারাত্মক?
দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্টার ফর এপিডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনোভেশনের ডিরেক্টর টুলিও ডি অলিভেরিয়া ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে, স্বস্তির বিষয় হল এই নতুন দুটি ভ্যারিয়েন্টে মৃত্যুর সংখ্যা বা হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ডেল্টার তুলনায় অনেকটাই কম। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড ট্র্যাকিং গ্রুপেরও সদস্য, অলিভেরিয়া জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মারাত্মক আকার ধারণ না করলেও ধীরে ধীরে এর প্রভাব এবং বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে ইউরোপীয় সিডিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী বিএ.৪ এবং বিএ.৫ এই দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্টে তীব্রতার পরিবর্তনের কোনও ইঙ্গিত নেই। এই মতের সঙ্গে সম্মতি জানিয়েছেন ভারতের জিনোমিক সিকোয়েন্সিং কনসোর্টিয়াম-এর প্রধান ডা. সুধাংশু ব্রতী।
advertisement
ভারতে কি ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্টগুলি আবার বাড়তে পারে বা নতুন কোনও তরঙ্গের সৃষ্টি করতে পারে?
ডা. সুধাংশু ব্রতী জানিয়েছেন, “আমাদের দেশে ইতিমধ্যেই দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্টের অভিজ্ঞতা রয়েছে। অন্যান্য দেশ থেকে প্রায় চার মাসের মধ্যেই এই দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট আমাদের দেশে এসেছে। এদের মধ্যে রোগের তীব্রতা, হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে ‘L452’ মিউটেশন প্রাপ্ত ডেল্টা ছিল সবচেয়ে উদ্বেগজনক। বর্তমান দুটি ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই।"
advertisement
যেমনটা জানুয়ারি মাসে দেখা গিয়েছিল যে, ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম ছিল। আমাদের জনসংখ্যার প্রায় বেশির ভাগেরই ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়া সম্পন্ন হয়েছে, ফলে যেমনটা গত বার দিল্লিতে দেখা গিয়েছিল যে, এই দুটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট ভ্যাকসিন না নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বা আরও স্পষ্ট ভাবে বললে কম অনাক্রম্যতা যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অধিক সংক্রমিত হচ্ছে।
তিনি আরও যোগ করে বলেছেন যে এখনই আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও দরকার নেই। তবে এই জিনোমিক সিকোয়েনসিংকে অবশ্যই পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে যাতে নতুন ভ্যারিয়েন্টকে সহজেই চিহ্নিত এবং বিশ্লেষণ করা যায়। নয় তো আমাদের আরও গুরুতর কোনও রোগ বা মৃত্যু সংখ্যার আধিক্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে হতে পারে।
বাংলা খবর/ খবর/Explained/
Explained | Omicron : ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন! ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট কি নতুন ঢেউ ডেকে আনবে?
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: বৃষ্টি বাড়বে পাহাড়ে ! দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন কেমন থাকবে আবহাওয়া? জেনে নিন
বৃষ্টি বাড়বে পাহাড়ে ! দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন কেমন থাকবে আবহাওয়া? জেনে নিন
  • বৃষ্টি বাড়বে পাহাড়ে !

  • দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন কেমন থাকবে আবহাওয়া?

  • জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট

VIEW MORE
advertisement
advertisement