'দীপিকার সঙ্গে সেলফি তুলছি, মাঝে হঠাত্‍ ইরফান,' অনুপমের গলায় 'পিকু'র স্মৃতি

Last Updated:

অনুপমের মনে পড়ে যাচ্ছে, সেই দিনের কথা যেদিন প্রথম ইরফানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর। ইরফান ও অনুপমের দেখা হয়েছে মোট তিন বার। সুজিত সরকারের অফিসে ও বাড়িতে ছবি নিয়ে মিটিং করার সময় ইরফান এসেছেন। সেভাবেই তাঁদের আলাপ, বনধুত্ব।

পরপর দুদিনে বলিউড হারিয়েছে উজ্বল দুই নক্ষত্র। বুধে ইরফান, বৃহস্পতিতে ঋষি। রোগ একই। ক্যান্সারে মারা গিয়েছেন দুজনই। কাপুর খানদানের সদস্য ঋষি, সে অর্থে বলিউডের প্রথম চকলেট হিরো।  তবুও মন যেন বেশি কাঁদছে ইরফানের জন্য জন্য। তাঁর সাবলীল অভিনয়ের জন্য।
তাঁর চোখের চাহনিতে কিছু না বলেও অনেক বলেও অনেক কিছু বলে দেয়। এই যেমন 'পিকু' ছবিতে দীপিকা ও ইরফান যখন কলকাতা দর্শনে গেলেন, প্রিন্সেপ ঘাটে দাঁড়িয়ে রোল খেতে খেতে দীপিকাকে মুখে বললেন ঠিকই, 'মাথা খারাপ নেহি হে মেরা', পিকুর ফাঁদে তিনি কিছুতেই পড়ছেন না। তবে তাঁর চোখ বলে গেল অন্য কথা। ঠোঁটের কোণে হাসিটা বুঝিয়ে দিল তাঁর সম্মতি।
advertisement
'পিকু' টিমের বাঙালি সদস্যের মনে রয়ে গিয়েছে ইরফানকে। সেই ইরফান যিনি রসিকতা করে পরিবেশটা হালকা করে দিতে পারেন। যিনি এত বড় অভিনেতা হয়েও কখনো স্টার হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেননি। সেই ইরফানকে মিস করছেন অনুপম রায়। নিউজ 18 বাংলায় স্মৃতিচারণা করেন তিনি।
advertisement
পিকুর একটি দৃশ্যে দীপিকা ও ইরফান পিকুর একটি দৃশ্যে দীপিকা ও ইরফান
advertisement
প্রথমেই অনুপম জানালেন, ইরফানের অভিনয়ের খুব ভক্ত তিনি। অনুপম নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন যে, সুজিত সরকার 'পিকু' ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, 'আমি অনেক কাজ করেছি, কিন্তু সত্যিই এটা আমার সৌভাগ্য, যে ছবিতে ইরফান আছেন, সেই ছবিতে আমি সঙ্গীত পরিচালনা করেছি। গানে সুর দিয়েছি। গান গেয়েছি। ইরফানের জন্য গান গেয়েছি। এটা আমার সারা জীবনের অ্যাচিভমেন্ট। ইরফান চলে যাওয়ার পর, চোখের সামনে বারবার ছবির দৃশ্যগুলো ভেসে উঠছে। আমি তো বারবার দৃশ্যগুলো দেখেছি, মিউজিক করার জন্য। বারবার ইরফানের অভিব্যক্তি। ওঁর অভিনয় দক্ষতা, মনে পড়ছে। সেই জলজ্যান্ত মানুষটা নেই এটা ভাবতে পারছি না।' অনুপমের গলায় স্পষ্ট মেলানকলি সুর।
advertisement
তিনি আরও বললেন, 'চোখের সামনে ভেসে উঠছে, ওঁর দাঁড়িয়ে থাকা। ওঁর কথা বলা। ওঁর  চেয়ে থাকা। সবকিছুর মধ্যে খুব প্রাণ ছিল। সে মানুষটা প্রাণহীন হয়ে গিয়েছে, এটা ভাবতেই অবাক লাগছে। বিশ্ব সিনেমার জন্য এটা খুব বড় ক্ষতি। '
অনুপমের মনে পড়ে যাচ্ছে, সেই দিনের কথা যেদিন প্রথম ইরফানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর। ইরফান ও অনুপমের দেখা হয়েছে মোট তিন বার। সুজিত সরকারের অফিসে ও বাড়িতে ছবি নিয়ে মিটিং করার সময় ইরফান এসেছেন। সেভাবেই তাঁদের আলাপ, বনধুত্ব।
advertisement
অনুপম বললেন, 'আমার পরিষ্কার মনে আছে মুম্বইয়ে যেদিন 'পিকু'র স্ক্রিনিং হয়, পুরো কাস্টের সঙ্গে ইরফানও এসেছিলেন। ছবিটা শেষের পরে অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটিয়েছিলাম। সেদিনের একটা খুব মজার ঘটনা ঘটেছিল। এখনও সেটা মনে পড়লে মৃদু লজ্জা পাই। স্ক্রিনিং-এর রাতে আমি ঘুরঘুর করছিলাম করছিলাম, দীপিকার সঙ্গে একটা ছবি তুলবো বলে। দীপিকাকে এত সামনে থেকে দেখে সামনে থেকে দেখে এই লোভ সকলেরই হওয়া স্বাভাবিক। আমারও হয়েছিল। অনেক কষ্টে দীপিকাকে একবার অনুরোধ করি , আমার সঙ্গে একটা সেলফি তোলার জন্য। ছবিটা তুলব, এমন সময় পিছন থেকে চলে আসেন ইরফান।  রসিকতা করে বলেন, আমি তোমাদের বিরক্ত করছি না তো। এই ছবিটা আমার কাছে আছে। আমার আর দীপিকার মধ্যে ইরফান ঢুকে পড়েছিলেন বটে সেই দিন। কিন্তু আজ ছবিটা আমার কাছে সবচেয়ে বড় সম্পদ।'
advertisement
ইরফানের সঙ্গে কখনও কথা বলতেই ইতস্তত বোধ করেননি অনুপম। কোনও স্টার সুলভ ব্যবহারে ছিল না ইরফানের, এমনটাই জানালেন অনুপম।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
'দীপিকার সঙ্গে সেলফি তুলছি, মাঝে হঠাত্‍ ইরফান,' অনুপমের গলায় 'পিকু'র স্মৃতি
Next Article
advertisement
আচমকা পদত্যাগ হাওড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের! ফিরহাদকে পাঠালেন পদত্যাগপত্র, নেপথ্যে কী কারণ? যা জানালেন সুজয় চক্রবর্তী
আচমকা পদত্যাগ হাওড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের! ফিরহাদকে পাঠালেন পদত্যাগপত্র, নেপথ্যে কী কারণ?
  • হাওড়া পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের জন্য আবেদন জানিয়ে পদত্যাগ পত্র পাঠালেন সুজয় চক্রবর্তী। ২৫ তারিখ পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের জন্য চেয়ারম্যানের তরফে একটি পদত্যাগ পত্র পাঠানো হয়েছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement