#নয়াদিল্লি: দেশ আজ করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় নাকাল। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কটের মুখে পড়েছে ছোট ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলি। নগদের অভাবে মাসের শেষে কর্মচারীদের মাইনে দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কোম্পানির মালিকদের। তাই এবার বিভিন্ন কর্মচারিদের পরিবারের ভয় ও উদ্বেগ কম করতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক (Ministry of Labour and Employment) এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO)-এর অধীনে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন ঘোষণা করেছে।
এ দিন এক বিবৃতিতে শ্রম ও রোজগার মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় যে, অতিমারীর সময়ে EPFO-এর কর্মীসদস্যদের হাতে নগদের জোগান বাড়াতে তাদের এই পদক্ষেপ বেশ কার্যকর হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে উপকৃত হয়েছেন ১৫ হাজারের টাকার কম বেতনপ্রাপ্ত কর্মীরা। ৩১ মে পর্যন্ত EPFO ৭৫ লক্ষের বেশি অগ্রিম আবেদনের নিষ্পত্তি করেছে এবং ১৮,৬৯৮.১৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রাহক এবং তাদের পরিবারগুলিকে আর্থিক সঙ্কট থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে EPFO-এর এই ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আমানত যুক্ত বিমার সুবিধাগুলি বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করা হয়েছে ৷ EPFO কর্মচারীদের ‘ডিপোজিট লিঙ্কড ইন্স্যুরেন্স’ (EDLI) প্রকল্পের আওতায় সর্বাধিক নিশ্চয়তা বেনিফিট ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এই স্কিমটি EPF স্কিমের সমস্ত গ্রাহকদের প্রদান করা বাধ্যতামূলক।
EDLI-এর অধীনে, বিমাপ্রাপ্ত ব্যক্তির যদি চাকরিকালীন সময়কালে মৃত্যু হয় তবে নিবন্ধিত মনোনীত ব্যক্তি অর্থাৎ যিনি নমিনি থাকবেন তাকে এককালীন অর্থ দেওয়া হবে। তবে দাবির পরিমাণ মৃত ব্যক্তির চাকরির সর্বশেষ ১২ মাসে প্রাপ্ত বেতনের উপর নির্ভর করবে। (বর্তমানে এটি সর্বোচ্চ ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হবে)। এছাড়া ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সর্বনিম্ন ডেথ কভারেজ দেওয়া হচ্ছে ২.৫ লক্ষ টাকা করে।
এক বা একাধিক সংস্থায় একটানা ১২ মাস কাজ করেছেন এমন কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের ন্যূনতম সুবিধা হিসাবে ২.৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
এই অতিমারীর সময় সদস্যের নগদের প্রয়োজন মেটাতে অগ্রিম নেওয়ার বিষয়টি ২০২০-র মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। আর ঠিক সে কারণেই ১৯৫২ সালের এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিমে (Employees Provident Fund Scheme) সংশোধন করে কেন্দ্রীয় শ্রম ও রোজগার মন্ত্রক। এই মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে যে, অতিমারী চলাকালীন কর্মচারী ভবিষ্যৎ নিধি সংস্থার অধীনে থাকা সদস্যদের জন্য এই অগ্রিম অর্থ বিশেষভাবে সহায়ক হবে।
কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে মধ্যেই যেন দোসর হয়েছে মিউকরমাইকোসিস অথবা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এটিকে আবার মহামারী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত সদস্যদের অগ্রিম দেওয়ার ব্যাপারটি মঞ্জুর করেছে। যাঁরা প্রথম পর্যায়ে অগ্রিমের টাকা নিয়েছেন, তাঁরা দ্বিতীয় পর্যায় টাকার জন্য ফের আবেদন করতে পারেন। প্রথম পর্যায়ক্রমে যে ভাবে টাকা নেওয়া হয়েছিল, দ্বিতীয় পর্যায়েও ঠিক একইভাবে তা নিতে হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, EPFO