পরপর ১৬ টা সিরিয়ালে কাজ । তবু হিরো হওয়ার বাসনা নেই । প্রধান চরিত্র না পেয়েও খুশি । ‘রাণি রাসমণি’র পাঠ শেষ করে এখন ‘কাদম্বিনী’তে । করোনা পজিটিভ হয়ে আপাতত গৃহবন্দী । তবে ১৪ দিনের শেষে এখন তিনি একেবারে সুস্থ । সুযোগ পেয়ে News18 বাংলার সঙ্গে মন খুলে আড্ডা দিলেন সায়ক চক্রবর্তী ।
প্র: পর্দায় এত ‘খারাপ লোক’ কেন বলতো তুমি?
উ: কারণ আমি নিজেই নেগেটিভ চরিত্রটা বেছে নিই। (অট্টহাসি)
প্র: রাস্তায় লোকে দেখলে কি তেড়ে মারতে আসে?
উ: ‘রাসমণি’র মহীন’কে দেখলে সবাই ছবি তুলতে আসতো । আর এখন তো রাস্তায় বেরলে কেউ চিনতেই পারে না । মাস্ক পরা থাকে তো ।
প্র: রোম্যান্টিক হিরো হতে ইচ্ছা করে না?
উ: হিরো হতেই ইচ্ছা করে না । তবে রোম্যান্টিক সিন করতে ইচ্ছে তো করেই ।
প্র: ভিলেনের চরিত্র করলে কি ভয় থাকে দর্শকের মনে নেগেটিভ প্রভাব পড়ার?
উ: এখন দর্শক অনেক স্মার্ট । অভিনয় ভাল লাগলে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করেন তাঁরা । সে খারাপ চরিত্র হোক আর ভাল চরিত্র, যাই হোক না কেন ।
প্র: ব্যাক-টু-ব্যাক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে কাজ... রহস্যটা কী?
উ: রহস্য বলতে একটাই...আমার এত বছরের স্ট্রাগল । একটু একটু করে শিখে চলেছি । আরও অনেক দূর যেতে হবে ।
প্র: শূন্য থেকে শুরু করে আজ কলকাতায় নিজের ফ্ল্যাট... এত পরিচিতি.... কেমন ছিল জার্নিটা?
উ: সারাজীবন ভাড়া বাড়িতে কাটিয়েছি । নিজের রোজগারে ফ্ল্যাট কিনে, সেখানে মা’কে নিয়ে থাকা...এটা সত্যি কখনও ভাবিনি । মানুষের ভালভাসা আমার কাছে সত্যিই আশীর্বাদ । ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মা-দাদা-আমি, সকলে মিলে অনেক পরিশ্রম করেছি । একটাই স্বপ্ন দেখতাম, মা টিভির পর্দায় আমাকে দেখছেন ।
প্র: অভিনয় না করলে কী করতে....
উ: অভিনয় না করলে আর কিছু করার অপশন ছিল না আমার কাছে । কারণ এটাই যে আমার স্বপ্ন ।
প্র: ‘রাসমণি’র সেটে সবচেয়ে বেশি ঝগড়া কার সঙ্গে ছিল?
উ: ‘রাসমণি’তে ঝগড়া করার মতো কাউকে খুঁজেই পেতাম না । সবাই এত ভাল মানুষ...তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করতাম । আর ধারাবাহিকে আমার যে মা, মানে ‘পদ্মমণি’ (দিয়া চক্রবর্তী)-র সঙ্গে তো একেবারে ‘মা কা বেটা’ রিলেশন। (হাসি)
প্র: মহেন বা মন্মথ, ব্যক্তি সায়কের থেকে কতটা আলাদা?
উ: একদম আলাদা । আমি সবাইকে যথাসম্ভব সম্মান দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করি । আর ‘রাণি রাসমণি’র মহেন বা ‘কাদম্বিনী’র মন্মথ একেবারেই এর উল্টো ।
প্র: দুই চ্যানেলে একই ধারাবাহিক নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে... একটা ঐতিহাসিক চরিত্র সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে দু’জায়গায় প্রজেক্ট হচ্ছে । তুমি নিজে তার মধ্যে একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছো... এ বিষয়ে তোমার কী মত?
উ: দেখো, দু’টো ধারাবাহিকের সকলেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে । দর্শক না দেখলে সত্যিই খুব কষ্ট হয় । আমি চাই দর্শক দু’টোই দেখুন । আমি একটায় কাজ করি বলে অন্যটাকে খারাপ বলবো, এমন মানসিকতা সত্যি আমাদের কারও নেই ।
প্র: পরপর তিনটি চরিত্রই ঐতিহাসিক বা সাহিত্য নির্ভর ধারাবাহিকে... টাইপ কাস্ট হওয়ার ভয় থাকছে কি?
উ: একদমই না । প্রথম ‘সিরাজের বেগম’-এ খঁ হয়েছিলাম । সেটা একটু মেয়েলি চরিত্র ছিল । এরপর মহেন...যে কিনা তাঁর বউ’কে সহ্য করতে পারে না...আবার মন্মথ গোঁড়া হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী । তাঁর দিকে কোনও মেয়ে চোখ তুলে তাকাবে এটা তাঁর পছন্দ নয় । তিনটে তিনরকম, তাই ভয় নেই । (হাসি)
প্র: মেগা তো অনেক ক’টা হল... এ বার কী একটু অন্য মাধ্যমে দেখতে পাব?
উ: আমার কোনও কন্টাক্ট নেই অন্য কোনও মাধ্যমে । সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই করব ।
প্র: কোনও ব্যাকআপ ছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাওয়ার সুযোগ কতটা?
উ: সময় লাগবে । তবে যদি মন থেকে কেউ চায়, আর সৎ পথে থাকে, সুযোগ ঠিক আসবেই ।
প্র: কতগুলো প্রেম আর কতগুলো বিয়ের প্রস্তাব এল?
উ: চারটে প্রেম করেছি । একটাও টেঁকেনি । তবে প্রস্তাব তো প্রায় রোজই আসতেই থাকে । (হো হো করে হাসি)
প্র: প্রেম, বিয়ে নাকি ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড?
উ: অবশ্যই প্রেম ।
প্র: ভবিষ্যতে নিজেকে কোন জায়গায় দেখলে খুশি হবে?
উ: যদি কোনওদিন আমি বড় অভিনেতা হয়ে যাই, আমার মধ্যে যেন কোনও অহঙ্কার না আসে । আর যেন মায়ের চোখে কোনওদিন জল না আসে । আর দুঃস্থ মানুষদের পাশে যেন নিজের সামর্থ্য নিয়ে সবসময় দাঁড়াতে পারি ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Sayak Chakraborty, Tollywood